ভোট দিতে দেশে এলেন জনা, তবু হচ্ছে না ইচ্ছেপূরণ

শাকিল খানের সঙ্গে ‘হৃদয়ের বাঁশি’ (২০০২) দিয়ে চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে সুমনা জনার। এরপর মান্না, রিয়াজ, ফেরদৌস, শাকিব খানসহ ঢালিউডের জনপ্রিয় প্রায় সব নায়কের সঙ্গেই জুটি বেঁধে অভিনয় করেছেন। ২০১০ সাল পর্যন্ত ৪০টিরও বেশি ছবিতে অভিনয় করেছেন। জনার মুক্তি পাওয়া শেষ ছবি ‘বাজাও বিয়ের বাজনা’। বিয়ের পর স্বামীর কাছে আমেরিকায় চলে যান তিনি। অভিনয় না করলেও প্রায়ই দেশে আসেন। চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে হাজির হন। তারই ধারাবাহিকতায় ১৩ ডিসেম্বর দেশে আসেন জনা। উদ্দেশ্য, আসন্ন শিল্পী সমিতির নির্বাচন। ভোট দেবেন বলেই এবার দেশে এসেছেন, কিন্তু তাঁর সেই ইচ্ছা পূরণ হচ্ছে না বলে কালের কণ্ঠের কাছে অভিযোগ করেন এই অভিনেত্রী। তিনি বলেন, ‘আমি নিয়মিত চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির চাঁদা প্রদান করি। বার্ষিক পিকনিকেও কয়েকবার অর্থ সহযোগিতা দিয়েছি। করোনার কারণে এক বছর দেশে আসতে পারিনি তাই সমিতির চাঁদাও দিতে দেরি হয়েছে। এই অজুহাতে আমার ভোটাধিকার ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে।’

kalerkantho২০২০ সালের শিল্পী সমিতির পিকনিকে জনা

জনা অভিযোগের আঙুল তুলেছেন মিশা সওদাগর ও জায়েদ খানের দিকে। বলেন, ‘কয়েকবার মিশা সওদাগর, জায়েদ খান ও সমিতির কোষাধ্যক্ষ জাকিরের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম চাঁদা দেওয়ার জন্য। তাঁদের কেউই আমাকে এ ব্যাপারে সহযোগিতা করেননি। দেশে ফেরার দিন থেকেই চাঁদা দেওয়ার চেষ্টা করে আসছি। ২৭ ডিসেম্বর একবার এফডিসি গিয়ে চাঁদা দিতে চেয়েছি। সেদিন জাকির জানান, জায়েদ খান ছাড়া অন্য কেউ চাঁদা নিতে পারবেন না। আমেরিকা থাকাকালীন একবার চাঁদা পাঠিয়েছিলাম। তখন জায়েদ জানিয়েছিলেন সরাসরি স্বাক্ষর করে রসিদ নিতে হবে। পরে ৫ জানুয়ারি জায়েদকে ফোন দিলাম। ফোনে জানালেন, চাঁদা দেওয়ার সময় শেষ, এখন আর কিছু করার নেই। আমি তাঁর কথা বিশ্বাস করেছিলাম। কিন্তু পরে জানতে পারলাম অন্য সদস্যদের চাঁদা নেওয়া হয়েছে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত। আমার সঙ্গে মিথ্যাচার করে আমার ভোটাধিকার ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে।’

জনার দাবি, মিশা-জায়েদ প্যানেল মনে করেছিল চাঁদাসংক্রান্ত ঝামেলা মিটলেই হয়তো ইলিয়াস কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেলের সমর্থন করবেন জনা। এটা তাঁদের ভুল ধারণা বলে জানান জনা। তিনি বলেন, ‘আমি গতকাল (বুধবার) পর্যন্ত কোনো পক্ষের সমর্থক ছিলাম না। ১১ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশনের একজনকে ফোন দিয়েছিলাম। তিনি আশাও দিয়েছিলেন। গতকাল জানালেন আমার ভোট দেওয়া সম্ভব হবে না। খুব কষ্ট পেয়েছি। সিদ্ধান্ত নিয়েছি মন-প্রাণ দিয়ে এখন থেকে কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেলকে সমর্থন করব। কারণ মিশা-জায়েদ প্যানেল আমাকে ঠকিয়েছে।’

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ