মুকসুদপুরে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ: নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩

গোপালগ‌ঞ্জের মুকসুদপুরের রাঘদীতে সংঘর্ষের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩-এ দাঁড়িয়েছে। নিহতরা হলেন- দাসের কান্দী গ্রামের মোকলেস ফকিরের ছেলে কালাই ফকির (৪৫) এবং শ্রীযুতপুর গ্রামের করিম মোল্লার ছেলে সাহিদ মোল্লা (৪০)। এর আগে গত সোমবার সংঘর্ষে নিহত হন রাঘদী গ্রামের জলিল শেখের ছেলে কালাম শেখ (২৫)। মুকসুদপুরের সিন্দিয়াঘাট নৌ-তদন্ত পুলিশ কেন্দ্রের পরিদর্শক আবুল বাসার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গত সোমবার (২৩ নভেম্বর) সকাল ৮টার দিকে মুকসুদপুর উপজেলার রাঘদী ইউনিয়নের শ্রীযুতপুর গ্রামে বর্তমান চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন ও সাবেক চেয়ারম্যান সাহিদুর রহমান টুটুলের সমর্থকদের মধ্যে এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। এতে উভয়পক্ষের প্রায় ২০ জন আহত হয়েছেন। প্রতিপক্ষের হাতে গুরুতর আহত কালাম শেখকে (২৫) ওইদিন মাদারীপুরের রাজৈর হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, এ ঘটনায় আহত কালাই ফকির ও সাহিদ মোল্লাসহ ৩ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির পর গতকাল বুধবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কালাই ফকির (৪৫) ও রাতে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সাহিদ মোল্লার (৪০) মৃত্যু হয়। এরা সবাই সাবেক চেয়ারম্যান সাহিদুর রহমান টুটুলের সমর্থক বলে জানা গেছে।

এদিকে, এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় দফায় দফায় বাড়িঘর ভাংচুর হয়। এলাকায় বর্তমানে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

মুকসুদপুরের সিন্দিয়াঘাট নৌ-তদন্ত পুলিশ কেন্দ্রের পরিদর্শক আবুল বাসার জানান, উপজেলার রাঘদী ইউনিয়নে সংঘর্ষের ঘটনায় এ পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা দায়ের হয়নি ।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ