মুসলিম নারীকে ‘নিলামে’ বিক্রির চেষ্টা : যুবক আটক

ভারতে বুল্লি বাই নামে একটি অ্যাপের মাধ্যমে শতাধিক মুসলিম নারীকে ‘নিলামে’ বিক্রির ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এক যুবককে (২১) আটক করেছে পুলিশ। বিবিসি মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আটক যুবক ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় ব্যাঙ্গোলর শহরের প্রকৌশলের ছাত্র।  তবে তার নামপরিচয় প্রকাশ করেনি পুলিশ।

ওই যুবকের বিরুদ্ধে ঠিক কি অভিযোগ আনা হয়েছে তার জানা যায়নি। তবে ওই যুবক  বুল্লি বাই অ্যাপের ‘গভীর অনুসারী’ ছিলেন বলে পুলিশ বিবিসিকে জানিয়েছে।

গিটহ্যাব প্ল্যাটফর্মের ওই অ্যাপ নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হওয়ার পর সেটি সরিয়ে নেওয়া হয়।
ওই অ্যাপে বিনা অনুমতিতেই ভারতের কয়েকজন প্রসিদ্ধ মুসলিম নারী সংবাদিক ও আন্দোলনকর্মীর ছবি ব্যবহার করে তাদের ‘বিক্রির’ জন্য ভুয়া নিলামে তোলা হয়েছে।

ভারতে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার অ্যাপের মাধ্যমে মুসলিম নারীদের ‘বিক্রির জন্য নিলামে’ তোলা হয়েছে বলে বিবিসি জানিয়েছে।

গত বছরের জুলাইতে ‘শালি ডিলস’ নামে একটি অ্যাপে অন্তত ৮৩ জন মুসলিম নারীর ছবি দিয়ে তাদের ‘বিক্রির আয়োজন’ করা করা হয়েছিল। ওই অ্যাপে ও ওয়েবসাইটে নারীদের বিশেষায়িত করা হয়েছিল ‘ডিলস অফ দ্য ডে’ বলে। বুল্লি বাই ‘শালি ডিলস’ অ্যাপের ক্লোন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বলার অপেক্ষা রাখে না উভয় অ্যাপেই সত্যিকারের কেনাবেচার কোনো উদ্দেশ্য ছিল না। বরং মুসলিম নারীদের হেয় ও অপমান করাই ছিল ওই অ্যাপগুলো উদ্দেশ্য।

‘শালি ডিলস’  অ্যাপের মাধ্যমে মুসলিম নারীদের ‘বিক্রির’ চেষ্টার অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ তদন্ত শুরু করলেও  সে সময় কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়নি বলে জানিয়েছিল পুলিশ।

তবে বুল্লি বাই অ্যাপে ইসমত আরা নামে এক ভারতীয় সাংবাদিকের নাম ও ছবি ব্যবহার করা হয়েছিল। তিনিই দিল্লি পুলিশের কাছে তিনি অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন, এতে যৌন হয়রানি এবং ধর্মের কারণে শত্রুতা ছড়ানোর অভিযোগ আনা হয়েছে।

সুল্লি শব্দটি একটি মানহানিকর হিন্দি স্ল্যাং যা ভারতের ডানপন্থী হিন্দু সংগঠনগুলো মুসলমান নারীদের ট্রল করার জন্য ব্যবহার করে। আর বুল্লি শব্দের অর্থ নিন্দনীয়।

 

সূত্রঃ যুগান্তর