ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে শেরপুরের ২৫ গ্রাম প্লাবিত

গত কয়েকদিন ধরে ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে শেরপুরের নালিতাবাড়ী ও ঝিনাইগাতী উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ঢলে নালিতাবাড়ীর ভোগাই নদীর বাঁধে ভাঙনসহ নিম্নাঞ্চলে ভোগাই ও চেল্লাখালী নদীর পানি প্রবেশ করে তলিয়ে গেছে ফসলের মাঠ।

এদিকে একইভাবে গত কয়েক দিনের অতিবর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে ঝিনাইগাতী উপজেলার নিম্নাঞ্চলও প্লাবিত হয়েছে। সোমেশ্বরী, মহারশি ও কালঘোষা নদীতে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানি বিপদসীমার কাছাকাছি প্রবাহিত হচ্ছে।

সোমেশ্বরী নদীর পানির তোড়ে ধানশাইল-কুচনীপাড়া সড়কের বাগেরভিটা ব্রিজ হুমকির সম্মুখীন হয়ে পড়েছে। উপজেলার কান্দুলী, দাড়িয়ারপাড়, কুচনীপাড়া, সারিকালিনগর, দড়িকালিনগর, সুরিহারা, বালিয়াগাঁও, পাইকুড়া, ঘাগড়া, বেলতৈল, পুরুষ উত্তমখিলা, হাসলিগাঁও, হাসলিপাতিয়া, রাঙ্গামাটি, হাতিবান্দাসহ প্রায় ১৫টি গ্রামের শতশত মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।

ওইসব এলাকার বেশকিছু পুকুর পানিতে তলিয়ে গেছে। রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত হচ্ছে। ঢলের পানিতে ক্ষতি হয়েছে কৃষকদের বীজতলা ও শাক-সবজির ক্ষেতেরও।

ঝিনাইগাতী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির জানান, পানিবন্দী এলাকাগুলোতে এখন পর্যন্ত তেমন কোন ক্ষতি হয়নি। তবে ২০ হেক্টর জমির বীজতলা পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। দ্রুত পানি কমে গেলে তেমন কোন ক্ষতির সম্ভাবনা নেই।

রবিবার দুপুরে ভোগাই নদীর ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শনে যান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোকছেদুর রহমান লেবু ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুর রহমান। এ সময় তারা দ্রুত ভোগাই নদীর বাঁধ নির্মাণের আশ্বাস দেন।

 

সুত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন