ভারতে স্বজনদের বাড়িতে আটকে রেখে ধর্ষিতার দেহ জ্বালিয়ে দিল পুলিশ

ভারতের উত্তর প্রদেশের হাথরাস শহরে গণধর্ষণে মৃত তরুণীর দেহ জোর করে রাতারাতি পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। মৃত তরুণীর পরিবারকে বাড়িতে তালাবন্ধ করে মঙ্গলবার রাত আড়াইটা নাগাদ দেহটি সত্‍‌কার করে পুলিশ। নৃশংস গণধর্ষণের পরও অভিযোগ দায়েরের সময় কোনরকম সহযোগিতা না-করার অভিযোগ উঠেছিল যোগী আদিত্যনাথের পুলিশের বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার রাতে এই ঘটনা নিয়ে পুলিশ ওই নারীর পরিবারের মধ্যে তীব্র বিবাদ তৈরি হয়েছে। মেয়েটির শেষকৃত্যের পর অসহায়ভাবে কাঁদতে দেখা গিয়েছে তার মাকে। পুলিশের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তার স্বজনরা।

গণধর্ষণ ও নৃশংস অত্যাচারের পর সংকটজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল ওই তরুণীকে। তবে ২ সপ্তাহ মৃত্যুর সঙ্গে তীব্র পাঞ্জা কষে অবশেষে হার মানেন তিনি। মঙ্গলবার সকালে দিল্লির হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। উত্তরপ্রদেশের হাথরাসে নিজের গ্রামেই গণধর্ষিতা হয়েছিলেন ২০ বছরের তরুণী। পাশাপাশি তার উপর চলেছিল নৃশংস অত্যাচার।

এই ঘটনায় চার অভিযুক্তকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত কয়েক মাসে উত্তরপ্রদেশে একের পর এক নারীদের বিরুদ্ধে অপরাধের ঘটনা ঘটে চলায়, দেশজুড়ে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

তরুণীর মৃত্যুর পর হাসপাতালের বাইরে তীব্র বিক্ষোভ শুরু হয়। স্লোগান ওঠে ‘ধর্ষকদের ফাঁসি চাই।’ মৃতার ভাইয়ের অভিযোগ, পরিবারকে কিছু না-জানিয়েই দেহ বের করে নিয়ে আসে পুলিশ। মাঝরাতেই তার দেহ তার গ্রাম হাথরাসে নিয়ে যাওয়া হয়। দেহ যাতে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়, সেই আর্জি জানিয়েছিলেন তার বাবা। রাস্তায় চলতে থাকে বিক্ষোভ। তবে মাঝরাতেই বিক্ষোভ সরাতে দেহ নিয়ে পুলিশের গাড়ি পৌঁছায় শ্মশানে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সংবাদমাধ্যমকে রুখতে পুলিশ মানবশৃঙ্খলও তৈরি করেছিল। সেখানে শুধুমাত্র পুলিশই উপস্থিত ছিল। এমনকি পরিবারকেও শেষকৃত্যের সাক্ষী থাকতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। যদিও পুলিশের সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ