মহারাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান বুলির বিরুদ্ধে ৯ ইউপি সদস্যের অনাস্থা

নিজস্ব প্রতিবেদক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ:
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এজাবুল হক বুলি’র বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে অনাস্থা দিয়েছে ৯ ইউপি সদস্য।
এছাড়াও বিভিন্ন দুর্নীতি-অনিয়মের বিষয়ে জেলা প্রশাসক, স্থানীয় সরকার শাখার উপ-পরিচালক, উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ করেছেন ইউপি সদস্যগণ।
সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্যগণের ও অভিযোগের অনুলিপি সূত্রে জানা যায়, ইউপি চেয়ারম্যান এজাবুল হক বুলির নানা দুর্নীতি, অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা, ইউপি সদস্যদের উপর বিভিন্ন অত্যাচারে অতিষ্ঠ হওয়ার কারনে একত্রিত হয়ে অনাস্থা জ্ঞাপন করেছেন ইউপি সদস্যগণ।
ইউনিয়ন পরিষদের বাইরে একটি বিশেষ সভায় সকলে মিলে হয়ে অনাস্থা দেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা দিয়েছেন, মহিলা ইউপি সদস্য মোসা. মিলি বেগম, সুফিয়া বেগম, ওয়ার্ড সদস্য ফিরোজ আহমেদ, আবুল কালাম আজাদ, রুবেল আলী, ইসরাফিল হক, সেমাজুল হক, জলিল উদ্দিন জালাল ও আবুল কালাম।
জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগের সাথে সংযুক্ত নথি সূত্রে জানা যায়, ইউপি চেয়ারম্যান এজাবুল হক বুলি কাবিখা, টিআর, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নির্মাণ ও সংস্কার কাজ, ইউপি সদস্যের সম্মানী, চাকুরি দেয়ার নামে টাকা নেয়া, করোনাকালে সরকারি বরাদ্দ, সালিশ হতে প্রাপ্ত অর্থ এবং ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন সরকারি কাজের ৩৮টি সুনির্দিষ্ট বিষয়ে ব্যাপক দুর্নীতি-অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাৎ করেছেন।
এতে আরো বলা হয়, চেয়ারম্যান বুলির ব্যাপক দুর্নীতির কারনে মহারাজপুর ইউনিয়নের জনসাধারণ বিভিন্ন সরকারি সুবিধা ও উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত। ফলে ইউনিয়নের জনসাধারণের স্বার্থে অনাস্থা দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইউপি সদস্যগণ।
অনাস্থা ও অভিযোগের বিষয়ে মহারাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. এজাবুল হক বুলি জানান,এ সকল অভিযোগের কোনো ভিত্তি নাই, আমার ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। আমার ইউনিয়নের এই সদস্যরা আমার উপর মারমুখী হয়ে গত ২৯ জুন রাতে ও ৩০ জুন দিনে পরিষদে দায়িত্ব পালন কালে মদ খেয়ে হামলা চালায়।
তারপরও ত্রাণ কার্যক্রম সহ সার্বিক বিষয় চলমান রয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আমি থানায় অভিযোগ করি যা তদন্তধীন রয়েছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান তোসিকুল ইসলাম বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, আমরা আজ১৪ জুলাই সরজমিন তদন্তে যাবো। তদন্তে সত্যতা পাওয়া গেলে জেলা অফিসের সমন্ময়ে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এবিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল ইসলাম সরকার মুঠোফোনে বলেন, এখনও এমন কোন অভিযোগ হাতে পায়নি। তবে তা পেলেই তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
স/আ.মি