ভোটে অনিয়মকারীর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ইঙ্গিত সিইসির

সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক :
গাইবান্ধার একটি আসনের উপ-নির্বাচনে অনিয়মে জড়িত বিভিন্ন সংস্থা ও বিভাগের কর্মকর্তাদের নানা মেয়াদে শাস্তি দেওয়ার ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন না হলে সংশ্লিষ্ট নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষকেই শাস্তির আওতায় আনা হতে পারে।মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) নির্বাচন ভবনের সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এমন ইঙ্গিত দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

গত ১২ অক্টোবর অনুষ্ঠিত গাইবান্ধা-৫ আসনের উপ-নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়ম সিসি ক্যামেরায় পর্যবেক্ষণের পর সিইসি প্রথমে ৫০টি কেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা ঘোষণা করেন। এরপর রিটার্নিং কর্মকর্তাও একটি কেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করেন।

পরে ভোটগ্রহণের যৌক্তিকতা না থাকায় পুরো নির্বাচন বন্ধ করে দেয় ইসি। এরপর গঠিত তদন্ত কমিটি ৬৮৫ জনের শুনানি করে ব্যাপক অনিয়মের প্রমাণ পায় ওই ৫১ কেন্দ্রে।

অবশিষ্ট কেন্দ্রগুলোর সিসি ক্যামেরার ফুটেজও খতিয়ে দেখে অনিয়ম পায় ইসি। পরে সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা, গাইবান্ধার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) ও ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাসহ ১৩৩ জনের বিরুদ্ধে বরখাস্তসহ নির্বাচন কর্মকর্তা বিশেষ আইন অনুসারে বিভিন্ন মেয়াদের শাস্তির সিদ্ধান্ত দেয় ইসি।

সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করার পর তা অবহিত করার জন্যও সংশ্লিষ্ট নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষকে গত ১ ডিসেম্বর নির্দেশনা দেয় নির্বাচন আয়োজনকারী সংস্থাটি। তবে তিন মাস হয়ে গেলেও ইসি সেই সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন নেই।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ নিয়ে বলেন, আমরা যে চিঠিগুলো দিয়েছিলাম, ঠিক তথ্যটা নেই… ১৩৩টি দিয়েছিলাম। ৪০টার মতো জবাব পেয়েছি, অ্যাকশন নিচ্ছি।

তিনি বলেন, অনেকের কাছ থেকে আমরা জবাব পাইনি। আমরা দ্বিতীয়বার চিঠি দেবো। এরপর আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নিতে আমাদের সিদ্ধান্ত জানাব। অথবা অন্য কোনো বিকল্প ব্যবস্থা আমাদের কাছে কি না, সে বিষয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়ে তাদের জানাব।

রিটার্নিং কর্মকর্তাকে অভিযুক্ত করলেও আবার তাকে নির্বাচনি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের পরিচালক করা হয়েছে, তাহলে কার্যকারিতা কী? আপনারা নিজেরাই তো নিজেদের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করলেন না, একজন সাংবাদিকের এমন মন্তব্যের পর সিইসি বলেন, যেই দায়িত্বে তিনি ব্যর্থ হয়েছেন, সেই দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করে নিয়ে এখানে সংযুক্ত করা হয়েছে বা দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এটি প্রমোশন নয়। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। দ্যাট ইজ গুড এনাফ। এটিই হলো প্রচলিত নিয়ম, তাকে তার দায়িত্ব থেকে তুলে নিয়ে আসা।

বিষয়টি নিয়ে এর আগে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, আমরা যে সিদ্ধান্ত দিয়েছি তা বাস্তবায়ন করতে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ বাধ্য। আইনে এমনটাই বলা হয়েছে। এখন তারা যদি অমান্য করে, নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধেও কী ব্যবস্থা নেওয়া যাবে, সে আইনও আছে।