ভোক্তা অধিকারের অভিযানে রাবির ৫ দোকানিকে ৩২ হাজার টাকা জরিমানা

নিজস্ব প্রতিবেদক:

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ৫টি প্রতিষ্ঠানের মালিককে ৩২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১ টায় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে অধিদপ্তরের রাজশাহী বিভাগের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ হাসান আল মারুফ এই জরিমানা করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের টুকিটাকি চত্ত্বরের তিনটি খাবারের দোকান ও কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি চত্ত্বরের (পশ্চিম পাশে) দুইটি স্টেশনারী দোকানে অভিযান চালিয়ে এই জরিমানা করা হয়।

অস্বাস্থ্যকর খারারের জন্যে টুকিটাকি চত্ত্বরের তিনটি খাবারের দোকানিকে ৭০০০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে। এরমধ্যে মনিরের দোকানকে ৩ হাজার, বাবু ও সুমনের দোকানকে ২ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। অভিযানে খাবারের দোকানগুলো থেকে পঁচা পেয়াজ ও আলু পাওয়া গেছে।

অপরদিকে কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি চত্ত্বরের পাশে ‘টুকিটাকি স্টেশনারী’তে মেয়াদ উত্তীর্ণ ‘কিটকাট চকলেট’ পাওয়ায় দোকানের মালিক রফিকুল ইসলামকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। কিটকাটগুলোর মেয়াদ মার্চ মাসে শেষ হয়েছে বলে ভোক্তা অধিকার জানিয়েছে। এদিকে মেয়াদ উত্তীর্ণ কিটকাট ও বিদেশি পণ্যের মূল্য তালিকা এবং আমদানিকারকের নাম না থাকায় কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি চত্ত্বরের ‘ফয়জুল এন্ড সন্স’ দোকানের মালিক ফয়জুল ইসলামকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

এবিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী বিভাগের জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ হাসান আল মারুফ বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহযোগিতায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩টি খাবার হোটেল ও ২ টি স্টেশনারীতে অভিযান চালাই। এসময় ভোক্তা স্বার্থবিরোধী বিভিন্ন অপরাধে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ২০০৯ সালের আইন অনুযায়ী ৩৭ ও ৫১ ধারায় ৫ টি প্রতিষ্ঠানের মালিককে ৩২০০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সেই সাথে এসব দোকানের মালিক ও সাধারণ শিক্ষার্থীদেরকে সচেতন করার চেষ্টা করেছি। ভবিষ্যতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহযোগিতায় আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’

এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর আরিফুর রহমান বলেন, ‘আমরা চাই আমাদের শিক্ষার্থীরা যেন স্বাস্থ্যসম্মত খাবার পায়। স্বাস্থ্যসম্মত খাবার নিশ্চিতের জন্যে এর আগেও ২০১৮ সালে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় ক্যাম্পাসে অভিযান চালানো হয়েছিল। এবিষয়ে ভোক্তা অধিদপ্তরকে অভিযান চালানোর জন্য আমরা অবহিত করি। তারাও এ ব্যাপারে ইতিবাচক ছিলেন। অবশেষে আজকে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন দোকানে অভিযান চালানো হয়। শিক্ষার্থীদের স্বার্থে এ ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।’

জি/আর