মিয়ানমারে নির্বিচারে গুলির ঘটনা কিভাবে দেখছে বিশ্ব?

মিয়ানমারে জান্তাবিরোধী বিক্ষোভকারীদের ওপর পুলিশের গুলিতে ১৮ জন নিহতের ঘটনায় জাতিসংঘসহ কয়েকটি দেশ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও ইন্দোনেশিয়া রোববারের ওই সহিংসতার নিন্দা জানালেও এখনও মুখ খুলেনি চীন।

১ ফেব্রুয়ারি সামরিক অভ্যুত্থানের পর রোববার সবচেয়ে রক্তাক্ত দিন পার করেছে মিয়ানমার।  কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা প্রতিবাদ দমাতে এদিন মিয়ানমারজুড়ে বিক্ষোভে পুলিশ গুলি চালালে এতে অন্তত ১৮ জন নিহত হন।

মিয়ানমারে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি টম অ্যান্ড্রুজ বলেছেন, জান্তার আক্রমণ অব্যাহত থাকবে এটি পরিষ্কার ছিল, তাই বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতিক্রিয়া জোরদার করা উচিত।

এ ঘটনাকে নিরাপত্তা বাহিনীর দ্বারা সংঘটিত ‘জঘন্য সহিংসতা’ মন্তব্য করে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন এর নিন্দা জানিয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্র দৃঢ়ভাবে মিয়ানমারের জনগণের পাশে আছে জানিয়ে রোববার এক টুইটে তিনি বলেন, তাদের ইচ্ছার প্রতি সমর্থন জানাতে সব দেশকে এক সুরে কথা বলার জন্য উৎসাহিত করছি আমরা।

এদিকে কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্ক গার্নাউ বলেছেন, সামরিক বাহিনী তাদের নিজেদের জনগণের বিরুদ্ধেই প্রাণঘাতী শক্তি ব্যবহার করেছে, এটি ভয়াবহ ঘটনা।

ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ইন্দোনেশিয়া মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীকে বিক্ষোভ দমনে বলপ্রয়োগে আরো সংযত থাকার এবং রক্তপাত ও প্রাণহানি এড়াতে সর্বোচ্চ ধৈর্যের অনুশীলন করার আহ্বান জানাচ্ছে।

মিয়ানমারের বিক্ষোভকারীদের সমর্থনে এশিয়ার বিভিন্ন দেশের আন্দোলনকারীরাও প্রতিবাদের আয়োজন করেছেন। থাইল্যান্ডের তরুণদের নেতৃত্বাধীন রাজনৈতিক আন্দোলন মিয়ানমারের অভ্যুত্থান বিরোধীদের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে।

এদিকে রোববার সবচেয়ে রক্তাক্ত দিনটি পার করে সোমবার ফের বিক্ষোভের প্রস্তুতি নিচ্ছেন সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলনকারীরা।

এ পরিস্থিতিতেও সোমবার ফের রাস্তায় নেমে সামরিক জান্তাবিরোধী বিক্ষোভ দেখানোর প্রস্তুতি নিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।

 

সুত্রঃ যুগান্তর