মুহিবুল্লাহকে হত্যার পর রোহিঙ্গা নেতারা আতঙ্কে, টার্গেটে অনেকে

কক্সবাজারের উখিয়ায় ক্যাম্পের ভেতরে ঢুকেই রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহকে গুলি করে হত্যা হয়েছে। এ ঘটনার পর রোহিঙ্গা নেতাদের মাঝে এক প্রকার আতংক বিরাজ করছে। হামলার আশঙ্কায় নিজেদের নিরাপত্তার কথা উল্লেখ করে  মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে মিডিয়ায় কথা বলতে রাজি হচ্ছে না তারা।

রোহিঙ্গা নেতা আবদুল হামিদ বলেন, আমরা দেশে ফিরে যেতে চাই। তবে মিয়ানমার সরকার একদিকে আমাদের ফিরিয়ে নেওয়ার কথা বলছে, অন্যদিকে যাতে আর মিয়ানমারে ফিরিয়ে নিতে না হয় সেজন্য প্রাণপণ চেষ্টা চালাচ্ছে।

তার দাবি, ক্যাম্পে এখন যেসব সন্ত্রাসী কার্যক্রম চলছে সবই হচ্ছে মিয়ানমারের ইশারায়। তারা বিপথগামী কিছু রোহিঙ্গা ব্যবহার করে আল-ইয়াকিন ও আরসার নাম ভাঙিয়ে ক্যাম্পে নানা ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাচ্ছে। রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ড এর অংশ বলে দাবি করেন তিনি।

তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন রোহিঙ্গা নেতা দাবি করেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক ও রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের পক্ষে সক্রিয় অবস্থান নেওয়ার কারণে মিয়ানমার সরকারের পূর্ব পরিকল্পনায় রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহকে হত্যা করা হয়েছে। আরও কয়েকজন রোহিঙ্গা নেতা তাদের টার্গেট রয়েছে বলে দাবি করেন রোহিঙ্গা নেতারা।

সচেতন রোহিঙ্গাদের অভিযোগ, প্রত্যাবাসনের বদলে বাংলাদেশে বসবাসরত রোহিঙ্গাদের সন্ত্রাসী প্রমাণে মরিয়া হয়ে উঠেছে মিয়ানমার সরকার। এজন্য তারা বিপথগামী রোহিঙ্গাদের দিয়ে ক্যাম্পে দীর্ঘদিন ধরে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। বিশ্ব দরবারে রোহিঙ্গাদের সন্ত্রাসী হিসাবে তুলে ধরে ২০১৯ সালের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে রোহিঙ্গা গণহত্যায় মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গাম্বিয়ার করা মামলাটি প্রশ্নবিদ্ধ করাই তাদের লক্ষ্য।

রোহিঙ্গাদের আইনশৃঙ্খলা দায়িত্ব থাকা ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক এসপি নাঈমুল হক বলেন, বুধবার রাতে কুতুপালং ১নং ক্যাম্পের ডি ব্লকে অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহর ওপর গুলি চালায়। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে তাকে এমএসএফ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

 

সূত্রঃ যুগান্তর