সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
সরকারী হিসেব ফাঁকি দিয়ে যাতে কেউ অর্থ জমিয়ে রাখতে না পারে, সেজন্য অনলাইন ও মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহারে সবাইকে বাধ্য করার চেষ্টা করেছে মোদী সরকার। কিন্তু এখনো পর্যন্ত এ প্রযুক্তি ব্যর্থ।
গত ২০১৬ সালে কেন্দ্রীয় সরকার থেকে ঘোষণা করা হয়, ভারতের সকল ৫০০ ও ১০০০ রুপির নোট ৯ নভেম্বর থেকেই অচল। মোট সার্কুলেশনে থাকা রুপির ৮৬ শতাংশ মান এ দুটি নোটই বহন করছিল। এরপর ভারত সরকার বাজার থেকে আরও নোট রুপি উঠিয়ে নেয়, ব্যাংকে ফিরে আসে প্রায় ১৬ লাখ কোটি রুপি।
ধারণা করা হয়েছিল, এর মাধ্যমে গুগল তেজ ও অন্যান্য ই-পেমেন্ট প্রযুক্তির প্রসার ঘটবে। অর্থনীতির চাকা শুরুতে থেমে গেলেও পরে তা পুরোদমে ঘুরতে শুরু করবে। কিন্তু প্রায় ২ বছর পরেও, সেটি হয়ে ওঠেনি। ভারতে অনেকগুলো ই-পেমেন্ট সেবা চালু আছে, গুগলের বহুল প্রচলিত গুগল পে সেবাও চালু করা হয়েছে কিন্তু সেগুলোও জনপ্রিয় হয়ে উঠেনি।
এর উল্টোপিঠে দেখা গেছে, দেশের বাজারে বিকাশ, রকেটের মতো পেমেন্ট সেবা অত্যন্ত দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। ধীরে ধীরে বাংলাদেশেও ক্যাশ ট্রানজ্যাকশন কমানোর চেষ্টা করা হবে।
বর্তমানে ভারতে বড় মানের নোট না থাকায়, মোট নোটের পরিমাণ বাড়াতে হয়েছে প্রায় ৩৮ শতাংশ। অথচ যেসকল লক্ষ্যে ই-পেমেন্টের পৌঁছানোর কথা ছিল, তার একটিও বাস্তবে সম্ভব হয়নি।
কিউজেড অবলম্বনে