মিজান-বাছিরের সর্বোচ্চ সাজা চায় দুদক

চল্লিশ লাখ টাকা ঘুষ লেনদেনের মামলায় পুলিশের সাবেক ডিআইজি মিজানুর রহমান মিজান এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরের সর্বোচ্চ সাজা চেয়েছে দুদক।

আজ সোমবার ঢাকার ৪ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ নাজমুল আলমের আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনে রাষ্ট্রপক্ষে দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল এ দাবি জানান।

শুনানিতে তিনি বলেন, মিজানুর রহমান ও এনামুল বাছির দুজনই ঘুষ নেওয়া ও দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। এনামুল বাছির বলেছেন, ‘আমি ঘুষ দিতে বাধ্য হয়েছি’ আর মিজানুর বলেন, ‘আমি বাছিরের ষড়যন্তের শিকার’। সুতরাং দুজনেই দোষী। দুজনেরই সবোর্চ্চ সাজা হওয়া উচিৎ।

শুনানিকালে ডিআইজি মিজান এবং এনামুল বাছিরকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। এদিন দুদকের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করা হয়। এরপর আসামিপক্ষ যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য সময় আবেদন করেন।

আদালত আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের দিন ঠিক করেছে।

দণ্ডবিধির ১৬১/১৬৫(ক)/১০৯ ধারা, ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা এবং ২০১২ সালের মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ৪(২)(৩) ধারায় দু’জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। যার সর্বোচ্চ শাস্তি ৭ বছরের কারাদণ্ড, সঙ্গে জরিমানা হতে পারে।

মামলায় বলা হয়, ডিআইজি মিজানুর রহমান অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধানের ফলাফল নিজের পক্ষে নেয়ার অসৎ উদ্দেশে দুদক পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরকে অবৈধভাবে প্রভাবিত করেন। আর এজন্য তিনি অবৈধ পন্থায় অর্জিত অপরাধলব্ধ আয় থেকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ প্রদানের মাধ্যমে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

মামলায় বলা হয়, দুদক পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে কমিশন থেকে অর্পিত দায়িত্ব পালনকালে অসৎ উদ্দেশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ডিআইজি মো. মিজানুর রহমানকে অবৈধ সুবিধা দেয়ার সুযোগ করে দেন।

ডিআইজি মিজান সরকারি কর্মকর্তা হয়ে নিজের বিরুদ্ধে আনীত অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পাওয়ার আশায় ঘুষ লেনদেনে জড়িয়ে পড়েন, যা দুদকের অনুসন্ধানে প্রমাণিত হয়েছে।

 

সূত্রঃ যুগান্তর