মুখের আলসার ভালো হচ্ছে না, কী করবেন?

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক: মানসিক দুশ্চিন্তা, অনিদ্রা, ওষুধজনিত পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত কারণ ছাড়াও নানাবিধ কারণে মুখের অভ্যন্তরে আলসার বা ঘাজনিত রোগ দিন দিন বেড়েই চলেছে।

বর্তমানে মুখের আলসারের চিকিৎসায় অধিকাংশ ক্ষেত্রে স্টেরয়েড মলম ও ভিটামিন ব্যবহৃত হয়ে থাকে। কিন্তু দেখা গেছে, ৬ মাস এমনকি বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পরও রোগীর রোগ ভালো হচ্ছে না।

রোগী দিন দিন মানসিকভাবে ভেঙে পড়ছে। ঘন ঘন ডাক্তার পরিবর্তন করেও কোনো সুফল পাওয়া যাচ্ছে না।

মানসিক চাপ ও বিষণ্নতার কারণে রোগীর মুখের অভ্যন্তরে আলসার বা ঘা আরও বৃদ্ধি পেয়ে রোগীর খাদ্যদ্রব্য গ্রহণে ব্যাঘাত সৃষ্টি করছে।

তবে সর্বসাধারণের একটি বিষয়ে সচেতন হতে হবে, মুখের এমন কিছু আলসার বা ঘা রয়েছে যা গদবাঁধা কিছু ওষুধ ও মলম দ্বারা বারো মাস চিকিৎসা করলেও রোগীর রোগ ভালো হবে না।

আবার কিছু আলসার অতি অল্প চিকিৎসাতেই ভালো হয়ে যায়। যুগের জটিলতার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের মানসিক জটিলতাও বৃদ্ধি পেয়েছে। এ মানসিক অশান্তি ও জটিলতার কারণে মুখের ঘাজনিত রোগ শত গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

কোনো নামকরা ডাক্তার মুখের আলসারে একটি ওষুধ দিল, আর আপনি সেই ব্যবস্থাপত্রের ওষুধ অনবরত সেবন করতে লাগলেন এ আশায়, আপনি ভালো হয়ে যাবেন অর্থাৎ রোগ থেকে মুক্তি পাবেন।

প্রতিদিনই চিকিৎসা বিজ্ঞানে ব্যাপক বৈজ্ঞানিক বিপ্লব সাধিত হচ্ছে। নতুন নতুন ওষুধ নিয়ে গবেষণা হচ্ছে। গবেষণার ফলে কিছু নতুন ওষুধও মুখের আলসারের চিকিৎসায় প্রদান করে ভালো ফল পাওয়া যাচ্ছে।

অনেক জটিল মুখের আলসারে আপনি হয়তো অনেক ওষুধ সেবন করছেন। কিন্তু অত্যন্ত মজার ও আশ্চর্যজনক ব্যাপার হলো- সাধারণ একটি ওষুধ আপনাকে প্রয়োগ করে সম্পূর্ণ সুস্থ করে তোলা সম্ভব।

অনেক সময় শুধু খাদ্যে উপস্থিত এমন উপাদান প্রয়োগ করে মুখের আলসার নিরাময়ের ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা রাখা যায়।

অনেক সময় কৃত্রিম কোনো ওষুধের প্রয়োজন হয় না। একটি কথা সবার জানা খুবই প্রয়োজন, মুখের আলসার কখনই ভিটামিননির্ভর চিকিৎসা নয়। হয়তো কোনো কোনো ক্ষেত্রে অন্যান্য চিকিৎসার পাশাপাশি ভিটামিনের প্রয়োজন রয়েছে। তবে কোন ভিটামিন প্রয়োজন, তা অবশ্যই শনাক্ত করতে হবে। অন্ধের মতো এ থেকে জেড পর্যন্ত ভিটামিন প্রয়োগ করা ঠিক নয়।

মুখের আলসার সম্পর্কে আমাদের সবার জানতে হবে এবং সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। মুখের আলসারের ভালো চিকিৎসা রয়েছে। মাসের পর মাস মুখস্থ ওষুধ সেবন এবং মলম ব্যবহার প্রয়োগ করা থেকে বিরত থেকে সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে।

ঘন ঘন ডাক্তার পরিবর্তন না করে সুনির্দিষ্ট কারণ অনুযায়ী চিকিৎসা গ্রহণ করলে মুখের আলসার থেকে মুক্তি লাভ করা সম্ভব।

সূত্র: যুৃগান্তর