মা দিবসে একান্ত সাক্ষাতকারে চারঘাট উপজেলা চেয়ারম্যান

মা আমার পৃথিবী, মা’ই আমার সব

চারঘাট প্রতিনিধি :
৯ ভাই ও ১ বোনের নয়নের মনি আমার মা দাবি করে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ফকরুল ইসলাম বলেন, সকাল বেলায় না খেয়ে বের হলে আমার মা সামনে যাকে পাবেন বলবেন আমার ছেলে আজ না খেয়ে গেছে। সারাটা দিন সামনে যাকেই পাবেন, তাকেই ধরে এমনটা বলবেন। মায়ের বয়স হয়েছে প্রায় ৭৫ বছর। এখনও আমার মা আমার জন্য এমনটা করেন দেখে চোখের কোনে অনেক সময় পানি চলে আসে। রোববার দিকে চারঘাট উপজেলা চেয়ারম্যানের সঙ্গে যুগান্তরের এ প্রতিবেদক এর একান্ত আলাপকালে অশ্রুসিক্ত কন্ঠে তিনি এসব কথা বলেন।

ফকরুল ইসলাম বলেন, অপারেশন ক্লিনহাট চলার সময় সেনাবাহিনীর সদস্যরা যখন আমাকে আমার বাড়ী থেকে গ্রেফতার করলো, তখন আমার মা সেনাবাহিনীর নিকট অনেক আকুতি জানিয়েছিল। মা বলেছিল আমার ছেলে কোন অন্যায় করেনি। আমার ছেলেকে তোমরা নিয়ে যেও না বলে পা ধরে কেদেছিলেন। তখন কেউ আমার মায়ের কথা শোনেনি ,রাখেনি। মায়ের সেই দিনের চোখের পানি আজও আমায় কাদায়। মা আমার জানের জান।

তিনি বলেন,আমার নির্বাচনের সময় মা আমাকে সব সময় বলেছেন বাবা তুমি নির্বাচিত হলে জনগনের সেবক হবে, শাষক নয়। মায়ের সেই নিদের্শনায় আজ আমি উপজেলা চেয়ারম্যান। উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক। মায়ের সেই দিক নির্দেশনা মোতাবেক কাজ করার চেষ্টা করছি। কখনও মানুষকে সেবা দিতে গিয়ে শাষকের ভুমিকায় অবতীর্ন হয়নি।

মা এখনও আমাকে দিক নিদের্শনা দেন। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, সেই সঙ্গে উপজেলা আওয়ামীলীগের দায়িত্ব পালন করলেও আমি সব সময় মায়ের নিদের্শনা মোতাবেক চলি। আমারা ৯ ভাই ও ১ বোনের মধ্যে ৩ ভাই পরলোকগমন করেছেন। বর্তমানে ৬ ভাই ও ১ বোন রয়েছেন। তার পরেও শুধু মায়ের দিক নিদের্শনায় আমরা এখনও একত্রিত হয়ে বসবাস করি। এক সঙ্গে বসে আমরা খাই।
ফকরুল ইসলাম বলেন,বাড়ীতে প্রবেশ করেই মায়ের মুখটা দেখতে পেয়ে প্রানটা ভরে যায়। ৯৮ সালে পিতাকে হারিয়েছি। পিতা হারানোর ব্যাথা কি ? যে পিতাহারা সেই জানে। এখন মা’ই আমার সব, মা’ই আমার শেষ। এ দুনিয়ায় মা’ই আমার শেষ সম্বল। সারাটা জীবন মায়ের সেবা করে যেন আমি শেষ নিস্বাশ ত্যাগ করতে পারি মহান আল্লাহ দরবারে আমার এটাই শেষ চাওয়া।

উপজেলা চেয়ারম্যানের ছোট ভাই অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান যুগান্তরকে বলেন, আমার বড় ভাই একজন উপজেলা চেয়ার‌্যান এবং একটি দলের গুরুত্বপুর্ণ পদে থেকেও শত ব্যস্ততার মাঝেও মায়ের খোজ নিতে একটুও ভুলে যান না। আমার বড় ভাইসহ পরিবারের সকলেরই নয়নের মনি আমার মা।