ভোলাহাটে ফিলিং স্টেশন বন্ধের অপপ্রচারে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী

 

ভোলাহাট প্রতিনিধি:দেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল ভোলাহাট উপজেলা। এ উপজেলায় প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার মানুষ বসবাস করেন। প্রত্যন্ত অঞ্চল হওয়ায় অনেক নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত। এর মধ্যে ফিলিং স্টেশন অন্যতম। যানবাহনের জ্বালানির জন্য যেতে হয় ২০-২৫ কিলোমিটার দূরে পাশের উপজেলা শিবগঞ্জ ও গোমস্তাপুরে। মোটরসাইকেলে পেট্রোল নিতে নির্ভর হতে হয় ভেজাল ও চড়া দামে খুচরা দোকানদারের উপর অথবা যেতে হয় পাশের ফিলিং স্টেশনে।

আম মৌসুমে কোটি কোটি টাকার আম বিক্রয় হয়। সারা মৌসুমে পেয়ারা, বরইসহ বিভিন্ন কৃষি পণ্য বিক্রয়ে পরিবহনের যাতায়াত হয় এই উপজেলায়। গণপরিবহণে যাত্রী সেবা প্রদানসহ অসংখ্য পরিবহণের জালানীর জন্য ভোলাহাট উপজেলাটি মরণ ফাঁদ হয়ে আছে দীর্ঘদিন ধরে। এতে করে কৃষি পণ্য পরিবহণ, যাত্রী পরিবহণ ও মটরসাইকেল পরিবহণে পড়তে হয় চরম বিপাকে। ফলে যুগের সাথে দেশের উন্নয়নের সাথে সাথে ভোলাহাট উপজেলাকে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে একটি ফিলিং স্টেশনের জন্য এলাকাবাসীর দাবী দীর্ঘ দিনের।

উপজেলাবাসির দাবীর পূরণে গোমস্তাপুর উপজেলার মৃত আব্দুল হামিদের ছেলে সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আসরাফ হোসেন আলিম ও উপজেলার খালেআলমপুর গ্রামের মৃত পাতানু শেখের ছেলে আব্দুল লতবি ফিলিং স্টেশন স্থাপনে সরকারী অনুমদোন পেতে কাজ অব্যহত রেখেছেন। এরি মধ্যে একটি বিশেষ মহল ভোলাহাট উপজেলায় ফিলিং স্টেশন বন্ধে নানা অপপ্রচারে লিপ্ত হয়ে পড়েছেন। এলাকাবাসির দাবী উঠেছে বিশেষ মহলের ব্যক্তি স্বার্থের জন্য যতই অপপ্রচার চালাক উপজেলাবাসির দীর্ঘদিনের দাবী ফিলিং স্টেশন স্থাপন করে নাগরিক সুবিধা প্রদানে সরকারের জরুরী হস্তক্ষেপ করেন। একটি ফিলিং স্টেশন বদলে দিবে ভোলাহাটের উন্নয়নের চাকা।

এদিকে দেশের বৃহত্তম বিল বিলভাতিয়ায় কৃষি ইপিজেড স্থাপনের দ্রুত কার্যক্রম এগিয়ে চলেছে। এ ইপিজেড স্থাপন হলে পরিবহণের সংখ্যা ভোলাহাটে ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাবে। ফলে ফিলিং স্টেশন বন্ধের কোন প্রশ্নই উঠে না। ব্যক্তিগত দ্বন্দের জেরে যে বিশেষ মহল উপজেলার ব্যাপক স্বার্থ ধংস করতে অপপ্রচারে উঠে পড়ে লেগেছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবীও উঠেছে। অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েছে এলাকাবাসী।

এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আহম্মেদ বিশ্বাস বলেন, একটি মহল ফিলিং স্টেশন বন্ধে যে ভাবে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে এতে ভোলাহাট উপজেলাবাসী চরম ক্ষতির মুখে পড়বে। একটি মহলের ব্যক্তি স্বার্থের কাছে যেন ফিলিং স্টেশন বন্ধ না হয়। উপজেলার সার্বিক উন্নয়নে দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা ফিলিং স্টেশনের সরকারী অনুমোদনের দাবী করেন।

অপর একজন সরকার দলের উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আফরাজুল হক বাবু জানান, অপপ্রচার যেই করুক ভোলাহাটবাসির দীর্ঘদিনের দাবী নাগরিক সুবিধা দিতে ফিলিং স্টেশন স্থাপনের জোর দাবী করেন সরকারের কাছে।

ভোলাহাট উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহনাজ খাতুন বলেন, ভোলাহাটবাসীর জন্য একটা ফিলিং স্টেশন গুরুত্বপূর্ণ। অপপ্রচারকারীদের কথায় বিভ্রান্ত না হয়ে ব্যাপক জনস্বার্থে এমন কাজে কোন মানুষ দ্বারা প্রভাবিত না হয়ে ফিলিং স্টেশন স্থাপনের জোর দাবী করেন।

স/জে