বুধবার , ১৭ আগস্ট ২০১৬ | ৭ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

মারা গেছে ‘বঙ্গ বাহাদুর’ হেরেছে মাহুত

Paris
আগস্ট ১৭, ২০১৬ ৭:৪৬ পূর্বাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

ভারত থেকে পানিতে ভেসে আসা হাতি ‘বঙ্গ বাহাদুর’ মারা গেছে। কিন্তু হেরেছে মাহুত। দীর্ঘ ২০ বছর ধরে হাতি লালন পালন ও বেপরোয়া হাতি বশ মানাতে ওস্তাদ হেরে যাওয়া সেই মাহুতের ঠাঁই হয়েছে হাসপাতালে। তাঁর বুকে প্রচন্ড ব্যথা, ব্যথা আছে গলাতেও। তাই কথা বলছিলেন আস্তে আস্তে। এ জন্য তাঁর আক্ষেপের শেষ নেই। সেই আক্ষেপ ক্ষোভে পরিণত হয়েছে হাসপাতালে উপযুক্ত সেবা না পাওয়ার বেদনায়।

 

অবশ্য কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, মাহুত ভাল আছেন ও তাঁর সু-চিকিৎসা হচ্ছে। মঙ্গলবার রাত ১০টায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আট নম্বর ওয়ার্ডের ১৬ নম্বর বিছানায় কথা হয় বঙ্গ বাহাদুরের লাথিতে আহত মাহুত আবু তাহেরের সাথে। তিনি গাজীপুর সাফারি পার্কের কর্মচারী (মাহুত) বলে জানান।

 

মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার রাজকান্দি গ্রামের মান উল্লাহ’র ছেলে আবু তাহের। ভারত থেকে ভেসে আসা হাতি ‘বঙ্গ বাহাদুর’কে বশ মানাতে বন বিভাগের কর্মকর্তাদের ডাকে সাড়া দিয়ে শনিবার জামালপুরে পৌছেন এই মাহুত। পরে সরিষাবাড়ি উপজেলার কয়রা নামক স্থানে পৌছেন মাহুত তাহের।

 

সোমবার সন্ধা ৬টায় দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে তিনি হাতিটিকে বশ মানাতে কাছে গিয়ে পায়ের শিকল খুলতে উদ্যত হন। এ সময় হাতিটি ক্রুদ্ধ গর্জন দিয়ে সজোরে লাথি চালায় মাহুত তাহেরের বুকে। এতে গুরুতর আহত হন তিনি।

 

তাঁকে প্রথমে নেয়া হয় জামালপুরের সরিষাবাড়ি উপজেলা হাসপাতালে। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য সোমবার রাত ১১টায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আট নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়।

 

মঙ্গলবার রাত ১০টায় তাঁর চিকিৎসার খোঁজ নিতে হাসপাতালে গেলে আবু তাহের কাছে দাবী করেন, দীর্ঘ ২০ বছর ধরে তিনি হাতি লালন-পালন ও বশ মানানোর কাজে নিয়োজিত আছেন। কখনোই ব্যর্থ হননি তিনি। কিন্ত ‘বঙ্গ বাহাদুর’কে বশ মানানো দুরের কথা, তার প্রচন্ড লাথি খেয়ে ঠাঁই হয়েছে হাসপাতালে। এ সময় তাহের খুব আস্তে আস্তে কথা বলছিলেন।

 

তিনি জানান, বুকে এবং গলায় প্রচন্ড ব্যাথা। তাঁর আক্ষেপ, হাতিটি মারা গেলেও হেরে গেছেন তিনি। এই আক্ষেপ আরো তীব্র বেদনার সৃষ্টি করেছে তাঁর মনে। তাঁর চিকিৎসা অস্বাস্থ্যকর ওয়ার্ডে করা হচ্ছে। মঙ্গলবার সকালে ডাক্তার আসলেও রাত ১০টা পর্যন্ত কেউ খোঁজ নেয়নি।

 

এ বিষয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক আট নম্বর ওয়ার্ডের সহকারী রেজিস্টার কামরুজ্জামান আল মাহমুদ জানান, মাহুত ভাল আছেন। তাঁকে সব ধরনের চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হচ্ছে। সকালে তাঁকে ফের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে।

 

২৭ জুন প্রথম দফা বন্যার শুরুতে পানিতে ভেসে ভারত থেকে বাংলাদেশে ঢুকে পড়েছিল বন্য হাতিটি। প্রায় দেড় মাস হাতিটি কুড়িগ্রাম, সিরাজগঞ্জ ও বগুড়ার চরাঞ্চলে ঘুরে বেড়ানোর পর জামালপুরের সরিষাবাড়ির কয়রায় পৌছে। মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৬টায় মারা যায় হাতিটি।

সূত্র: এনটিভি

সর্বশেষ - জাতীয়