মুশফিক টুর্নামেন্ট সেরা, ব্যাটিংয়ে ইরফান, বোলিংয়ে রুবেল

বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপে সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার পেয়েছেন মুশফিকুর রহিম। ব্যাট হাতে ২১৯ রান করে নাজমুল একাদশের ব্যাটসম্যান পেয়েছেন এই মর্যাদা। তবে সেরা ব্যাটসম্যানের পুরস্কার জিতেছেন ইরফান শুক্কুর। তার ব্যাট থেকে এসেছে ২১৪ রান। ১২ উইকেট নিয়ে টুর্নামেন্টের সেরা বোলার রুবেল হোসেন।

ফাইনালের শিরোপার স্বাদ পেলে মুশফিক হয়তো সবচেয়ে খুশি হতেন। টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান যে করেছেন তিনি। একমাত্র সেঞ্চুরিও এসেছে তার ব্যাট থেকে। প্রথম ম্যাচে ভালো করতে পারেননি উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। পরের তিন ম্যাচে রান করেন ১০৩, ৫২ ও ৫১। ব্যাটিং ধারাবাহিকতায় শেষটাও দ্যুতি ছড়ানোর কথা ছিল। কিন্তু ১২ রানের বেশি করতে পারেননি ‘বিগ ফাইনালে’। সেজন্য তার দলও ভুগেছে। শেষ হাসিটা হাসতে পারেনি তার দল নাজমুল একাদশ। মুশফিকের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে গেছে ২ লাখ টাকা।

টুর্নামেন্টে বোলারদের মধ্যে হয়েছে হাড্ডাহাড্ডি প্রতিযোগিতা। তিন পেসার রুবেল হোসেন, সুমন খান ও সাইফ উদ্দিন ১২টি করে উইকেট পেয়েছেন। চ্যাম্পিয়ন দলের রুবেল ও সুমনের পারফরম্যান্স ছিল ধারাবাহিক। ফাইনালে ৫ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কার পেয়েছেন সুমন। তবে রুবেল পেয়েছেন টুর্নামেন্টের সেরা বোলারের খেতাব। রুবেল টুর্নামেন্টের সেরা বোলার হওয়ার জন্য পেয়েছেন ১ লাখ টাকা, সুমন খান ম্যাচসেরার হয়ে পেয়েছেন ৫০ হাজার টাকা।

ফাইনালে অপ্রতিরোধ্যে ৭৫ রানের ইনিংসের জন্য ম্যাচের সেরা ব্যাটসম্যান নির্বাচিত হয়েছেন ইরফান। সঙ্গে পেয়েছেন টুর্নামেন্টের সেরা ব্যাটসম্যানের পুরস্কারও। প্রতিযোগিতার শুরু থেকেই ধারাবাহিক পারফর্ম করেছেন নাজমুল একাদশের ব্যাটসম্যান। লোয়ার অর্ডারে ব্যাটিংয়ে নেমে রীতিমত মুগ্ধ করেছেন সবাইকে। ফাইনালে দল যখন বিপর্যয়ে তখন খেলেছেন ৭৫ রানের ঝকঝকে ইনিংস।

এছাড়া ৫ ম্যাচে ৯ ডিসমিসাল করে সেরা ফিল্ডারের পুরস্কার পেয়েছেন কাজী নুরুল হাসান সোহান। ব্যর্থতা ঝেড়ে টুর্নামেন্টে ভালোভাবে ফিরে এসেছেন পেসার তাসকিন আহমেদ। ৫ ম্যাচে ৭ উইকেট পেয়েছেন এ পেসার। বোলিংয়ে দ্যুতি ছড়ানোয় কামব্যাক খেলোয়াড়ের পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। উদীয়মান খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন রিশাদ হোসেন। ৪ ম্যাচে ৪ উইকেট পেয়েছেন এ লেগস্পিনার। এছাড়া প্রেসিডেন্টস স্পেশাল অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন সাইফ উদ্দিন, শেখ মাহাদি হাসান, সুমন খান, আফিফ হোসেন ও তৌহিদ হৃদয়।