ভারতে করোনায় মৃত্যুর চেয়ে আত্মহত্যার সংখ্যা বেশি

সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক:

করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে ভারতে ব্যাপক হারে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে।  গত বছর দেশটিতে করোনায় মৃত্যুর চেয়ে আত্মহত্যার সংখ্যা বেশি।

ভারতের ন্যাশনাল ক্রাইম কন্ট্রোল ব্যুরোর রিপোর্ট (এনসিআরবি)-এর বরাত দিয়ে এমন তথ্য দিয়ে বিশ্লেষণধর্মী প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।

ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ২০২০ সালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন ১ লাখ ৪৯ জন। একই বছর আত্মহত্যা করেছেন ১ লাখ ৫৩ হাজার মানুষ। আত্মহত্যাকারীদের মধ্যে ৩৭ হাজার ৬৬৬ জন দিনমজুর রয়েছেন।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আত্মহত্যার পথ বেছে নেওয়ার অন্যতম কারণ অসুস্থতা। এছাড়াও আত্মহত্যাকারীদের মধ্যে দৈনিক মজুরিতে কর্মরতর শ্রমিকরাও রয়েছেন।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, করোনার সময় লকডাউনে গভীর সংকটে পড়েন ভারতের দিনমজুররা। লাখ লাখ পরিযায়ী শ্রমিককে বাড়ি ফিরে আসার জন্য ভিড় করতে দেখা গিয়েছিল। দেশের বিভিন্ন বড় শহরে কাজের তাগিদে গিয়েছিলেন তারা। দৈনিক পারিশ্রমিকে কর্মরত এই শ্রমিকদের অনেকেই লকডাউনের জেরে প্রথম দিকে বাড়ি ফিরতে পারেননি। এদিকে গোটা দেশ বন্ধ থাকায় কোনও কাজও ছিল না তাদের হাতে। ফলে এই অর্থকষ্ট, সার্বিক পরিস্থিতি তাদের আত্মহত্যার পথে ঠেলে দিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

খবরে আরও বলা হয়, ২৭ হাজার ৬২৩ জন গত বছর অসুস্থতার কারণে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিলেন। আর ১৬ হাজার মানুষ কেন আত্মহত্যা করেছেন তা এখনও অজ্ঞাত।

এছাড়াও ‘অন্যান্য কারণ’-এর জন্য আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিলেন আরও ১৫ হাজার মানুষ।

এনসিআরবির তথ্য অনুযায়ী, আত্মহত্যাকারী নারী ৫০ শতাংশই গৃহবধূ। ওই সময় একাধিক চলচ্চিত্র তারকাও আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়ে ব্যাপকভাবে আলোচনার জন্ম দেন। বিশেষ করে সুশান্ত সিং রাজপুত ও অভিনেতা সমীর শর্মার মৃত্যুতে সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু গোটা দেশে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার বিশ্লেষণ

সূত্র:যুগান্তর