ভিসা নিষেধাজ্ঞা : পর্দার আড়ালের ‌নায়ক ডোনাল্ড লু?

সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক :

বাংলাদেশে আগামী জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হতে বাধা দিলে অভিযুক্ত ব্যক্তি ও তাদের পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বিধিনিষেধের এই ঘোষণা মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন দিলেও এই বিষয়ে আলোচনায় রয়েছেন আরও এক ব্যক্তি।

তার নাম ডোনাল্ড লু। তিনি দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বে আছেন। নির্বাচনকে ঘিরে সহিংসতা করলে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীরাও মার্কিন ভিসা পাবে না বলে সতর্ক করে দিয়েছেন তিনি।

তবে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষস্থানীয় এই কূটনীতিক দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর রাজনীতিতে বেশ আলোচিত নাম হয়ে উঠেছেন। গত বছরের এপ্রিলে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার পেছনে ডোনাল্ড লুর নামই উঠে এসেছিল।

তৎকালীন পিটিআই সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরানোর পেছনে দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক মার্কিন এই সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে দায়ী করেছিলেন খোদ ইমরান খান। সেই ঘটনার পর চলতি বছরের জানুয়ারিতে ঢাকা সফরে এসেছিলেন ডোনাল্ড লু। আর এবার আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশ ইস্যুতে নতুন ভিসানীতি প্রকাশের পর মার্কিন এই কূটনীতিকের নাম অলোচনায় এসেছে।

সংবাদমাধ্যম বলছে, দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ কূটনীতিক ডোনাল্ড লু দীর্ঘদিন ধরে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করছেন। এছাড়া দক্ষিণ এশিয়ার কূটনীতিকদের মধ্যে নিজের কূটনৈতিক কর্মপদ্ধতির জন্য খ্যাতি অর্জন করেছেন লু।

যদিও তার কাজের পদ্ধতিকে অনেকে ‘জবরদস্তিমূলক’ হিসাবেও আখ্যা দিয়ে থাকেন। মূলত পাকিস্তান, নেপাল ও শ্রীলঙ্কায় নানা ইস্যুতে ডোনাল্ড লুর সম্পৃক্ততা এ অঞ্চলে তার এমন ভাবমূর্তিই তৈরি করেছে।

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের অভিযোগের পর ডোনাল্ড লু নামটি সুপরিচিত হয়ে ওঠে। গত বছরের এপ্রিলে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর বিশ্বকাপজয়ী সাবেক এই তারকা ক্রিকেটার তার অপসারণের পেছনে ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে সরাসরি ডোনাল্ড লুকে অভিযুক্ত করেছিলেন।

ইমরান খান অভিযোগ করেছিলেন, দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে তার সরকারকে উৎখাতের জন্য ‘বিদেশি ষড়যন্ত্রে’ যুক্ত ছিলেন এবং যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত আসাদ মজিদের মাধ্যমে তাকে হুমকি বার্তা পাঠিয়েছিলেন।

ইমরান খানের বরাত দিয়ে গত বছরের এপ্রিলে সংবাদমাধ্যম দ্য ডন জানিয়েছিল, পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র (ইমরান খানকে) একটি হুমকি বার্তা পাঠিয়েছে। ডোনাল্ড লু পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূতকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ইমরান খান অনাস্থা ভোটে বেঁচে গেলে দেশটিকে পরিণতি ভোগ করতে হবে।

এছাড়া এর আগে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মিলেনিয়াম চ্যালেঞ্জ কর্পোরেশন (এমসিসি) কমপ্যাক্টে স্বাক্ষর করার জন্য নেপালকে রাজি করানোর জন্য ডোনাল্ড লু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। কিন্তু এমসিসিতে নেপাল যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তা পূরণ করা দেশটির জন্য বেশ চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

তা সত্ত্বেও লু গত বছর নেপাল সফর করেন এবং চুক্তিটি অনুমোদনের জন্য নেপালের পার্লামেন্টকে রাজি করান। এছাড়া শ্রীলঙ্কা অস্থিরতার মধ্যে নিমজ্জিত হলে মার্কিন স্বার্থ রক্ষার জন্য রনিল বিক্রমাসিংহেকে দেশটির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনর্বহাল করার ক্ষেত্রে ডোনাল্ড লুর বড় ভূমিকা ছিল বলেও জানা গেছে।

মূলত ক্ষমতা থেকে অপসারণের পর ইমরান খান প্রকাশ্যে যে অভিযোগ আনেন তারপর থেকেই ডোনাল্ড লু দক্ষিণ এশিয়ায় বিতর্কিত ব্যক্তিত্বে পরিণত হন। তবে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে তাকে একইভাবে বিবেচনা করা কতটা সঠিক?

কে এই ডোনাল্ড লু?
২০২২ সালের এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের ফরেন সার্ভিস অফিসার হিসেবে ডোনাল্ড লু ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে মার্কিন সরকারের চাকরি করছেন। ২০১০ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত ভারতে মার্কিন মিশনের ডেপুটি চিফ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু হচ্ছেন এই অঞ্চলের ওপর নজর রাখা স্টেট ডিপার্টমেন্টের শীর্ষ মার্কিন কূটনীতিক। কিরগিজস্তান এবং আলবেনিয়ায় সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি এই কূটনীতিক দুই দফায় নয়াদিল্লিতে মার্কিন দূতাবাসে দায়িত্ব পালন করেছেন।

হিন্দুস্তান টাইমস বলছে, ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী হন ডোনাল্ড লু। এর আগে তিনি ২০১৮ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত কিরগিজস্তানে এবং ২০১৫ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত আলবেনিয়াতে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

আলবেনিয়ায় দায়িত্ব নেওয়ার আগে লু পশ্চিম আফ্রিকার ইবোলা সংকটের বিষয়ে পররাষ্ট্র দপ্তরের ইবোলা রেসপন্স টিমের উপ-সমন্বয়কারী হিসাবে কাজ করেছিলেন।

এছাড়া কর্মজীবনের শুরুতে ডোনাল্ড লু মধ্য এশিয়া ও দক্ষিণ ককেশাস বিষয়ক অফিসের উপ-পরিচালক, ২০০১ সাল থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত ইউরোপীয় বিষয়ক ব্যুরোতে, ১৯৯৭ সাল থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত নয়াদিল্লিতে পলিটিক্যাল অফিসার হিসেবে, ১৯৯৬ থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত নয়াদিল্লিতে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বিশেষ সহকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

এছাড়া ১৯৯২ সাল থেকে ১৯৯৪ সালের মধ্যে পাকিস্তানের পেশোয়ার কনস্যুলেটে পলিটিক্যাল অফিসার হিসেবেও দায়িত্বপালন করেন লু। এছাড়া চাকরি জীবনের প্রথম দিকে জর্জিয়ার তিবিলিসিতে কনস্যুলার অফিসার হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি।

দক্ষিণ এশিয়ায় লুর ভূমিকা
চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝিতে বার্তাসংস্থা প্রেসএনজা এক প্রতিবেদনে জানায়, নেপাল যখন গত কয়েক বছর ধরে মার্কিন নেতৃত্বাধীন বিতর্কিত মিলেনিয়াম চ্যালেঞ্জ কর্পোরেশন (এমসিসি) কমপ্যাক্টকে অনুমোদনের বিষয়ে বিলম্ব করে আসছিল, তখন ডোনাল্ড লু নেপালের প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবাকে এই বলে সতর্ক করে দেন, ‘মার্কিন সাহায্য ও সহায়তায় কাটছাঁট’ হতে পারে।

এমনকি এমসিসি কমপ্যাক্ট মেনে নেওয়া না হলে নেপাল বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক এবং বহুপাক্ষিক সংস্থার কাছ থেকে যে সহায়তা ও বিনিয়োগ পাচ্ছে সেটিও যুক্তরাষ্ট্র বন্ধ করে দিতে পারে বলে সতর্ক করে দেওয়া হয়।

এই একইবার্তা সিপিএন-ইউএমএল চেয়ারম্যান কেপি শর্মা অলি ও মাওবাদী নেতা পুষ্প কমল দাহাল ওরফে প্রচন্ডকেও জানিয়ে দিয়েছিলেন লু। ১৯৪৭ সালে নেপাল এবং যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর ওয়াশিংটন থেকে নেপালি রাজনৈতিক নেতৃত্বের কাছে এটিই ছিল প্রথম কোনও কঠোর বার্তা।

এরপর ২০২১ সালের মাঝামাঝি পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার পর শুরু হওয়া রাজনৈতিক অচলাবস্থার শুরু থেকে ডোনাল্ড লু দু’বার নেপাল সফর করেন। রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং নির্বাচনী পরিবেশের মধ্যে তিনি ২০২১ সালের নভেম্বরে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবা এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী নারায়ণ খরকার সাথে দেখা করেছিলেন।

তার এই সফরের তিন মাসের মধ্যে মিলেনিয়াম চ্যালেঞ্জ কোঅপারেশন প্রকল্প নেপালি পার্লামেন্টে অনুমোদন পায়। অথচ নেপালের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় এই প্রকল্প ২০১২ সাল থেকে স্থগিতকরে রেখেছিল কাঠমান্ডু।

রাশিয়ার আগ্রাসনের জেরে সৃষ্ট ইউক্রেন সংকটকে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত যে ভিন্নভাবে দেখছে তা এখন আর গোপন নয়। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর পশ্চিমারা মস্কোর ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও ভারত রাশিয়ার কাছ থেকে জ্বালানি তেল কিনে মস্কোর সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বজায় রেখে চলেছে।

এই পরিস্থিতিতে ডোনাল্ড লু ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে ভারত সফর করেছিলেন এবং সেখানে তিনি কোয়াড জোটের অংশীদার দেশগুলোর সাথে টু প্লাস টু বৈঠকে অংশগ্রহণকারী মার্কিন প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। এরপর গত বছরের অক্টোবরে ডোনাল্ড লু অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকটে বিধ্বস্ত শ্রীলঙ্কা সফর করেন এবং রনিল বিক্রমাসিংহে সরকারকে পূর্ণ সমর্থনের কথা জানান।

তবে পাকিস্তানে ইমরান খানকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর সবচেয়ে বেশি আলোচিত হয়েছে ডোনাল্ড লুর নাম। সাবেক পাকিস্তানি এই প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড লুকে হুমকিমূলক চিঠি পাঠানো এবং তাকে ক্ষমতাচ্যুত করার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করেছিলেন।

বার্তাসংস্থা প্রেসএনজা বলছে, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর ক্রমবর্ধমান কৌশলগত তাৎপর্যের কারণে এই অঞ্চলের সরকারগুলোকে ওয়াশিংটনের লাইনে ফিরিয়ে আনতে নিঃসন্দেহে আক্রমণাত্মক বা সক্রিয় কূটনীতির পথ বেছে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

কিন্তু এই ধরনের জবরদস্তিমূলক কূটনীতির কারণে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে ‘যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী’ মনোভাব ছড়িয়ে পড়তে পারে। আর তেমনটি হলে এসব রাষ্ট্রের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতিও হতে পারে।

বাংলাদেশ এবং ডোনাল্ড লু
পরিবর্তনশীল বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটের আলোকে উভয় দেশের সর্বোত্তম স্বার্থেই যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক প্রয়োজন। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের অবাধ ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক নীতিতে বিশ্বাস করে এবং বাংলাদেশ স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছিল, বাংলাদেশের স্বার্থে ভালো হলে মার্কিন নেতৃত্বাধীন ইন্দো-প্যাসিফিক বিজনেস ফোরামে যোগ দেবে ঢাকা।

আর তাই এই উদ্যোগের প্রধান অংশীদার হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের উচিত বাংলাদেশের প্রতি বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দেওয়া।

কূটনৈতিক সম্পর্কের সূচনার পর থেকে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক অনেক দূর এগিয়েছে এবং অনেকাংশে তা উন্নতিও করেছে। আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক নিরাপত্তা, সন্ত্রাসবাদ দমন এবং জলবায়ু পরিবর্তনে ওয়াশিংটন ও ঢাকার মধ্যে ব্যাপক সহযোগিতা রয়েছে। বাণিজ্য, শিক্ষা, ভ্রমণ, বিনিয়োগ এবং অন্যান্য ক্ষেত্রেও এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক এবং যোগাযোগ রয়েছে।

প্রেসএনজা বলছে, বাংলাদেশে চীনা প্রভাব অবশ্যই যুক্তরাষ্ট্রের জন্য উদ্বেগের কারণ হবে না। কারণ বাংলাদেশ খুবই দক্ষতার সাথে প্রধান প্রধান দেশগুলোর সাথে, বিশেষ করে চীনের সাথে সম্পর্কের ভারসাম্য রক্ষা করে চলেছে এবং এই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ সম্পর্কেও সচেতন রয়েছে।

এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খোলাখুলিভাবে বলেছেন, বাংলাদেশের কোনও সামরিক আকাঙ্ক্ষা নেই এবং আমেরিকার আঞ্চলিক প্রতিপক্ষ চীনকে তিনি দেখেন কেবল ঢাকার উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে।