বুধবার , ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ | ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

‘মা তোর নতুন জামা কে পরবে’

Paris
সেপ্টেম্বর ৭, ২০১৬ ১১:২৬ অপরাহ্ণ

শাহিনুল ইসলাম আশিক:

‘আমার এ কি সর্বনাশ হলো। আমি তোকে ছাড়া কিভাবে থাকবো। তোকে ছাড়া আমার সব কিছুই যে  অন্ধকার। তুমি আমার নয়নের মনি ছিলি। তোর ঈদের জামা কে পরবে। সবাই ঈদের দিনে নতুন জামা পরবে বলে আমি তোর জন্য জামা কিনলাম। আমি কি করে সহ্য করবো। মা তোর নতুন জামা কে পরবে।’

গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে মেয়ে বৈশাখির (৪) লাশের পাশে বসে ব্যাকুল কণ্ঠে এভাবেই আহজারি করছিলেন মা সাথী বেগম।

এসময় তিনি আহজারিতে বলছিলেন, ‘আমি কি করবো। তোকে কোথায় গেলে পাব। মা তুই আমার সামনে মাটিতে খেলা-পাতিল নিয়ে খেলতিশ। আজ আমার সামনে কে খেলবে। আর কে আমাকে মা বলে ডাকবে। আর দৌরে এসে কোল উঠবে।’
নিহত বৈশাখীর পাশেই ব্যাডে নিথর দেহ পড়ে আছে কুরাইশের (৪)। পাশে আত্মীয় স্বজেনদের আহাজারি। যে পুরো জরুরি বিভাগের স্বজনতের কান্নায় বাতাস ভাড়ি হয়ে উঠে।

নিহতরা হলো, নগরীর হড়গ্রাম পূর্বপাড়া এলাকার সাইদের ছেলে কুরাইশ (৪) ও জহুরুলের মেয়ে বৈশাখি (৪)। গতকাল দুপুরে তারা দুইজনের পুকুরের পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়। স্থানীয়রা ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামরুজ্জামান কামরু জানান, শিশু কুরাইশ ও বৈশাখি মিলে বাড়ির পাশে পুকুরের পাড়ে খেলা করছিলো।

খেলার এক পর্যায়ে দুই শিশু পা ফসকে পানিতে পড়ে যায়। ঘটনাটি আশেপাশের লোকজন দেখতে পায়।
শুধু হড়গ্রাম পূর্বপাড়া এলাকায় কুরাইশ ও বৈশাখিই নয় পাশের বাড়ি মো. দুলুর স্ত্রী রেহেনা বাচ্চা প্রসব করতে গিয়ে মারা যান। রামেকে সকাল সাড়ে ৬টার দিকে মারা যান। রেহেনা মারা গেলেও নবজাতক জীবিত রয়েছেন। নিহত বৈশাখি মৃত রেহেনা স্বামীর বোনের মেয়ে।

এদিকে, একই এলাকার শিশু কুরাইশ, বৈশাখি ও রেহেনা বেগমের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তাদের তিনজনকে গতকাল বাদ আসর নগরীর মহিষবাথান কবরস্থানে জনাযা শেষে দাফন করা হয়।

স/আর

সর্বশেষ - রাজশাহীর খবর