মানসিক রোগী ছিলেন না সুশান্ত

সুশান্ত সিং রাজপুত মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন না। তিনি মানসিকভাবে সুস্থ ছিলেন। সুশান্ত সিং রাজপুতের বন্ধু পঙ্কজ দুবের কথা থেকে আরও কিছুটা স্পষ্ট ধারনা প্রকাশ্যে আসছে সুশান্তের মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে। সম্প্রতি এক সংবাদমাধ্যমের হাতে এসে পৌঁছায় সুশান্তের ডায়রি। যেখানে পিডি নামে এক ব্যক্তির উল্লেখ দেখা যায়। পিডি অর্থাত পঙ্কজ দুবে।

লেখক পঙ্কজ দুবের কথায়,মানসিক দিক সুস্থ একজন মানুষ ছিলেন সুশান্ত। প্রত্যেকটি কাজে যাঁর উদ্যম চোখে পড়ত। স্থানীয় জিনিসের সঙ্গে আন্তর্জাতিকমানের দ্রব্যের মেলবন্ধন ঘটানোই সুশান্তের লক্ষ ছিল। সেই অনুযায়ী, ‘গ্লোকাল’ নামে নতুন কিছু তৈরি করতে চাইছিলেন সুশান্ত। যা নিয়ে তাঁদের মধ্যে বহুবার আলোচনা হয়েছে বলেও জানা যায় পঙ্কজ দুবের কথা থেকে।

সুশান্ত এমন একজন মানুষ ছিলেন যিনি নিজের স্বপ্নকে কীভাবে পূর্ণ করতে হয়, তা নিয়ে সব সময় ভাবনাচিন্তা করতেন। তাই সুশান্তের মানসিক অবসাদ বলে কিছু ছিল বলে তাঁর চোখে পড়েনি বলেও দাবি করেন পঙ্কজ দুবে।

যদিও তিনি কোনও মানসিক রোগের চিকিতসক নন যে সবকিছু বুঝতে পারবেন। তবে সুশান্ত যে মানসিক দিক থেকে একদম সুস্থ প্রকৃতির মানুষ ছিলেন, তা বুঝতে তাঁর কোনও অসুবিধা হয়নি বলেও স্পষ্ট জানান পঙ্কজ দুবে।

এদিকে সম্প্রতি রিয়া চক্রবর্তী দাবি করেন, ২০১৯ সালের অক্টোবর মাসে তাঁরা যখন ইতালিতে বেড়াতে যান, সেই সময় প্রথম সুশান্তের মানসিক অসুস্থতা তাঁর চোখে পড়ে। ফ্লোরেন্সের যে হেরিটেজ হোটেলে তাঁরা ছিলেন, সেখানে পুরনো দিনের আঁকা ছবি দেখে নাকি সুশান্ত মন্ত্র উচ্চারণ করতে শুরু করেন।

এমনকী, ওই ছবির চরিত্রগুলিকে সুশান্ত নিজের চোখে স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছেন বলেও রিয়া এবং তাঁর ভাইকে সুশান্ত জানিয়েছিলেন বলে দাবি করেন অভিনেত্রী।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ