ভারত থেকে আনা গম তৃতীয় পক্ষের কাছে বিক্রি করা যাবে না

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্কঃ

বাংলাদেশে গম রপ্তানিতে ভারত রাজি হয়েছে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশের যদি কেউ ব্যক্তিগতভাবে গম আনতে চান তারা পারবেন। তবে, তারা সেটা তৃতীয় পক্ষের কাছে বিক্রি করতে পারবেন না।

বুধবার (১৫ জুন) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত প্রয়াত সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের স্মরণ সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশন এই স্মরণ সভার আয়োজন করে।

ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দুই দেশ পাশাপাশি হলে (তাদের মধ্যে) সমস্যা থাকে এবং সমাধানও থাকে। সেক্ষেত্রে কেনো ধরনের অস্থিতিশীল অবস্থা বা উত্তেজনা যেন না হয়, তার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হয়।

আগামী ১৯ জুন নয়াদিল্লিতে জেসিসি বৈঠকে যোগ দিতে ১৮ জুন রাতে ঢাকা ছাড়ার কথা রয়েছে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর। সপ্তম জেসিসি বৈঠকে ঢাকার পক্ষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন ও নয়াদিল্লির পক্ষে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর নেতৃত্ব দেবেন। এতে দু’দেশের সামগ্রিক বিষয়ে আলোচনা হবে।

আসন্ন ভারত সফর প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অগামী ১৯ জুন বাংলাদেশ ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বৈঠকে জ্বালানি নিরাপত্তার পাশাপাশি আরও কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। সেখানে নতুন ইস্যু হচ্ছে জ্বালানি নিরাপত্তা। এটি কীভাবে নিশ্চিত করা যায় তা নিয়ে কথা হবে।

বৈঠকে অনেক অমীমাংসিত বিষয় নিয়েও আলাপ হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের অনেকগুলো নদী সম্পর্কে আলাপ আছে। ফেনী নদী আছে, কুশিয়ারা আছে। পাটের ওপর অ্যান্টি-ডাম্পিং শুল্ক ও সীমান্ত ইস্যু আছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, যৌথ নদী কমিশনের বৈঠকের বিষয়ে গত মাসে আসামে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে আমি বলেছিলাম। কিন্তু সেটা হয়নি। এর জন্য তারা রেডি না। জেসিসি বৈঠকের আগে জেআরসির বৈঠক না হলেও পানি বণ্টন ইস্যুতে আলোচনা হবে বলেও জানান মন্ত্রী।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিষয়ে আবদুল মোমেন বলেন, মিয়ানমারকে ৮ লাখ ৩০ হাজার রোহিঙ্গার তালিকা যাচাই-বাছাইয়ের জন্য দেওয়া হয়েছে। তারা শুধুমাত্র ৫৮ হাজার রোহিঙ্গাকে যাচাই করেছে। আমরা প্রথম একটি গ্রুপ পাঠাতে চাই। কিন্তু দিন-তারিখ ঠিক হয়নি।

 

সুত্রঃ জাগো নিউজ