সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক :
রাসূলুল্লাহর (সা.) জন্মের দিন ও মাস নিয়ে ঐতিহাসিকরা মতানৈক্য করেছেন। তবে জন্মের সাল নিয়ে সবাই একমত প্রকাশ করেছেন।
তার জন্মের সাল ছিল আমুল ফিল তথা হস্তিবর্ষ। ইমাম ইবনুল কাইয়ূম (রহ.) বলেন, ‘এতে কোনো সন্দেহ নেই যে, রাসূলুল্লাহ (সা.) মক্কা শহরে হস্তিবর্ষে জন্মগ্রহণ করেন।’ (যাদুল মাআদ, ১ম খণ্ড, পৃষ্ঠা- ৭৬) বেশির ভাগ সিরাত রচয়িতার অভিমত অনুযায়ী, এ ঘটনা রাসূলুল্লাহর (সা.) জন্মের ৫০ অথবা ৫৫ দিন আগে ঘটেছিল।
ইবনে ইসহাক (রহ.) বলেন, তার জন্ম ছিল হস্তিবর্ষে। ইবনে কাছির বলেন, অধিকাংশ আলেমের কাছে এ অভিমতটি প্রসিদ্ধ। ইমাম বুখারির উস্তাদ ইবরাহিম ইবনে মুনযির বলেছেন, এ ব্যাপারে কোনো আলেম দ্বিমত পোষণ করেননি।
অধিকাংশ আলেমের মত হলো, নবী (সা.) সোমবারে জন্মগ্রহণ করেন, সোমবারে নবুওয়ত পান এবং সোমবারেই মৃত্যুবরণ করেন।
আবু কাতাদা আনসারি (রা.) থেকে বর্ণিত- “রাসূলুল্লাহকে (সা.) সোমবারে রোজা রাখার কারণ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল। তিনি বলেন, এ দিনে আমি জন্মগ্রহণ করেছি এবং এ দিনে আমাকে নবুওয়াত প্রদান করা হয়েছে অথবা এ দিনে আমার উপর (অহি) নাযিল হয়েছে।” (সহিহ মুসলিম, ১১৬২)
রাসূলুল্লাহর (সা.) জন্মের মাস ও তারিখ নিয়ে যেসব মতবিরোধ রয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য মতামত হলো- রবিউল আউয়ালের ২ তারিখ। (আস-সিরাতুন নববিয়াহ, ১ম খণ্ড, পৃষ্ঠা নং-১৯৯)
কেউ কেউ বলেন, রবিউল আউয়ালের ৮ তারিখ। হাফেজ আবুল খেতাব ইবনে দিহইয়াহ ‘আত-তানবির ফি মাওলিদিল বাশিরিন নাজির’ গ্রন্থে এ মতটিকে প্রাধান্য দিয়েছেন”। (আস-সিরাতুন নববিয়াহ, ১ম খণ্ড, পৃষ্ঠা নং- ১৯৯)
কেউ কেউ বলেন, রবিউল আউয়ালের ১০ তারিখ। (আস-সিরাতুন নববিয়াহ, ১ম খণ্ড, পৃষ্ঠা নং- ১৯৯)
অধিকাংশ আলেমের মতামত হলো- রবিউল আউয়ালের ১২ তারিখ প্রিয়নবী (সা.) এ ধরায় শুভাগমন করেছেন। (আস-সিরাতুন নববিয়াহ, ১ম খণ্ড, পৃষ্ঠা নং- ১৯৯)
এছাড়াও কেউ কেউ বলেন, তিনি জন্মগ্রহণ করেছেন রমজান মাসে, কারো কারো মতে, সফর মাসে; ইত্যাদি আরও অভিমত রয়েছে।
সূত্র: যুগান্তর