মানুষের আস্থার প্রতিক আল-আকসা ডেভেলপার্স প্রাইভেট লিমিটেড


নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজশাহী নগরীর স্বনামধন্য ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানের নাম আল-আকসা ডেভেলপার্স প্রাইভেট লিমিটেড। আল-আকসা ডেভেলপার প্রাইভেট লিমিটেড শুধু একটি প্রতিষ্ঠানের নাম নয়, মানুষের আস্থা ও ভালবাসার জায়গা থেকে এটি এখন ব্যান্ডে পরিণত হয়েছে। রাজশাহী নগরীর প্রথমস্থান অর্জনকারী এই প্রতিষ্ঠানটি যেমন শুরু থেকে সুনামের সাথে কাজ করছেন, তেমনি নগরবাসীকে নির্ভরযোগ্য, নিরাপদ আবাসন উপহার দিয়ে যাচ্ছে।

যার কারণে বর্তমান রাজশাহীতে যেগুলো ডেভেলপার কোম্পানী রয়েছে তাদের মধ্যে সততা ও নিষ্ঠার জোরে আল-আকসা প্রথমস্থান অর্জন করে আছে। এইটি প্রডাক্টের গুনগত মান যেমন ঠিক থাকলে মানুষ সবান্ধবে তা গ্রহণ করে, তেমনি আল-আকসাও নিজ গুণ ও কর্মের কারণে আজ রাজশাহীর বুকে শীর্ষস্থান অধিকারের মুকুট পরে আছে।

জানা গেছে, আল-আকসার পথচলা খুব বেশি সময়ের নয়। ২০১৪ সাল থেকে আল-আকসার পথচলা শুরু। হাটি হাটি পা-পা করে ছোট শিশু আল-আকসা আজ যুবকে পরিণত হয়েছে। সময় গড়িয়েছে প্রায় এক যুগ। এ পথচলা খুব কঠিন হলেও শুরু থেকেই আল-আকসাকে পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। এক যুগেই আল-আকসা রাজশাহীতে একটি ব্যান্ডে পরিণত হয়েছে। অল্প সময়ের গল্প হলেও অনেক চুড়াই-উৎরাই পেরোতে হয়েছে আল-আকসাকে। বলা হয় ‘সততাই সর্বোৎকৃষ্ট পন্থা’। সততাকেই পুঁজি করে আল-আকসা আজ জায়গা করে নিয়েছে উচ্চ শিখরে।

বহুতল ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে যে গুনগুলো একজন ডেভেলাপারের থাকা প্রয়োজন তার সবই অর্জন করেছে আল-আকসা। মানসম্পুর্ন, বহুতল ভবন নির্মাণে নৈপুন্যতা, কারুকাজ, আধুনিকায়ন, উন্নত প্রযুক্তি কোনোটির কম নেই আল-আকসার। নগরীতে এখন পর্যন্ত অত্যাধুনিক যে কয়টি ভবন মাথা উচু করে দাঁড়িয়ে আছে, তার অধিকাংশরই কারিগর আল-আকসা ডেভেলপার প্রাইভেট লিমিটেডের। শুধু মানের ক্ষেত্রেই নয়, আল-আকসার যেমন রয়েছে নিজস্ব বৈশিষ্ট, প্রতিটি বহুতল ভবনেও ঠাই হয়েছে নিজস্ব বৈশিষ্ঠ্যতা। ভবনগুলোর রয়েছে ঐতিহ্যবাহি নামও। প্রতিটি ভবনের নামকরণও করা হয়েছে বিশেষায়িতভাবে। এক একটি ভবন এক এক ধরনের বৈশিষ্ট্য বহণ করছে। নগরীর উত্তর থেকে দক্ষিণ, পশ্চিম থেকে পূর্ব, সবখানেই রয়েছে আল-আকসার ছোঁয়া।

বিষয়টি নিয়ে আল-আকসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান কাজি বলেন, আল-আকসা শুধুই ব্যবসা করে না। মানুষের মৌলিক অধিকারের দিকেও নজর দেয়। ভবন নির্মাণের নৈপন্যতা, গুনগত মান ঠিক রাখাই আল-আকসার মুল আদর্শ। তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করি প্রতিটি মানুষ যেনো মৌলিক অধিকার আবাসন পায়। কারণ খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান ও চিকিৎসা এই কয়টি মানুষের মুল অধিকার। সেই অধিকারের জায়গা থেকে আল-আকসা নিরলস প্রচেষ্টা কওে যাচ্ছে।

আগামীতেও যাবে। একটি ভবন নির্মাণ করতে গেলে প্রথমে যেটি আসে সেটি হলো সততা ও গুনগত মান। এই সততা ও গুনগত মানটাকে সব সময় আল-আকসা প্রাধান্য দিয়ে এসেছে। তিনি বলেন, রাজশাহীতে অনেক ডেভেলপার রয়েছে। কিন্তু একমাত্র আল-আকসা নির্ধারিত সময়ের আগে মানসম্মত ভবন নির্মাণ করে ক্রেতাদের বুঝিয়ে দিয়েছে। যার কারণে আল-আকসা মানুষের আস্থার ঠিকানা হিসাবে চিহ্নিত হয়েছে। তিনি বলেন, রাজশাহীর সাধারণ মানুষ যেনো স্বল্পমূল্যে ফ্ল্যাটের মালিক হতে পারে সেই কাজটিও করছে আল-আকসা। কিভাবে মানুষ স্বল্পমূল্যে ফ্ল্যাট কিনতে পারবে সেই পরিকল্পনা করছে আল-আকসার। একটি সাধারণ পরিবার যেনো একটি ফ্ল্যাটের মালিক হয়, মাথা গোজার ঠাঁই পায় সেই চেষ্টাও করে যাচ্ছি।

তিনি আরো বলেন, এখন পর্যন্ত নির্ধারিত সময়ের আগেই চারটি বহুতল ভবন নির্মাণ করে ক্রেতাদের মাঝে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বছরেই শেষ হবে আরো পাঁচটি বহুতল ভবন। চলমান প্রকল্প রয়েছে তিনটি। এসব চলমান কাজগুলোও নির্ধারিত সময়ের আগেই শেষ হবে বলে আশা করছি। তিনি আরো বলেন, রাজশাহীর পুরোনো পাসপোর্ট অফিসের সামনে নির্মাণ হবে কনডোমেনিয়াম নামে বিশাল ভবন। এটি দুই বিঘা জমির উপর নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। এটি হবে রাজশাহীর সবচেয়ে অত্যাধুনিক একটি ভবন। এখানে শিশুদের জন্য থাকবে খেলার জায়গা, সুইমং পোলসহ স্থাপন করা হবে নতুন নতুন প্রযুক্তিগত দিক। এটি আল-আকসার সবচেয়ে বড় প্রজেক্ট। এটি নির্মিত হলে রাজশাহী ভিন্নমাত্রার রুপ পাবে।

এদিকে রাজশাহীতে চলছে আবাসন মেলা। এই মেলাতেও আল-আকসা পেয়েছে সাফল্য। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত আল-আকসার স্টলে লোকজনের ভীড় দেখা যায়। কারণ মানুষের আস্থায় জায়গা থেকেই মেলায় এসে আল-আকসার স্টলে ঘুরছেন, দেখছেন ভবনের ডিজাইন। নিচ্ছেন পরামর্শও।