মারিউপোলের পর ইউক্রেনের আরও এক শহর রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্কঃ

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ গড়িয়েছে পঞ্চম মাসে। দীর্ঘ সময় ধরে চলা যুদ্ধে রাশিয়ান সেনারা ইউক্রেনের মারিউপোলের পর এবার আরেকটি শহর পুরোপুরি দখলে নিয়েছে। ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের এই শহরটি রুশ সেনারা নিয়ন্ত্রণে নিয়েছেন বলে দাবি করেছেন মেয়র অলেক্সান্ডার স্ট্রিউক।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের সবচেয়ে বড় ভূমি সংঘাতের কারণে শনিবারও ইউক্রেনের পশ্চিম, উত্তর ও দক্ষিণ অংশে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এক সময় এই শহরটিতে এক লাখের বেশি মানুষ বসবাস করতেন। সেটি এখন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। গত মাসে মারিউপোল বন্দর দখল করার পর থেকে এটি মস্কোর সবচেয়ে বড় বিজয় বলে ধারণা করা হচ্ছে।

জাতীয় টেলিভিশনে দেওয়া এক বক্তব্যে মেয়র অলেক্সান্ডার স্ট্রিউক বলেন, শহরটি এখন রাশিয়ার দখলে। তারা এখন সেখানে তাদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনা বাস্তবায়নের চেষ্টা চালাচ্ছে। তিনি বলেন, সেভেরোদোনেস্কে কর্তৃপক্ষও নিয়োগ দিয়েছে মস্কো।

লুহানস্ক ও দোনেস্ক এই দুই মিলে ডনবাস। লুহানস্কে অবস্থিত সেভেরোদোনেস্ক শহরে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে রুশ ও ইউক্রেনীয় বাহিনীর মধ্যে রক্তক্ষয়ী লড়াই চলছিল। শহরটি দখলে নিতে সর্বশক্তি নিয়ে হামলা চালায় রাশিয়া।

jagonews24

ডনবাসের নিয়ন্ত্রণ মস্কোর জন্য কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এর নিয়ন্ত্রণ নিলে ২০১৪ সালে রাশিয়ার দখলকৃত ক্রিমিয়া উপদ্বীপের সঙ্গে করিডর তৈরি সম্ভব হবে।

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যখন ডনবাস বলেন, তখন তিনি বোঝান ইউক্রেনের পুরোনো ইস্পাত ও কয়লা উৎপাদনকারী এলাকাটিকে। যার অর্থ দাঁড়ায় সমগ্র দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক মিলিয়ে একটি বড় অঞ্চল। প্রধানত রুশ-ভাষী এই এলাকাটিকে ‘মুক্ত করার’ কথা বার বার বলে আসছেন পুতিন।

পূর্ব ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর নির্দেশের আগে রুশপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ন্ত্রিত দুটি অঞ্চলকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। গত ২১ ফেব্রুয়ারি রাতে টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে পুতিন ইউক্রেনকে রাশিয়ার ইতিহাসের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, পূর্ব ইউক্রেন এক সময় রাশিয়ার ভূমি ছিল। পুতিনের এ ঘোষণার পরপর শুরু হয় ইউক্রেন আগ্রাসন।

 

সুত্রঃ জাগো নিউজ