ভারতে বিতর্কিত কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল পাস

বিরোধীদের হইচইয়ের মধ্যেও ভারতের লোকসভায় ধ্বনিভোটে পাস হয়ে গেল বিতর্কিত কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল।  সোমবার সকালে সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের প্রথম দিনেই লোকসভায় বিলটি তোলেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং টোমার। এরপর উপস্থিত সাংসদদের মাত্র ৪ মিনিটের মধ্যে কণ্ঠ ভোটের মাধ্যমে এই বিল পাস হয়।

কৃষি আইন নিয়ে আলোচনার দাবি তোলেন বিরোধীরা। সরকার পক্ষ সেই দাবি না মানায় শুরু হয় হট্টগোল। শেষ পর্যন্ত লোকসভা ও রাজ্যসভার অধিবেশন বেলা ১২টা পর্যন্ত মুলতুবি করে দিতে হয় স্পিকারকে।

কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল পাসকে ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল সংসদ। বিরোধীদের স্লোগানের জেরে দফায় দফায় মুলতবি হয়ে যায় অধিবেশন। বিরোধীদের দাবি ছিল বিল পাস করার আগে এর ওপর সংসদে আলোচনা হোক। বিরোধীদের অভিযোগ কৃষকদের সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে কোনো রকম আলোচনা করতে চায় না মোদি সরকার। সরকার কেবল দ্রুততার সঙ্গে বিল পাস করাতেই মরিয়া।

কিন্তু সরকার পক্ষ কোনো রকম আলোচনা খারিজ করে দেয়। এরপরই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সংসদ। বিক্ষোভের জেরে অধিবেশন মুলতবি করে দেওয়া হয়। পরে ফের অধিবেশন বসে। অন্যদিকে সোমবার বেলা ২টায় রাজ্যসভার অধিবেশন শুরু হলে কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী সেখানেও এই বিলটি তোলেন। তখন এই বিলের ওপর আলোচনার দাবি জানায় বিরোধীরা।

বিরোধীদের বিক্ষোভকে আমল না দিয়ে কোনো রকম আলোচনা ছাড়াই সেখানেও এই বিল পাস হয়ে যায়। এদিকে সংসদের গত বর্ষাকালীন অধিবেশনে চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলার অভিযোগে রাজ্যসভার ১২ জন সদস্যকে সোমবার সাসপেন্ড করা হয়। এর মধ্যে দুজন তৃণমূল কংগ্রেসের, কংগ্রেসের ছয়জন, শিবসেনার দুজন এবং সিপিআইএম ও সিপিআইর ১ জন করে।

গত আগস্ট মাসে রাজ্যসভার অধিবেশন কক্ষে তারা বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন। সে সময় সংসদের নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গেও তাদের ধস্তাধস্তি হয়। কয়েকজন নিরাপত্তাকর্মীকে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়। এরপর এই শাস্তি। সেক্ষেত্রে চলমান শীতকালীন অধিবেশনে এই সদস্যরা আর উপস্থিত থাকতে পারবেন না। রাজ্যসভার ইতিহাসে এটা প্রায় নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত।

 

সুত্রঃ কালের কণ্ঠ