মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে জঙ্গলে যুদ্ধের প্রস্তুতি (ভিডিও)

মিয়ানমারের সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে দেশটির বেসামরিক নাগরিকরা। কারেন রাজ্যের একটি গোপন জঙ্গলে তাদেরকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।

রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, থাইল্যান্ড সীমান্তের দূরবর্তী পাহাড়ের অস্থায়ী গুহায় বেসামরিক নাগরিকদের শেখানো হচ্ছে- কিভাবে রাইফেলে গুলি লোড করতে হয়, নিজস্বভাবে প্রস্তুতকৃত বোমায় ডিটোনেটর সেট করতে হয়।

ব্রিটিশ গণমাধ্যম রয়টার্স সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রস্তুতি নেওয়া এসব তরুণ-তরুণীদের ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করেছে। গত সেপ্টেম্বরে তারা এই ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে  বলে শুক্রবার প্রকাশিত এক খবরে জানিয়েছে।

যুদ্ধের প্রস্তুতি নেওয়া নিয়োগপ্রাপ্তরা বলেন, সামরিক শাসককে গণ বিক্ষোভের মাধ্যমে হঠাতে না পেরে তারা অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছেন।

যুদ্ধের জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া ৩৪ বছর বয়সী একজন প্রশিক্ষক বলেন, অস্ত্র হাতে তুলে নেওয়া ছাড়া আমাদের হাতে কোনো অপশন ছিল না।

এই প্রশিক্ষকের পেছনে ট্যাঁটুতে লেখা ছিল- ‘স্বাধীনতার জন্য নেতৃত্ব’ আর মুখে ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চির ছবি।

জান্তা সরকারবিরোধী এই সংগঠক জানান, অন্তত ১০০ তরুণ-তরুণী প্রশিক্ষণে অংশ নিয়েছে। প্রতিনিয়ত যুদ্ধের জন্য নতুন মানুষ আসছে।

 

একজন প্রশিক্ষক বলেন, অস্ত্র হাতে তুলে নেওয়া ছাড়া আমাদের হাতে কোনো পথ ছিল না
একজন প্রশিক্ষক বলেন, অস্ত্র হাতে তুলে নেওয়া ছাড়া আমাদের হাতে কোনো পথ ছিল না

তিনি বলেন, আমাদের ৩ লাখের বেশি শক্তিশালী সেনাবাহিনীকে মোকাবেলা করতে হবে। কিন্তু যুদ্ধ ছাড়া কোনো পথ খোলা নেই। জনগণের জন্য জন্য যদি আমি মৃত্যুবরণ করি, সেটা হবে গর্বের।

এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে সংবাদমাধ্যম রয়টার্স সামরিক সরকারের মুখপাত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করে। কিন্তু কোনো জবাব দেওয়া হয়নি।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থি এনএলডি সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে দেশটির সেনাবাহিনী। সু চি সরকারের বিরুদ্ধে তারা নির্বাচনের কারচুপির অভিযোগ তোলে এই অভ্যুত্থান করে। অভ্যুত্থানের পরপরই সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠে দেশটির সাধারণ মানুষ। তারা বিক্ষোভ শুরু করে। এই বিক্ষোভে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৩৪৬ জন নিহত হয়েছেন। গ্রেফতার করা হয়েছে ৮ হাজারের বেশি মানুষকে।

 

সূত্রঃ যুগান্তর