ভ্রামম্যাণ প্রতিনিধি:
চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার দলদলী ইউনিয়নের মুশরীভুজা ইউসুফ আলী স্কুল এন্ড কলেজের একটি ভবনের তিনটি শ্রেনী কক্ষের ছাদ ধ্বসে পড়ায় প্রাণে বেঁচে রক্ষা পেয়েছেন ৬ শিক্ষার্থী।
সরজমিন মুশরীভূজা ইউসুফ আলী স্কুল এন্ড কলেজে গেলে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আজগর আলী জানান, ফ্যাসিলিটিজ বিভাগের অর্থায়নে ১৯৯৪-৯৫ সালে ঠিকাদার মেসার্স রেজাউল হক ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটি র্নিমাণ করেন। ক’বছর যেতে না যেতেই গত ৭সেপ্টেম্বর/১৬ দশম শ্রেণীর পাঠদান চলা অবস্থায় ছাদ ধ্বসে পড়লে আহত হয়ে প্রাণে বেঁচে যায় ৬ শিক্ষার্থী।
তিনি জানান, ফ্যাসিলিটিজ বিভাগের অর্থায়নে এ ভবনে তিনটি কক্ষ রয়েছে। দুটিতে ৯ম ও ১০ম শ্রেণীর প্রায় ১শত ১০জন শিক্ষার্থীর পাঠদান চলছিলো এবং একটি কক্ষ কম্পিউটার ল্যাব হিসেবে ব্যবহৃত হতো। কিন্তু ছাদ ধ্বসে পড়ার পর থেকে কক্ষ গুলোতে তালা দিয়ে মাসব্যাপী ৯ম ও ১০ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে ঝুঁকিপূর্ণ কক্ষগুলোতে পাঠদান না দিয়ে বাইরে আমগাছের নিচে পাঠদান কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।
শিক্ষকেরা অভিযোগ করে বলেন, ফ্যাসিলিটিজ বিভাগের অসাধু কর্মকর্তারা ঠিকাদারের সাথে যোগসাজস করে নিম্নমানের র্নিমাণ উপকরণ ব্যবহার করায় মাত্র ক’বছরের মধ্যেই ভবনটি ধ্বসে পড়েছে।
বাইরে ক্লাস করা শিক্ষার্থী ইয়াসির আরাফাত দিপু, মারুফাসহ অন্যরা অভিযোগ করে বলেন, সামনে তাদের গুরুত্বপূর্ণ সময়। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের নিচে ক্লাস করতে না পেরে গাছতলায় ক্লাস করতে হয়। এখানে পড়া-লেখায় মনোযোগ থাকে না এমনকি বৃষ্টি হলে দৌড়ে পালিয়ে বারান্দায় আশ্রয় নিতে হয়। ফলে পড়া-লেখায় চরম খারাপ হওয়ার আশংকা প্রকাশ করে।
তারা আরো জানায়, এ ভাবে যদি পড়া-লেখা চলতে থাকে তবে এসএসসি পরীক্ষায় ফলাফল ভীষণ ভাবে খারাপ হবে।
এদিকে স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আজগর আলী জানান, তিনি ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবীতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য গোলাম মোস্তফা বিশ্বাস, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসক, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা প্রকৌশলি, উপজেলা মাধ্যমিক অফিসার ও দলদলী ইউপি চেয়ারম্যান বরাবর পত্র প্রেরণ করেছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলি এসএম মন্জুর-এ মাওলা জানান, ভবনটি তাদের না হওয়ায় কোন মন্তব্য না করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন।
স/আ