ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ আফ্রিকানদের ওপর কেন?

করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগে আফ্রিকানদের বেছে নেয়া হয়েছে এমন তথ্য পাওয়া যাচ্ছে।

বিজ্ঞানীদের দাবি, পরীক্ষায় আফ্রিকানদের অংশ নেয়া গুরুত্বপূর্ণ। তাদের যুক্তি, এটি শুধু ধনী দেশগুলোর জন্য নয় বরং বিশ্বজুড়ে কাজ করবে এমন ভ্যাকসিন খুঁজে পাওয়ার যে চেষ্টা সেটিকে আরও জোরদার করবে।

এর আগে মার্চে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান ড. টেড্রোস আধানম গেবরিয়াসুস কোভিড-১৯ এর কার্যকর চিকিৎসার সন্ধানে বৈশ্বিক ‘সংহতি পরীক্ষার’ কথা বলেছিলেন।

সংস্থাটির মতে, একটি কার্যকর ভ্যাকসিন বা টিকাই মহামারী নিয়ন্ত্রণ বা প্রতিরোধে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

এখন পর্যন্ত জানা গেছে, দক্ষিণ আফ্রিকায় একটি ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু হয়েছে আর কেনিয়ায় একটি অনুমতির অপেক্ষায় আছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।বলা হচ্ছে, এটি নিয়ে বিতর্ক চলছে।

খবরে বলা হয়, দুজন ফরাসী ডাক্তারের ইউরোপ ও অস্ট্রেলিয়ায় পরীক্ষার আলোচনায় উঠে এসেছে যক্ষ্মার টিকা করোনাভাইরাস প্রতিরোধে কার্যকর কি-না। তারা একটি টিভি বিতর্কে একমত হন যে, এটা আফ্রিকায় পরীক্ষা করা উচিত।

একজন বলেন, এ পরীক্ষা কি আফ্রিকায় হওয়া উচিত না, যেখানে কোনো মাস্ক নেই, চিকিৎসা নেই। তার এমন বক্তব্যে বিতর্ক জন্ম দেয়।

ইথিওপিয়ান নাগরিক ড. টেড্রোস বলছেন, আমরা এর তীব্র নিন্দা করি। নিশ্চিত করে বলতে চাই যে এটা হচ্ছে না। ঔপনিবেশিক মানসিকতার অবসান হওয়া উচিত। তবে এর প্রতিবাদ ফুটবলার তারকা খেলোয়াররা করেছেন।

বলা হচ্ছে, ঔষধ কোম্পানিগুলো আফ্রিকার বিভিন্ন জায়গার এ ধরনের পরীক্ষা করে যেখানে নৈতিকতা বা মানুষের জীবনের প্রতি সম্মান কমই নিশ্চিত করা হয়।১৯৯৬ সালে নাইজেরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্য কানোতে একটি ঔষধের পরীক্ষা চালায় পিফিজার।

পরে এক দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ে বিখ্যাত এই ঔষধ কোম্পানিকে কিছু অভিভাবকে ক্ষতিপূরণ দিতে হয়। যাদের সন্তানেরা মেনিনজাইটিস মহামারির সময় ওই পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল।

ওই পরীক্ষার অংশ হিসেবে অ্যান্টিবডি প্রয়োগের পর ১১ জন শিশু মারা যায়। অনেক শিশু বিকলাঙ্গ হয়ে পড়ে। এরপরই পরীক্ষার জন্য অভিভাবকদের সম্মতি নেয়ার বিষয়টি আলোচনায় উঠে আসে।