সোমবার , ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ২৬শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

ভালো কিছুর আশায় ভারতে সাকিব-মুশফিকরা

Paris
সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২৪ ১২:১৪ অপরাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক :

সুসময়ের পালে সব সময়ই জোর হাওয়া থাকে। পাকিস্তান সফরে নিভৃতে গিয়েছিলেন ক্রিকেটাররা। কিন্তু গতকাল বিমানবন্দরে ভারতগামী বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটারদের ঘিরে সেই পুরনো আকর্ষণ বিরামহীন সেলফির অনুরোধ। ভক্তদের হতাশ করেননি ক্রিকেটাররা।

পাকিস্তান সিরিজের সুখস্মৃতির রেশ এখনো বেশ ভালোভাবেই ছড়িয়ে আছে ক্রিকেটাঙ্গনে।
ভালোর আশায় ভারতেঅন্য সময় হলে হয়তো একটু এড়িয়ে যাওয়ার তাড়না দেখা যেত। কিংবা আবদার মেটানোর সংখ্যা সীমিত থাকত। কিন্তু এদিন এমন কোনো দৃশ্য চোখেই পড়ল না।

প্রায় সব ক্রিকেটারের কাছেই ছুটে গেছেন ভক্তরা। মেহেদী হাসান মিরাজ, লিটন দাসরা সেই চাওয়া পূরণ করেছেন হাসিমুখে। ভালোর আশায় ভারতেদলের এই চনমনে আবহ উঠে এসেছে নাজমুল হোসেনের কথায়ও। ভারতের উদ্দেশে রওনা হওয়ার আগে বিমানবন্দরে বাংলাদেশ অধিনায়ক বলছিলেন, ‘একটা ভালো সিরিজের পর অবশ্যই বাড়তি আত্মবিশ্বাস দলের ভেতর আছে।

এটা দেশের মানুষের মধ্যেও আছে।’ পাকিস্তানের পর ভারত সিরিজকেও নিজেদের জন্য আরেকটি সুযোগ হিসেবে দেখছে বাংলাদেশ। সেটা কাজে লাগানোর জন্য প্রক্রিয়া মেনে এগোনোর বিকল্প দেখছেন না নাজমুল, ‘প্রতিটি সিরিজই একটা সুযোগ। আমরা দুটো ম্যাচই জেতার জন্য খেলব। জেতার জন্য যে জিনিসগুলো গুরুত্বপূর্ণ, প্রক্রিয়া অনুযায়ী খেলা, আমাদের লক্ষ্য থাকবে নিজেদের কাজটা ঠিকঠাক করতে পারছি কি না।’

ভারতের বিপক্ষে তাদের মাটিতে প্রক্রিয়া মেনে নিজেদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন বেশ কঠিন এক কাজই বটে। এটা অজানা নয় নাজমুলদের। র‌্যাংকিং, অভিজ্ঞতা সব মিলিয়ে দল হিসেবে ঘরের মাঠে ভারত যেকোনো প্রতিপক্ষের জন্যই বাধার উঁচু পাঁচিল। তাই প্রত্যাশা পূরণের জ্বালানিও জুড়ে দিয়েছেন নাজমুল, ‘আমাদের কাজ ঠিকমতো করতে পারলে ভালো ফল সম্ভব। তবে এটা চ্যালেঞ্জিং হবে।’ তাই নাজমুলের চাওয়া, ‘আমাদের লক্ষ্য হবে, কিভাবে পাঁচ দিন ভালো খেলতে পারি। ফলটা শেষ দিনের শেষ সেশনে গিয়ে হয়। পাঁচ দিন ভালো ক্রিকেট খেলতে পারলে শেষ সেশনে সুযোগ থাকে, কোন দল জিতবে।’

ভালোর আশায় ভারতেসর্বশেষ পাকিস্তান সিরিজে বাংলাদেশের পেস বোলিংয়ের সঙ্গে পাকিস্তান পেরে ওঠেনি। অভিজ্ঞতায় দুই দলের পেসাররা ছিলেন প্রায় সমপর্যায়ের। এই মানদণ্ডে জসপ্রিত বুমরাহ, মোহাম্মদ সিরাজরা অনেক বেশি শাণিত। ২০১৯ সালে সর্বশেষ ভারত সফরের দুই টেস্টেও স্বাগতিক পেসারদের বিপক্ষে নাকানিচুবানি খেয়েছিলেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। পেসারদের সঙ্গে সময়ের সেরা দুই অভিজ্ঞ স্পিনার রবীচন্দ্র অশ্বিন ও রবীন্দ্র জাদেজা আছেন। অভিজ্ঞতা আর সামর্থ্য মিলিয়ে নাজমুলের চোখে ভারতের বোলিং বিভাগ বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে, ‘ওই দলের সঙ্গে যদি তুলনা করেন, অভিজ্ঞতার দিক থেকে আমাদের পেসাররা তুলনামূলকভাবে পিছিয়ে আছে। স্কিলের দিক থেকে হয়তো কাছাকাছি আছে। অভিজ্ঞতার দিক থেকে ওদের এগিয়ে রাখব। স্পিনারদের দিক থেকে আমরা কাছাকাছি আছি। যেহেতু যেকোনো কন্ডিশনে বল করার অভিজ্ঞতা আছে আমাদের স্পিনারদের। আমি এটুকু বলতে পারি, পেসার, স্পিনার ও ব্যাটার যারাই খেলবে প্রত্যেকে শতভাগ দেবে। পাঁচ দিন ভালো খেলতে পারলে রোমাঞ্চকর হবে।’

দল হিসেবে বাংলাদেশ আর ব্যক্তিগত দৃষ্টিকোণ থেকে এবারের ভারত সফর নামজুলের নিজের জন্যও কঠিন চ্যালেঞ্জ। মাঠে উপভোগ্য অধিনায়কত্ব উপহার দিলেও ব্যাট হাতে সময়টা একটু মলিন যাচ্ছে তাঁর। টেস্ট ক্রিকেটে সর্বশেষ ৯ ইনিংসে ফিফটির দেখা পাননি। এর মধ্যে পাঁচবার আউট হয়েছেন দুই অঙ্ক ছোঁয়ার আগে। ভারত সফরে নাজমুলের চাওয়া, ব্যাটার হিসেবেও যেন দলে অবদান রাখতে পারেন। সেই লক্ষ্যে সর্বোচ্চ প্রস্তুতিও নিয়েছেন। বাকিটা নাজমুলের শুরুর কথার মতোই ভালো খেলা সম্ভব, তবে চ্যালেঞ্জিং।

 

সূত্র: কালের কণ্ঠ

সর্বশেষ - খেলা