ভারতে ৫০-১০০ টাকায় মিলবে করোনা পরীক্ষার কিট!

ভারতের হায়দরাবাদে একটি প্রতিষ্ঠান দাবি করছে, তারা বাসায় বসে প্রেগনেন্সি টেস্টের মতোই সহজ পদ্ধতীতে করোনা পরীক্ষার র‌্যাপিড টেস্ট কিট তৈরি করে ফেলেছে।

শুধু তাই নয়, এই কিটের মাধ্যমে খুব সহজ কয়েকটি পদ্ধতিতে ঘরে বসে নিজেই পরীক্ষা করা যাবে এবং সঙ্গে সঙ্গে জেনে নেয়া যাবে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কতটা। দামও খুবই কম। চিনের কিট কেনা হয়েছিল ৪০০ থেকে ৬০০ টাকায়। কিন্তু এই কিটের দাম পড়বে মাত্র ৫০ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে।

এর আগে করোনা পরীক্ষার জন্য চীন থেকে আনা ‘র‌্যাপিড টেস্ট কিট’ ত্রুটিপূর্ণ ছিল। ফলে ভারতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ খুঁজতে আপাতত র‌্যাপিড টেস্ট বন্ধ।

চীনের সেই কিট ফেরত গেছে। নতুন করে র‌্যাপিড টেস্ট হবে কি না, তা নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যেই হায়দরাবাদের ওই সংস্থাটি দাবি করলো তারা র‌্যাপিড টেস্ট কিট।তৈরি করে ফেলেছে।

ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চ (আইসিএমআর)-এ অনুমোদনের জন্য ওই কিট পাঠানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ‘জেনোমিক্স বায়োটেক’ নামে ওই সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ও কর্ণধার পি রত্নগিরি।

সেই কিট কেমন হবে জানতে চাইলে পি রত্নগিরি জানিয়েছেন, এক কথায় ‘প্রেগনেন্সি টেস্ট কিট’ এর মতো। ছোট পাউচ প্যাকে পাওয়া যাবে। তার মধ্যে থাকবে একটি প্লাস্টিকের টেস্ট ডিভাইস (প্রেগেনেন্সি টেস্ট কিটের মতো) যাতে পরিমাপ নির্ধারণ করা থাকবে।

ওই প্যাকেটে থাকবে গ্লাভস ও রক্তের নমুনা নেয়ার সিরিঞ্জ। একটি ড্রপার থাকবে, যা দিয়ে কিটের উপর এক ফোঁটা রক্ত ফেলতে হবে। কিছুক্ষণের মধ্যেই শরীরে অ্যান্টিবডির পরিমাণ বোঝা যাবে প্লাস্টিক কিটের ওপর নির্ধারণ করা পরিমাপ থেকে।

তা ছাড়া ওই প্যাকেটে ইংরেজি ও হিন্দিসহ দশটি আঞ্চলিক ভাষায় টেস্টের পদ্ধতি ধাপে ধাপে লেখা থাকবে।

অর্থাৎ শরীরে কী পরিমাণ অ্যান্টিবডি রয়েছে সেটাই পরীক্ষা করে দেখা হয় র‌্যাপিড টেস্টে। চীনের কিটের সাহায্যে এই টেস্টই করা হচ্ছিল।

করোনা আক্রান্ত বা তাঁদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তির জন্য এই টেস্ট নয়। সাধারণত কোনও এলাকায় ব্যাপক হারে পরীক্ষার জন্য এই র‌্যাপিড টেস্ট করা হয়।

জেনোমিক্স বায়োটেকের কর্মকর্তাদের দাবি, এই কিটের ফলাফল ৯৬ শতাংশ নির্ভুল। পি রত্নগিরি বলেন, সব জ্বরই কোভিড-১৯ নয়। সার্স ও মার্স গোত্রের অনেক জ্বর আছে। ৮০ শতাংশ জ্বর হয় ছটি গোত্রের ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে। আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি বাকি ২০ শতাংশের উপর।

সংস্থাটির আরও দাবি, তারা পরীক্ষা করে আশানুরূপ ফল পেয়েছেন। এবার কেন্দ্রের অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে। এই সপ্তাহেই আইসিএমআর-এর অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে।

রত্নগিরির দাবি, প্রতিদিন ৫০ হাজার কিট তৈরির মতো সক্ষতা রয়েছে। কিন্তু কেন্দ্রের অনুমোদন পেতে আরও অন্তত তিন সপ্তাহ লাগবে। এই জরুরি পরিস্থিতির মধ্যে এত সময় না নিয়ে তড়িঘড়ি পরীক্ষা করে অনুমোদন দেয়া উচিত বলেও মনে করেন রত্নগিরি।

 

সুত্রঃ যুগান্তর