বৃহস্পতিবার , ১১ মে ২০২৩ | ১৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

‘মসজিদে ভর করে রাজনীতি’ করছে জামায়াত : চৌদ্দগ্রামে সংবাদ সম্মেলন

Paris
মে ১১, ২০২৩ ৫:০৭ অপরাহ্ণ

সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক:

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নিয়ে জামায়াত-শিবির ‘রাজনীতি’ করছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। উপজেলার মুন্সিরহাট ইউনিয়নের ছোটখিল জামে মসজিদের মুসল্লিরা এই অভিযোগ তুলে জড়িতদের বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। এতে অভিযোগ করা হয়, অন্য কোথাও দাঁড়াতে না পেরে চৌদ্দগ্রামে এখন ‘মসজিদের ওপর ভর করে’ রাজনীতি করছে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা।

বৃহস্পতিবার (১১ মে) দুপুরে চৌদ্দগ্রাম প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মুসল্লিদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য দেন মসজিদ পরিচালনা কমিটির সহসভাপতি ইউসুফ মজুমদার। এ সময় মসজিদের বেশ কয়েকজন মুসল্লি উপস্থিত ছিলেন।

লিখিত বক্তব্যে ইউসুফ মজুমদার বলেন, চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ছোটখিল গ্রামে কোনো মসজিদ ছিল না। ২০১২ সালে আমার বাবা ও চাচারা একটি মসজিদ নির্মাণের জন্য ছয় শতক এবং পরবর্তী সময়ে আমি ব্যক্তিগতভাবে আরো দুই শতক মিলিয়ে সর্বমোট আট শতক জায়গা ওয়াক্ফ্‌ করে দিই। মসজিদ নির্মিত হওয়ার পর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে আমার বাবা তাজুল ইসলাম মজুমদার দায়িত্ব পালন করে আসছেন। প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে এ পদে তিনি আমৃত্যু দায়িত্ব পালন করবেন বলে গ্রামবাসী সিদ্ধান্ত নেয়। আর সেক্রেটারি হিসেবে মুসল্লিদের পক্ষ থেকে সর্বসম্মতিক্রমে যেকোনো একজন দায়িত্ব পালন করবেন। সেই হিসেবে ২০২২ সালে সর্বশেষ গঠনকৃত কমিটির সেক্রেটারির দায়িত্ব পালন করছেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মো. দুলাল হাজারী। অথচ গত ৯ মে জামায়াত-শিবিরেরে নেতাকর্মীরা আমাদের মসজিদ নিয়ে অপপ্রচার চালিয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।
তাদের আয়োজিত কথিত সংবাদ সম্মেলনে আমার ভাই মাওলানা মোস্তফা মজুমদারকে সেক্রেটারি বলে অপপ্রচার চালানো হয়। কমিটির সভাপতি আমার বাবা অসুস্থ থাকার কারণে সহ-সভাপতি হিসেবে আমি সেক্রেটারির সঙ্গে সমন্বয় করে মসজিদ পরিচালনা করে আসছি।

মসজিদের দায়-দেনা পরিশোধ শেষে কমিটির সহ-সভাপতি মো. ইউসুফ মজুমদার ও সেক্রেটারি দুলাল হাজারির নামে সিটি এজেন্ট ব্যাংক দেড়কোটা শাখায় একটি যৌথ হিসাব খোলা হয়েছে, যার মাধ্যমে মসজিদের হিসাব পরিচালিত হয়ে থাকে। অথচ কথিত সংবাদ সম্মেলনে তারা অপপ্রচার করেছেন, মসজিদের কোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নেই এবং তারা অপপ্রচার চালিয়েছেন যে আমরা মসজিদের টাকা আত্মসাৎ করেছি।

ইউসুফ মজুমদার আরো বলেন, মুসল্লিদের সাথে আলোচনা করে বার্ষিক চাঁদা নির্ধারণ করা হয়। পরিচালনা কমিটির মেয়াদ দুই থেকে তিন বছর থাকে। সে অনুযায়ী ২০২২ সালের গঠিত কমিটির মেয়াদ শেষ হবে ২০২৪-২০২৫ সালে। গ্রামবাসীর ইবাদত করার জন্য আমরা পারিবারিকভাবে জায়গা ওয়াক্ফ করে দেওয়া ছাড়াও মসজিদ নির্মাণের জন্য সাবেক রেলমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক এমপিসহ বিভিন্ন ব্যক্তিদের কাছ থেকে দান-অনুদান সংগ্রহ করি। গত মঙ্গলবার যারা কথিত সংবাদ সম্মেলন করেছেন, তাদের ব্যক্তিগত কোনো অনুদান বা তারা কারো কাছ থেকে একটি টাকাও সংগ্রহ করে দেননি।

তিনি আরো বলেন, একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আমার দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে এবং আমার রাজনৈতিক অভিভাবক মুজিবুল হক এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর আমি ছোটখিল গ্রামের উন্নয়নে বিভিন্ন দান-অনুদান নিয়ে আসি। আমার এ কর্মকাণ্ড সহ্য করতে না পেরে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ জামায়াত-শিবির বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র করছে। সর্বশেষ আর কোনো কিছু না পেয়ে আমাদের মুসলমানদের প্রিয় স্থান মসজিদকে হাতিয়ার বানিয়ে তারা আমার বিরুদ্ধে নতুন করে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।

ইউসুফ মজুমদার বলেন, জামায়াত এখন মসজিদের ওপর ভর করে রাজনীতি করতে চায়। এ জন্য এই তারা গত ৯ মে কথিত সংবাদ সম্মেলনে অপপ্রচার চালিয়ে আমার ও আমার পরিবারের মান-সম্মান নষ্টের চেষ্টা করেছে। আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমি ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তকারীদের মুখোশ উন্মোচনে সত্য উদ্ঘাটনে সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করছি। সূত্র: কালের কণ্ঠ

সর্বশেষ - অন্যান্য