ভাসানচরের পথে রোহিঙ্গাবাহী ১০ বাস

কক্সবাজারের উখিয়া ডিগ্রি কলেজ প্রাঙ্গণ থেকে এক হাজারের বেশি রোহিঙ্গা নিয়ে ১০টি বাস চট্টগ্রামের উদ্দেশ্য ছেড়ে গেছে। নোয়াখালীর ভাসানচরে স্থানান্তরের উদ্দেশ্যে তাঁদের নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।

আজ বৃহস্পতিবার সাড়ে ১১টার দিকে উখিয়া ডিগ্রি কলেজের সামনে থেকে রোহিঙ্গাদের বাসে তোলা হয়।

দ্বিতীয় দফায় আরও কয়েকটি বাস ছেড়ে যাওয়ার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে। তবে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের অফিসিয়াল বক্তব্য পাওয়া যায়নি। সঠিক সংখ্যাও জানা যায়নি।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, এসব বাসে আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্য ছাড়া প্রায় তিনশ’ রোহিঙ্গা রয়েছে। চট্টগ্রাম থেকে শুক্রবার সকালে তাদের জাহাজে করে নৌপথে ভাসানচরে নিয়ে যাওয়া হবে।

ভাসানচরের দিকে যাত্রার আগে রোহিঙ্গারা

ভাসানচর নিয়ে শুরু থেকেই জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বিরোধিতা থাকায় সরেজমিনে পরিস্থিতি দেখতে রোহিঙ্গাদের একটি প্রতিনিধিদলকে গত সেপ্টেম্বরে সেখানে পাঠানো হয়। এর উদ্দেশ্য ছিল সরেজমিনে ভাসানচর ঘুরে এসে কক্সবাজারে থাকা রোহিঙ্গাদের সেখানকার পরিবেশ-পরিস্থিতি জানাবেন প্রতিনিধিদলের সদস্যরা। প্রাথমিকভাবে প্রতিনিধিদলের সদস্যরা গণমাধ্যমকে জানান, সাগরের বুকে জেগে ওঠা ভাসানচরের আশ্রয়শিবির ভালো লেগেছে তাঁদের। সেখানকার অবকাঠামো কক্সবাজারের চেয়ে যথেষ্ট ভালো। সেখানে নির্মাণ করা হয়েছে খাদ্যগুদাম, সাইক্লোন শেল্টার, মসজিদ, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, স্কুল, খেলার মাঠ, বাজার, কবরস্থান ও মাছ চাষের পুকুর। রয়েছে বিভিন্ন ধরনের শাকসবজির বাগান। পাশাপাশি সাগরের তীরে কেওড়াবাগান ও টেকসই বেড়িবাঁধ আছে।

এদিকে কক্সবাজারের শিবির থেকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ভাসানচরে স্থানান্তর অবিলম্বে বন্ধ করতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দুটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন। নিউইয়র্কভিত্তিক হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) ও লন্ডনভিত্তিক অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সরকারের প্রতি এ আহ্বান জানায়। দুটি সংগঠনই তাদের ওয়েবসাইটে এ-সংক্রান্ত বিবৃতি প্রকাশ করেছে।