মার্কিন নির্বাচনের পর চীনের সঙ্গে উত্তেজনা বাড়ার শঙ্কা

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

 

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয় পাওয়ার জন্য নিরবতা ভেঙে গত ১৩ নভেম্বর জো বাইডেন ও তার রানিং মেট কমলা হ্যারিসকে অভিনন্দন জানায় চীন। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানান, যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের পছন্দকে আমরা সম্মান করি।

অথচ, চীন তার দেশের জনগণকেই সম্মান করে না। সে দেশে নেতা নির্বাচন করা হয় অস্বচ্ছ পদ্ধতিতে। যে কারণে বছরের পর বছর ক্ষমতার শীর্ষে থাকছেন একই ব্যক্তি।

অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে পরিবর্তন আসার ফলে এশিয়ার দেশগুলোতে বন্ধু ও শত্রুদের জন্য পরিবর্তিত সম্পর্ক তৈরি হওয়ার সম্ভবনা থাকে। যদিও যুক্তরাষ্ট্রে নেতৃত্বে পরিবর্তন আসার পরেও ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের চেয়ে কোনো সম্পর্কই বেশি গুরুত্বপূর্ণ কিংবা অস্থির হয়ে উঠবে না।

অবশ্য এরই মধ্যে চীন সরকার জেনে গেছে যে, সামনের বছরের জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতায় কোন সরকার আসতে যাচ্ছে। কিন্তু চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং যদি মনে করে থাকেন, বারাক ওবামার প্রথম সময়ের মতো এবার সম্পর্ক পুনরায় তৈরি করবেন, তবে তিনি ভুল ভাবছেন।

ট্রাম্প ও বাইডেনের প্রশাসনে নীতি পরিবর্তন সম্পর্কে অস্ট্রেলিয়ান স্ট্র্যাটেজিক পলিসি ইন্সটিটিউটের জ্যেষ্ঠ বিশ্লেষক ম্যালকম ডেভিস বলেছেন, এটি একই রকম হবে। আমি মনে করি যে, বাইডেন যা করবে বহুপক্ষীয় দৃষ্টিভঙ্গি পুনরুদ্ধার এবং মূল মার্কিন মিত্রদের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করার চেষ্টা করবে।

তিনি আরো বলেন, বাইডেন এমন কৌশল অবলম্বন করবেন বলে মনে করি না যে, চীনকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন করবে এবং ওবামার প্রথম-মেয়াদের পদ্ধতিতে ফিরবে। আমি মনে করি ওয়াশিংটন ডিসিতে চীন এখন দ্বিপক্ষীয় ইস্যু এবং বর্তমানে সবাই এটা জানে যে- চীন কী এবং তাদের উদ্দেশ্য কী। সে কারণে যুক্তরাষ্ট্র অবশ্যই উঠতি চীনকে পেছনে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা চালাবে।

গত চার বছরে ট্রাম্পের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে তিনি বলেন, ঠিক আছে, কিছুটা চাপ প্রয়োগের চেষ্টা করেছেন ট্রাম্প। চীনকে পেছনে ঠেলে দেওয়ার জন্য ট্রাম্পের কাজ ঠিক আছে; যা বারাক ওবামার প্রথম আমলে হয়নি।

ম্যালকম ডেভিস বলেছেন, চীনের যদি কোনো স্বপ্ন থেকে থাকে যে, ক্ষমতার পালাবদলে তাদের সঙ্গে নতুন করে কোনো সম্পর্ক তৈরি হবে, তবে তা সম্পূর্ণ অলীক কল্পনা। সামনের দিনগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্ক আরো খারাপ হতে চলেছে। উত্তেজনা দক্ষিণ চীন সাগরে বাড়বে বলেও মনে করেন তিনি।

এছাড়া তাইওয়ান নিয়েও উত্তেজনা বাড়ার কথা বলেছেন  ম্যালকম ডেভিস। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের জন্যও বড় ধরনের হুমকি হয়ে দাঁড়াবে চীন।

অনেকেই মনে করছেন, নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্টের আমলে আগ্রাসী মনোভাব দেখিয়ে নিজেদের গৌরবান্বিত করার চেষ্টা চালাতে পারেন শি জিনপিং। যদিও দীর্ঘ নিরবতা ভেঙে অবশেষে বাইডেনকে জয়ের জন্য অভিনন্দন বার্তা পাঠিয়েছেন শি জিনপিং।

 

সূত্র: কালেরকন্ঠ