সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্র-ইরান দ্বন্দ্ব কি শেষ পর্যন্ত সেখানে একটি পারমাণবিক অস্ত্র প্রতিযোগিতার জন্ম দেবে? এ ধরনের একটি আশঙ্কা দেখা দিয়েছে যখন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ জারিফ গেল সপ্তাহে নয়াদিল্লিতে বলেছেন, তার দেশ এনপিটি থেকে বের হয়ে আসবে এবং ভবিষ্যতে আর কখনোই পারমাণবিক কোনো চুক্তিতে স্বাক্ষর করবে না (ফিন্যান্সিয়াল টাইমস, ২০ জানুয়ারি ২০২০)।
এনপিটি বা Treaty on the Non-Proliferation of Nuclear Weapons স্বাক্ষরিত হয়েছিল ১৯৬৮ সালে। ১৯৭০ সালের মার্চ থেকে তা কার্যকর হয়েছে। এ চুক্তির উদ্দেশ্য হচ্ছে- পারমাণবিক অস্ত্রের বিস্তার রোধ করা। ১৯৯৫ সালের ১১ মে স্বাক্ষরিত অপর একটি চুক্তির ফলস্বরূপ এ চুক্তি অনির্দিষ্টকালের জন্য কার্যকর রয়েছে।
ইরান ১৯৬৮ সালেই এনপিটিতে স্বাক্ষর করে এবং ইতিমধ্যে তা অনুমোদনও করেছে। চুক্তির ধারা X.1 বলে চুক্তি স্বাক্ষরকারী কোনো দেশ এ চুক্তি থেকে বের হয়ে যেতে পারবে, যদি ‘সেই দেশের স্বার্থের পরিপন্থী কিছু ঘটে’ থাকে (Jeopardized the supreme interests of its country) উত্তর কোরিয়া ১৯৯৩ সালের মার্চ মাসে এনপিটি থেকে বেরিয়ে গেছে। এখন ইরান উত্তর কোরিয়ার পথ অনুসরণ করতে পারে।
ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক সমঝোতা থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বেরিয়ে যাওয়া এবং বর্তমান সংকটের পরিপ্রেক্ষিতে ইউরোপীয় শক্তিগুলোর (যারা ওই সমঝোতা চুক্তির অংশ) পক্ষ থেকে ‘ট্রাম্প ডিল’ নামে নতুন একটি চুক্তির কথা বলা হয়েছে। যদিও এ ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। এ ব্যাপারে কোনো আলোচনাও শুরু হয়নি। ইরানের মনোভাব এ ব্যাপারে ইতিবাচক নয়। তবে ইরানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ইরান এ অঞ্চলের নিরাপত্তা সম্পর্কিত প্রস্তাব দিতে প্রস্তুত।
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, হরমুজ প্রণালির অন্তর্ভুক্ত দেশগুলো ইরানকে কতটুকু বিশ্বাস করতে পারবে? কিংবা ইরান যদি কোনো প্রস্তাবও উত্থাপন করে, তাতে উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলো সন্তুষ্ট হবে কি না? মূল সমস্যা প্রভাব বলয় বিস্তারের রাজনীতি- একদিকে সৌদি আরব, অন্যদিকে ইরান। এ অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে আস্থাহীনতা তৈরি হয়েছে। ইরান সংকটকে কেন্দ্র করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সৌদি আরবে আরও সৈন্য পাঠিয়েছে।
সৌদি আরবের পৃথক একটি Air Defense Force (RSADF) রয়েছে। RSADF-এর কাছে যুক্তরাষ্ট্র নির্মিত THAAD ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসকারী মিসাইল সিস্টেম রয়েছে। কিন্তু সেটা কতটুকু কার্যকর, তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। কেননা ২০১৯ সালে ইয়েমেন থেকে নিক্ষেপিত ক্ষেপণাস্ত্র সৌদি আরবের রাজধানীকে আঘাত করলে THAAD ওই ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করতে পারেনি।
ইরানের কাছে তিন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে। সাহাব-১ (ব্যাপ্তি ১৮৬ মাইল), সাহাব-২ (ব্যাপ্তি ৩১১ মাইল) ও সাহাব-৩ (ব্যাপ্তি ১২৪৩ মাইল)। সাহাব-৩-এর আওতাভুক্ত দেশগুলো হচ্ছে : তুরস্ক, সিরিয়া, ইরাক, কাতার, আরব আমিরাত, কুয়েত, বাহরাইন, সৌদি আরব ও ওমান। ইরাকে মার্কিনঘাঁটিতে ১৫টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ইরান জানান দিল তারা উপসাগরীয় অঞ্চলের যে কোনো স্থানে আঘাত হানতে সক্ষম। এ পরিস্থিতি সৌদি আরবকে যে উদ্বিগ্ন করবে, তা বলাই বাহুল্য।
ইরান সংকটকে কেন্দ্র করে এখন অস্ত্র প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যেতে পারে। উপসাগরীয় অঞ্চল অস্ত্রের বড় বাজারে পরিণত হতে পারে। পরিসংখ্যান বলছে, ২০০৮ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলে অস্ত্রের বড় ক্রেতা ছিল সৌদি আরব। ওই সময় ৩০৭০০ মিলিয়ন ডলারের অস্ত্র সরবরাহ করা হয়েছে। তুলনামূলকভাবে ইরানে অস্ত্র সরবরাহ করা হয়েছে কম, মাত্র ৪০০ মিলিয়ন ডলারের। ইরাকে সরবরাহ করা হয়েছে ১৪০০০ মিলিয়ন ডলারের অস্ত্র।
২০১৪-১৮ সালের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, বিশ্বে যত অস্ত্র সরবরাহ করা হয়েছে, তার মধ্যে শীর্ষে ছিল সৌদি আরব, ১২ শতাংশ (যুক্তরাষ্ট্র সরবরাহ করেছে মোট সরবরাহকৃত অস্ত্রের ৬৮ শতাংশ)। মজার ব্যাপার, অস্ত্র আমদানিকারক দেশগুলোর (৪০ দেশ) তালিকায় আরব আমিরাত (৩.৭ শতাংশ), ইরাক (৩.৭ শতাংশ), কাতার (১৪তম), ওমান (১৮তম) ও কুয়েতের (২৯তম) নাম থাকলেও ইরানের নাম নেই (সিপরি ডাটা, ২০১৯)। এর অর্থ, ইরান নিজে অস্ত্র উৎপাদন ও উন্নয়নের প্রযুক্তি অর্জন করেছে। দেশটিকে আর অস্ত্র রফতানিকারক দেশগুলোর দিকে তাকাতে হয়নি। তবে ইরান প্রতিরক্ষা খাতকে যে গুরুত্ব দেয়নি, তা নয়।
পরিসংখ্যান বলছে, প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দের পরিমাণ নিঃসন্দেহে সৌদি আরবের অনেক বেশি (৫৬৮৯৮ মিলিয়ন ডলার, জিডিপির ৮.৯২ শতাংশ)। ইরানের বরাদ্দ ১৫৮৮২ মিলিয়ন ডলার (জিডিপির ৩.৮৫ শতাংশ)। জিডিপিতে ওমানের বরাদ্দ সবচেয়ে বেশি, ১৫.২৬ শতাংশ। এখানে সক্ষমতার প্রশ্নটি আছে। বারবার অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপের ফলে ইরানের অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়েছে।
আন্তর্জাতিক বাজারে ইরান তার তেল ও গ্যাস বিক্রি করতে পারছে না। সাধারণ মানুষের মাথাপিছু আয়ও কমে গেছে। যেখানে সৌদি আরবের মাথাপিছু আয় ২০১৫০ ডলার (পিপিপিতে ৫৪৪৩১ ডলার), সেখানে ইরানের মাথাপিছু আয় ৪৬৮৩ ডলার (পিপিপিতে ১৮০৭৭ ডলার)। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মুখে ইরান তার প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় বরাদ্দ বাড়াতে পারবে বলে মনে হয় না।
ইরান সংকটকে কেন্দ্র করে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) পুনরুত্থানের আশঙ্কা করছেন কেউ কেউ। এ আশঙ্কা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের একটি ঘোষণার পর। ট্রাম্প বলেছেন, এখন থেকে আর আইএসের বিরুদ্ধে কোনো অভিযান পরিচালিত হবে না। যেহেতু আইএস সুন্নিনির্ভর। সিরিয়া-ইরাক থেকে আইএস উৎখাতে মেজর জেনারেল কাসেম সোলেমানি একটি বড় ভূমিকা পালন করেছিলেন।
ফলে মার্কিন স্ট্র্যাটেজিস্টরা ইরান তথা শিয়া নেতৃত্বের বিরুদ্ধে আইএসকে পুনরায় ব্যবহার করতে পারেন। আইএস পুনরায় সংগঠিত হতে পারে। এটি মোটামুটি সবাই জানে যে, আইএসের অর্থের একটা বড় উৎস হচ্ছে পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলের সুন্নি নেতৃত্ব। এরা সম্ভাব্য ‘ইরানি আগ্রাসন’ ঠেকাতে আইএস জঙ্গিদের ইরানের বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে।
কাতার, আরব আমিরাত, এমনকি সৌদি আরব থেকেও ফান্ড যেত আইএসের কাছে। যদিও সরকারি পর্যায়ে কখনও এ ফান্ড যেত না। বিভিন্ন চ্যানেলের মাধ্যমে এসব অঞ্চল থেকে আইএসের কাছে অর্থ সরবরাহ করা হতো। অস্ত্র সংগ্রহ, এমনকি জিহাদি জঙ্গিদের বেতন দেয়া হতো এ অর্থ থেকে। সৌদি আরবের অত্যন্ত ক্ষমতাধর প্রিন্স এবং সৌদি গোয়েন্দা সংস্থার সাবেক প্রধান বন্দর বিন সুলতান আল সউদ সিরিয়ায় সামরিক অর্থায়নের জন্য আইএসকে অর্থ সহায়তা করেছিলেন (আটলান্টিক ম্যাগাজিন, ৯ অক্টোবর ২০১৪)।
জুলিয়ান অ্যাসেঞ্জও অভিযোগ করেছিলেন, হিলারি ক্লিনটনের ক্লিনটন ফাউন্ডেশন ও আইএস কাতার ও সৌদি সরকারের কাছ থেকে অর্থ সহায়তা পেয়েছে (ফাঁস হওয়া নথি, ১১ অক্টোবর ২০১৬)। পরিবর্তিত পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে আইএসকে পুনরায় ওইসব সোর্স থেকে আর্থিক সহায়তা দেয়া হতে পারে।
ইরান সংকটকে কেন্দ্র করে পারস্য অঞ্চলে মার্কিন সেনাবাহিনীর উপস্থিতি আরও দীর্ঘস্থায়ী হবে। ইরানকে চারদিক থেকে ঘিরে একাধিক স্থাপনায় মার্কিন ঘাঁটি রয়েছে (দেখুন American Security Project, update 8 January 2020)। সম্ভাব্য যে কোনো যুদ্ধে এসব ঘাঁটিতে যেসব সেবা ও বিমান মোতায়েন রয়েছে তা ব্যবহৃত হবে।
তবে ২০০৩ সালে ইরাকের ক্ষেত্রে কিংবা ২০১১ সালে লিবিয়ার ক্ষেত্রে যা হয়েছিল, ইরানের ক্ষেত্রে তেমনটি হওয়ার সম্ভাবনা কম। অর্থাৎ ইরানে কোনো ধরনের সামরিক অভিযান পরিচালিত হবে না। ইরানের ক্ষেত্রে মার্কিন স্ট্র্যাটেজি হচ্ছে- যুদ্ধ নয়, বরং ‘রেজিম চেঞ্জ’। অর্থাৎ কট্টরপন্থী ইসলামিক সরকারের পরিবর্তে সেখানে একটি মডারেট সরকারকে ক্ষমতায় বসানো।
সাম্প্রতিক সময়ে ইরানের প্রয়াত রেজা শাহ পাহলভির জ্যেষ্ঠ সন্তান রেজা পাহলভি তৎপর হয়েছেন। তিনি তেহরানে সরকার পরিবর্তনের জন্য ওয়াশিংটনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তবে বাস্তবতা হচ্ছে, ইরানের জনগণ পাহলভি রাজবংশকে পুনরায় আর ক্ষমতায় দেখতে চাইবে না। ইরানে শিয়া ধর্মীয় নেতৃত্বের অবস্থান যথেষ্ট শক্তিশালী। ধর্মীয় নেতৃত্বকে উৎখাত করা সহজ নয়।
ওয়াশিংটনের সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের সিনিয়র গবেষক এন্থোনি এইচ করডেসম্যান মনে করেন, ইরানের ওপর ‘চাপ’ বাড়ালে ইরান পারমাণবিক বোমা তৈরির দিকে যাবে। তারা ইতিমধ্যে তাদের মিসাইল সিস্টেম উন্নত করেছে। এ ক্ষেত্রে ইরানের ওপর যে কোনো ‘চাপ’ আঞ্চলিক যুদ্ধের জন্ম দিতে পারে। সুতরাং তার অভিমত হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের উচিত ইরানের সংস্কার প্রক্রিয়াকে সমর্থন করা, একটি মডারেট সরকারকে সেখানে সমর্থন করা এবং একই সঙ্গে বিদেশি বিনিয়োগ ও প্রযুক্তি সরবরাহে সহায়তা করা। মার্কিন নীতিনির্ধারকরা এ মূল্যায়নের কতটুকু গ্রহণ করবেন, সেটা ভিন্ন প্রশ্ন।
দীর্ঘ প্রায় ৪০ বছর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইরানের সম্পর্ক খুব ভালো নয়। এক সময় ইরান ছিল যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মিত্র। ইরানের ইসলামিক বিপ্লবের অব্যবহিত পরপরই ছাত্ররা তেহরানে মার্কিন দূতাবাস দখল করে ৪৪৪ দিন বন্দি করে রেখেছিল ৫২ জন দূতাবাস কর্মীকে। ওই সময় যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ১২ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ আটক করেছিল। ১৯৮৮ সালে পারস্য উপসাগরে একটি ইরানি যাত্রীবাহী বিমানকে ধ্বংস করার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রকে অভিযুক্ত করেছিল ইরান। ওই ঘটনায় ২৯০ জন যাত্রী প্রাণ হারিয়েছেন। এরপর থেকে কখনোই দুই দেশের সম্পর্ক উন্নত হয়নি।
দেশটির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। ফলে সোলেমানিকে হত্যার পর দুই দেশের মাঝে সম্পর্কে আদৌ কোনো পরিবর্তন আসবে কি না বলা মুশকিল। সম্ভাবনা কম। এখন যে প্রশ্নটি গুরুত্বপূর্ণ তা হচ্ছে, পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলে উত্তেজনা হ্রাস করা, অস্ত্র প্রতিযোগিতা বাড়তে না দেয়া, সেই সঙ্গে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির ব্যাপারে দেশটির সঙ্গে এক ধরনের সমঝোতায় যাওয়া। ইউরোপের মিত্র দেশগুলো, বিশেষ করে জার্মানি এ ব্যাপারে একটি উদ্যোগ নিতে পারে।
লিবিয়ায় শান্তি ফিরিয়ে আনতে জার্মানির উদ্যোগে বার্লিনে একটি শান্তি সম্মেলন শেষ হয়েছে। ইরানের ব্যাপারেও জার্মানি এ ধরনের একটি উদ্যোগ নিতে পারে। ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি তার রক্ষাকবচ। ইরান এক ধরনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। ইউরোপীয় দেশগুলো তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে। ইরানের নিরাপত্তার প্রশ্নে ইসরাইল একটি ফ্যাক্টর। ইসরাইলও অলিখিতভাবে একটি পারমাণবিক শক্তি। ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে ইসরাইল সন্দেহের চোখে দেখে। এ ক্ষেত্রে পারমাণবিক কর্মসূচি সীমিতকরণ প্রশ্নে যে কোনো আলোচনায় ইসরাইলের অংশগ্রহণও জরুরি।
সুতরাং ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী নয়াদিল্লিতে যে কথা বলেছেন, তাকে গুরুত্ব দেয়া উচিত। ইরান যদি পুনরায় পারমাণবিক কর্মসূচি চালু করে, তাহলে তা এ অঞ্চলের দেশগুলোর জন্য কোনো ভালো খবর বয়ে আনবে না। ইরানকে আস্থায় নিয়েই পারস্য উপসাগর অঞ্চলের সংকটের সমাধান করতে হবে। ইরান যদি নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে, তাহলে দেশটির পক্ষে পারমাণবিক কর্মসূচি নেয়া ছাড়া বিকল্প কিছু থাকবে না।
তারেক শামসুর রেহমান : প্রফেসর ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক
tsrahmanbd@yahoo.com