মনে হচ্ছিল ক্যামেরার সামনে বঙ্গবন্ধু ঘুরে বেড়াচ্ছেন : গৌতম ঘোষ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্কঃ 

যখন এই তথ্যচিত্র  নির্মাণে একটি আবেগ কাজ করেছে। যখন আমি ক্যামেরা চালিয়েছি তখন মনে হয়েছে ক্যামেরার সামনে বঙ্গবন্ধু ঘুরে বেড়াচ্ছে। এ তথ্যচিত্র নির্মাণে বঙ্গবন্ধুর  অসমাপ্ত আত্মজীবনী ও শেখ হাসিনার লেখা বই সবচেয়ে অথেনটিক হিসেবে মনে করি।

‘কলকাতায় বঙ্গবন্ধু’ নিয়ে তথ্য চিত্র বানাচ্ছেন নির্মাতা গৌতম ঘোষ।

বৃহস্পতিবার বিকেলে পররাষ্ট্র  মন্ত্রণালয়ে তিনি এসব কথা  বলেন। ফ্রেন্ডস অফ বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ হাইকমিশনের যৌথ প্রযোজনায় তৈরি হচ্ছে এই তথ্যচিত্র।   গত এপ্রিলের প্রথমদিকে শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিবিজড়িত মৌলানা আজাদ কলেজে  আনুষ্ঠানিকভাবে ‘কলকাতায় বঙ্গবন্ধু’ তথ্যচিত্রেকে শুটিং শুরু করেন ভারতের জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত এই চলচ্চিত্র পরিচালক।

গৌতম ঘোষ জানান, এ তথ্য চিত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কথা চিত্রায়িত করতে সম্মত । বঙ্গবন্ধুর জীবনের ব্যাপ্তি এত বড় যে কলকাতার পর্বটি দেখলেই বোঝা যাবে তার সাহসিকতা।

গৌতম ঘোষ আরও বলেন, এ তথ্যচিত্র সম্পূর্ণভাবে বঙ্গবন্ধুর ওপরই নির্মিত হবে।

এ সময়  উপস্থিত  পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড.এ.কে আবদুল মোমেন বলেন, এ ধরনের ছবি স্বাধীনতার পর তৈরি করলে ভালো হতো। ১৯৭৫ সালে এক অন্ধকার নেমে আসার কারণে এ বিষয়ে অগ্রসর হওয়া যায়নি।

kalerkanthoকলকাতায় বঙ্গবন্ধু তথ্যচিত্র নির্মাণ বিষয়ক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকায় গৌতম ঘোষ

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেন, কলকাতার পর্বটি বাদ দিলে বঙ্গবন্ধুরর জীবন সম্পর্কে জানা অপূর্ণ থেকে যায়।   কলকাতার মৌলানা আজাদ কলেজে পড়া, বেকার হোস্টেলে থাকা, কলকাতা  বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আন্দোলনে জড়িয়ে পড়া, আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে রাত কাটানো, পার্ক সার্কাসে ঘুরে বেড়ানো, ব্রিগেডের ময়দানে তার আগুন ঝরানো ভাষণ- এমন আরও অনেক কিছু বঙ্গবন্ধুর কলকাতা শহরের অলিগলি থেকে তুলে এনে ক্যামেরাবন্দি করছেন গৌতম ঘোষ।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর জীবনে কলকাতা শহরের বড় ভূমিকা রয়েছে। সে বিষয়টিকে উপজীব্য করে ‘কলকাতায় বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক একটি তথ্যচিত্র বানাচ্ছেন প্রখ্যাত চচ্চিত্র পরিচালক গৌতম ঘোষ। এই তথ্যচিত্রে বঙ্গবন্ধুর ছাত্রজীবন ও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, কলকাতায় তার জীবন ও কর্মকাণ্ড তুলে ধরা হবে।

দীর্ঘ গবেষণায করে তৈরি চিত্রনাট্যটির আলোকে তথ্যচিত্র নির্মাণের বিষয়ে একটি ত্রিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনার তৌফিক হাসান, চলচ্চিত্র পরিচালক গৌতম ঘোষ এবং ফ্রেন্ডস অফ বাংলাদেশের সহ-সভাপতি সত্যম রায়চৌধুরী।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ