ভোলাহাটে অনলাইনে জমে উঠেছে আমের বাজার

 

 

নিজস্ব প্রতিবেদক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ:

সারা বিশ্ব যখন করোনার থাবায় থম থমে। বন্ধ হয়ে গেছে স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়। মেনে চলতে হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি। ঠিক তখনি আমের রাজধানীতে আমের ভিড়। রসালো আম কে না খেতে চাই। দেশের বিভিন্ন স্থানে চলে যায় ভোলাহাটের বিভিন্ন জাতের আম।

দেশের বিভিন্ন স্থানের ক্রেতারা আম খাওয়া না খাওয়া নিয়ে বেশ চিন্তায় পড়েছেন। করোনা স্বাস্থ্যবিধি, শারীরিক দূরুত্ব, মাস্ক পরা, হ্যান্ড স্যানেটাইজার ব্যবহার, হাত ধুয়াসহ জুড়ে দিয়েছে নানা শর্ত।

তাই খুচরা আম ক্রেতারা আম খাওয়া নিয়ে বেশ চিন্তায় ছিলেন। কিন্তু না কোন বাধা উপেক্ষা করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় আম প্রেমীকদের কাছে অনলাইন পদ্ধতিতে আম পৌঁছে দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা। আম ফাউন্ডেশন ভোলাহাট আম বাজার গিয়ে কথা হলো রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া তারেকের সাথে।

অনলাইনের আম ব্যবসা নিয়ে তিনি বললেন, করোনা ভাইরাসে আম প্রেমীকেরা দেশের বিভিন্ন স্থানে রয়েছেন। চাহিদা থাকলেও আম খাওয়া নিয়ে চিন্তায় ছিলেন। তাই আমরা “ম্যাংগো মার্ট” অনলাইন গ্রুপের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় আরো দুইজন শিক্ষার্থী আব্দুল আহাদ ও আলিফ হোসেনকে নিয়ে চিন্তা করলাম, করোনায় যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ সেহেতু অনলাইনে আম বিক্রয় করলে আমরাও আর্থীক ভাবে লাভবান হতে পারবো। এছাড়া করোনা ভাইরাস ঠেকাতে নিরাপদে বাড়ীতে বাড়ীতে পৌঁছে দেয়া হবে আম।

ফলে জাতীয় পর্যায়ে করোনা ঠেকাতে যেমন কাজ হবে তেমনী আম প্রেমীকদের বাড়ীতে বাড়ীতে নিরাপদে পৌঁছে দেয়া হবে আম। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা শুরু করলেন পিওর আম সুলভমূল্যে ক্রেতাদের কাছে নিরাপদে আম পৌঁছে দিতে। তারা কখনো আম বাজার আবার সরাসরি আম বাগান থেকে আম ক্রয় করে পৌঁছে দিচ্ছেন দেশের সব অঞ্চলের ক্রেতার বাড়ীতে।

উপজেলার উপর পাঁচটিকরি গ্রামের সামিম রেজা। কুষ্টিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তিনি বলেন, করোনার জন্য টিউশানি বন্ধ থাকায় আয়ের বিকল্প মাধ্যম হিসেবে ভোলাহাটের ফরমালিন মুক্ত আম দেশের মানুষের কাছে প্রকৃত মূল্যে পৌঁছে দিচ্ছেন তারা। এদিকে আম ফাউন্ডেশনের কোষাধ্যক্ষ লাল দেওয়ান বলেন, অনলাইনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আম কেনাবেচা করায় দেশের বিভিন্ন জায়গায় বেশ সাড়া পড়েছে।

শিক্ষার্থীরা করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় অনলাইনে আম বিক্রয় একটি মহৎ উদ্যোগ। বহিরাগত ব্যাপারিরা করোনার জন্য এবছর না আসলেও অনলাইনে আম বিক্রয়ের কারণে আমের বাজার মূল্য বেশ ভালো বলে জানান। আম ব্যবসায়ী আনসার আলী মেম্বার জানান, অনলাইনে ছাত্ররা আম ব্যবসা করায় করোনার জন্য খুব ভালো হয়েছে। দেশের বাহির থেকে আসা আম ব্যবসায়ীরা করোনা বহনকারী হতে পারে।

ফলে অনলাইন আম ব্যবসায় ছাত্রদের বেকারত্ব দূর হবে তেমনি ক্রেতারা বাড়ীতে বসে আম খাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। এটা আম ক্রেতাদের জন্য বড় সুযোগ বলে জানান। ফাউন্ডেশন ভোলাহাটের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোজাম্মেল হক চুটু জানান, অনলাইনে আম ব্যবসা বেশ জমে উঠেছে। এত উচ্চ শিক্ষিত ছেলেরা করোনা মোকাবেলায় উত্তম পন্থায় দেশের বিভিন্ন স্থানে হোম ডেলিভেরি করছেন।

স/আ.মি