ভালো পারিশ্রমিক পেলে নির্বাচক হিসেবে অবশ্যই কাজ করব: পাইলট

কাজের স্বাধীনতা না পাওয়ায় ২০১৬ সালে হঠাৎ করেই প্রধান নির্বাচকের দায়িত্ব থেকে সড়ে দাঁড়ান ফারুক আহমেদ। এরপর তার সহকারী হিসেবে থাকা মিনহাজুল আবেদীন নান্নুকে প্রধান নির্বাচকের দায়িত্ব দেয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। আর আগের মতোই সহকারী নির্বাচক হিসেবে থেকে যান হাবিবুল বাশার সুমন।

ফারুক আহমেদ পদত্যাগ করার পর থেকেই তিন সদস্যের নির্বাচক প্যানেলে একটি পদ ফাঁকা পড়ে আছে। সেই পদের জন্য জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলটসহ হয়তো আরও দুই-একজনকে প্রস্তাব দিয়েছে বিসিবি। কিন্তু পারিশ্রমিক আশানুরূপ না হওয়ায় বিসিবির প্রস্তাবে রাজি হননি পাইলট।

জাতীয় দলের এ সাবেক তারকা ক্রিকেটার সম্প্রতি বলেছেন, আমি আসলে নির্বাচক হওয়ার প্রস্তাব ফিরিয়ে দেইনি। বিসিবি যে পারিশ্রমিকের কথা বলেছে সেটা খুবই অল্প। এই পারিশ্রমিকে ফুলটাইম কাজ করা সম্ভব নয়। বিসিবি যে পারিশ্রমিকের কথা বলেছে সেটাতে পার্ট টাইম হিসেবে কাজ করা যেতে পারে। কিন্তু নির্বাচকের যে কাজ সেটা হবে না। কারণ নির্বাচককে সব সময় ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্সের দিকে নজর দিতে হবে। তাদের খেলা দেখতে হবে। সেটা পার্ট টাইমে সম্ভব না।

পাইলট আরও বলেন, আমি যখন পেশাগত হিসেবে এই দায়িত্ব নেব তখন কিন্তু আমাকে অন্যসব কাজ ফেলে এখানে সময় দিতে হবে। তখন কিন্তু পারিশ্রমিকের একটা ব্যাপার চলে আসে। সেই অর্থে প্রস্তাব আমি ফিরিয়ে দেইনি, বলেছি ভালো পারিশ্রমিক হলে আমি অবশ্যই দায়িত্ব নেব।

সাবেক অধিনায়ক আরও বলেন, আপনি যখন তৃতীয় শ্রেণির ক্রিকেটার দিয়ে নির্বাচকের দায়িত্ব পালন করাবেন তখন তার পারিশ্রমিক হবে এক রকম। আবার জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক যখন নির্বাচকের দায়িত্ব পালন করবেন তখন পারিশ্রমিক হবে আরেক রকম। কারণ সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত বিসিবিতে থাকতে হবে।

তিনি আরও বলেন, দরকার হলে বিনা পারিশ্রমিকে আমার অতিরিক্ত সময়ে দেশের জন্য চাপমুক্ত থেকে কাজ করে দেব। তবে নির্বাচকের দায়িত্ব নিতে হলে নিয়ম মেনে নেয়া উচিত। জাতীয় দলের নির্বাচকের দায়িত্বে যারা আছেন তাদের পারিশ্রমিক নিয়ে কিন্তু আমি সন্তুষ্ট নই। তাদের উপযুক্ত সম্মানি দেয়া উচিত। দলের অন্য স্টাফদের যে সুবিধা দিচ্ছেন তাদেরও সেই সুবিধা দিতে হবে। নিজের দেশের কোচিং স্টাফদের যথার্থ সম্মানটা দেয়া উচিত।