মার্চ-এপ্রিলের ভ্যাট রিটার্ন দেয়া যাবে ৯ জুন পর্যন্ত

মহামারি করােনাভাইরাস (কোভিড-১৯) প্রাদুর্ভাব প্রতিরােধে সরকারঘােষিত সাধারণ ছুটির কারণে চলতি বছরের মার্চ ও এপ্রিল মেয়াদের ভ্যাট রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে।

যারা মার্চ ও এপ্রিল মাসের রিটার্ন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দাখিল করতে পারেননি তারা জরিমানা ও সুদ ছাড়াই আগামী ৯ জুনের মধ্যে দাখিল করতে পারবেন।

এ সুযোগ দিয়ে মঙ্গলবার একটি বিশেষ আদেশ জারি করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এতে সই করেন মূসক নীতি বিভাগের সদস্য মো. মাসুদ সাদিক।

এতে বলা হয়েছে, ‘করােনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব প্রতিরােধে সরকার আগামী ৩০ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘােষণা করেছে। এ পরিস্থিতিতে দেশের অধিকাংশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মার্চ ও এপ্রিল করমেয়াদের রিটার্ন যথাসময়ে দাখিল করতে পারেনি।’

‘মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২ এর ধারা ৬৪ এর উপ-ধারা (১) এবং মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক বিধিমালা, ২০১৬ এর বিধি ৪৭ এর উপ-বিধি (১) অনুযায়ী প্রত্যেক নিবন্ধিত ব্যক্তিকে মূসক ৯.১ ফরমের মাধ্যমে প্রত্যেক কর মেয়াদের জন্য মেয়াদ সমাপ্তির অনধিক ১৫ দিনের মধ্যে মূল্য সংযোজন কর দাখিলপত্র প্রদানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।’

‘এ ছাড়া মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২ এর ধারা ৮৫ এর উপ-ধারা (১) অনুযায়ী নির্ধারিত তারিখের মধ্যে মুসক বা টার্নওভার কর দাখিলপত্র পেশ না করার ব্যর্থতা বা অনিয়মের ক্ষেত্রে ১০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে’,- উল্লেখ করা হয়েছে বিশেষ আদেশে ।

এতে আরও বলা হয়, ‘মূল্য সংযােজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২ এর ধারা ১২৭ অনুযায়ী কোনো করদাতা নির্ধারিত তারিখের মধ্যে কমিশনারের নিকট প্রদেয় কর পরিশােধে ব্যর্থ হলে নির্ধারিত তারিখের পরবর্তী দিন হতে পরিশােধের দিন পর্যন্ত প্রদেয় করের পরিমাণের ওপর মাসিক ২ শতাংশ সরল হারে সুদ পরিশােধ করতে হয়।’

এসব বিষয় উল্লেখ করে বিশেষ আদেশে বলা হয়, ‘জনস্বার্থে জাতীয় রাজস্ব বাের্ড, অধ্যাদেশ নং ০২/২০২০ মারফত জারি করা মূল্য সংযােজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২ (২০১২ সনের ৪৭ নং আইন) এর ধারা ৬৪ এর উপ-ধারা (১ক) ও (খ) এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে, বৈশ্বিক এ আপদকালীন সময়ে যেসব প্রতিষ্ঠান শুধু ২০২০ সালের মার্চ ও এপ্রিল সময়ে দাখিলপত্র যথাসময়ে পেশ করেনি, সেসব প্রতিষ্ঠানের দাখিলপত্র পেশের সময়সীমা ৯ জুন পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো। এ সময়ের মধ্যে দাখিলপত্র পেশের ক্ষেত্রে জরিমানা ও সুদ প্রদানের বাধ্যবাধকতা থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হলাে।’