এই সরকারের ক্ষমতায় থাকার কোন অধিকার নাই: মিনু

নিজস্ব প্রতিবেদক :
বর্তমান সরকার নির্বাচিত নয়। এই সরকারের ক্ষমতায় থাকার কোন অধিকার নাই। দেশের কোন প্রকার সিদ্ধান্ত দেয়ারও অধিকার বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর নাই। বিগত কয়েকটি নির্বাচনে ভোট ডাকাতি করে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হয়েছে। তাঁর দলের ভোট ডাকাতরা এমপি হয়েছেন। আর এই কাজে সহযোগিতা করেছে আজ্ঞাবহ প্রশাসনের এবং আইনশৃংখলাবাহিনীর কিছু সদস্যরা। এ থেকেই বুঝা যায় আওয়ামী লীগ জনগণকে বিশ্বাস করেনা।
ঢাকা-৫ এবং নওগাঁ-৬ আসনের উপ-নির্বাচনে ভোট ডাকাতির ফলাফল প্রত্যাখান করে আজ সোমবার রাজশাহী মহানগর ও জেলা বিএনপি’র আয়োজনে বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বেগম খালেদা জিয়ার অন্যতম উপদেষ্টা, সাবেক মেয়র ও সংসদ সদস্য মিজানুর রহমান মিনু এই কথাগুলো বলেন।
তিনি আরো বলেন, এ সরকার সকল ক্ষেত্রে দূর্নীতি করছে। পদ্মা সেতুর মেয়াদ আবারও বেড়েছে। সেই সাথে ব্যায় বেড়েছে আরো এক হাজার কোটি টাকা। এই সরকার আর কিছুদিন ক্ষমতায় থাকলে বাংলাদেশের জনগণকেও বহি বিশ্বের নিকট বিক্রি করে দেবে বলে জানান তিনি। সরকারের অবৈধ এমপি, মন্ত্রী ও তাদের দলের নেতাকর্মীরা টাকার পাহাড় গড়ে তুলেছে।
তিনি আরো বলেন, বেগম খলেদা জিয়া এখনো জামিনে মুক্ত হয়নি। তাঁকে মুক্ত করতে কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলেতে হবে। আর এই আন্দোলনে সকলকে রাজপথে থাকার আহবান জানান মিনু। সেইসাথে এই দুই আসনের প্রহসনের নির্বাচন বাতিল করে পুণরায় নির্বাচন দেয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনের নিকট দাবী জানান তিনি।
নগরীর মালোপাড়াস্থ বিএনপি কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক, রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সভাপতি ও রাসিক সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপি জাতীয় কমিটির ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলন, বিএনপি জাতীয় কমিটির সদস্য ও রাজশাহী জেলা বিএনপি’র আহবায়ক আবু সাঈদ চাঁদ, সদস্য সচিব বিশ্বনাথ সরকার, বোয়ালিয়া থানা বিএনপি’র সভাপতি সাইদুর রহমান পিন্টু, মতিহার থানা বিএনপি’র সভাপতি আনসার আলী, বোয়ালিয়া বিএনপি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি শাফিকুল ইসলাম সাফিক, মহানগর বিএনপি’র সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মামুনুর রশিদ মামুন।
আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপি’র আহবাক কমিটির সদস্য অধ্যাপক আব্দুস সামাদ, ডিএম জিয়াউর রহমান, প্রফেসর শাহাদত হোসেন, প্রফেসর আবু হেনা, সিরাজুল ইসলাম, সদর উদ্দিন ও রায়হানুল আলম রায়হান, মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি ওয়ালিউল হক রানা, মতিহার থানা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক ডিকেন, বোয়ালিয়া থানা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক দিলদার হোসেন, রাজপাড়া থানা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক মুরাদ পারভেজ পিন্টু।
পবা উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক সেলিম রেজা বাচ্চু, গোদাগাড়ী উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল মালেক, চারঘাট উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক অধ্যক্ষ আব্দুল কুদ্দুস, যুগ্ম আহবায়ক অধ্যক্ষ হাফিজুর রহমান, চারঘাট পৌরসভার আহবায়ক কাউন্সিলর আব্দুল ওয়াহাব, ভবানীগঞ্জ পৌরসভা বিএনপি’র আহবায়ক আখতারুজ্জামান বল্টু, কাঁকনহাট পৌরসভার আহবায়ক মন্টুর রহমান মন্টু, পুঠিয়া পৌরসভার আহবায়ক আসাদুজ্জামান আসাদ, প্রফেসর মোজাফ্ফর হোসেন।
এছাড়াও মহানগর যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল হাসনাইন হিকোল, যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনকি সম্পাদক ও রাজশাহী জেলা যুবদলের সভাডতি মোজাদ্দেদ জামানী সুমন, মহানগর যুবদলের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সুইট, সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান রিটন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি জাকির হোসেন রিমন, সাধারণ সম্পাদক আবেদুর রেজা রিপন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক ওয়ালিউজ্জামান পরাগ, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক আনন্দ কুমার, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মীর তারেক, জেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব নাজমুল হক, মহানগর মহিলা দলের যুগ্ম আহবায়ক এ্যাডভোকেট রওশন আরা পপি, জেলা মহিলা দলের সভাপতি এ্যাডভোকেট শামসাদ বেগম মিতালী, সাধারণ সম্পাদক সখিনা খাতুন, মহানগর মহিলা দলের যুগ্ম আহবায়ক নুরুন্নাহার, জরিনা, গুলশান আরা মমতা ও রোজি।
ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও মহানগর ছাত্রদলের মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রবি, সভাপতি আসাদুজ্জামান জনি, রাজশাহী জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম জনি, রাবি ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক সুলতান আহম্মেদ রাহী, শাহরিয়ার আমিন বিপুল ও যুগ্মা সাধারণ সম্পাদক আকবার আলী জ্যাকিসহ মহানগর বিএনপি’র সাংগঠনিক ৩৫ টি ওয়ার্ড ও জেলা বিএনপি’র বিভিন্ন উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডসহ অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
স/আ.মি