ভারতের বিপক্ষে ‘লেগট্র্যাপ’ কৌশল নেবে ইংল্যান্ড

১৯৮৪ সালের পর ভারতের মাটিতে একবারই টেস্ট সিরিজ জিতেছে ইংল্যান্ড। সেটি ২০১২ সালে। অ্যালিষ্টার কুকের নেতৃত্বে চার ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ইংলিশরা ২-১ ব্যবধানে জিতেছিল। এছাড়া ২০০১ সালের সিরিজে ব্যাপক প্রতিন্দ্বন্দিতা করেছিল। তিন ম্যাচের সিরিজে তারা হেরেছিল ১-০ ব্যবধানে। দুটি সিরিজেই ইংলিশরা ‘লেগট্র্যাপ’ কৌশল কাজ লাগিয়ে সাফল্য পেয়েছিল। এই কৌশলে স্পিনারদের দিয়ে লেগ স্টাম্পে বল করে ভারতের রানের আটকে রাখা সম্ভব হয়েছিল।

আসন্ন টেস্ট সিরিজেও অতীতের লেগট্র্যাপ কৌশল কাজে লাগানোর পরিকল্পনা ইংল্যান্ডের, এমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন দলের বাঁ-হাতি স্পিনার জ্যাক লিচ। ২০০১ সালে ভারত সফরে ইংল্যান্ড দলে স্পিনার হিসেবে ছিলেন বাঁ-হাতি স্পিনার অ্যাশলে জাইলস ও ডান-হাতি অফ-স্পিনার ক্রেইগ হোয়াইট। ভারতের বাঘা-বাঘা ব্যাটসম্যান শচীন টেন্ডুলকার, বীরেন্দ্র শেবাগ, রাহুল দ্রাবিড়দের লেগস্টাম্পে বাইরে বল করে রান করতে দেননি জাইলস। ২ টেস্টে ৬ উইকেট নিলেও তিনি রান আটকে রাখতে পেরেছিলেন। ইকোনমি রেট ছিল ১.৮২।

২০১২ সালে সফরেও আরেক বাঁ-হাতি স্পিনার মন্টি পানেসারকে দিয়ে একই কৌশলে ভারতের রান আটকে সাফল্য পায় ইংল্যান্ড। সেবার ২৮ বছর পর তারা ভারতের মাটিতে সিরিজ জিতেছিল। তাই অতীতের কৌশল এবারও কাজে লাগানোর পরিকল্পনার ছক কষেছে ইংল্যান্ড। কারণ এবারের দলে বাঁ-হাতি স্পিনার লিচ আছে।

সম্প্রতি শ্রীলঙ্কার মাটিতে ২ টেস্টে ১০ উইকেট নেওয়া লিচ বলেন, ‘ভারতের ব্যাটিং লাইনে বেশ কয়েকজন ডান-হাতি ব্যাটসম্যান আছে। আমার দিক দিয়ে দেখলে সেটা একটা ভাল ব্যাপার। আমরা সকলেই জানি, ভারতীয়রা স্পিন ভালো খেলে। তবে আমি নিজের শক্তি অনুযায়ী বল করতে চাই। আমি নিজের শক্তির উপরে জোর দিতে চাই। তবে সিরিজের কোনও এক সময়ে কৌশলটা কাজে লাগানো হতে পারে। আমাদের পরিকল্পনায় লেগট্র্যাপ কৌশলও থাকছে।’

শ্রীলঙ্কায় সিরিজ চলাকালীন লেগট্র্যাপ কৌশল নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান লিচ। তিনি বলেন, ‘শ্রীলঙ্কায় এ বিষয়ে আমরা কথা বলেছি। কোন অ্যাঙ্গলে বল করা উচিত হবে, পরিস্থিতি অনুযায়ী লাইন ঠিক করা, এসব নিয়ে কথা হয়েছে। অতীতে জাইলস লেগট্র্যাপ কৌশলে সফল হয়েছে। আর আমি এমনিতেই রাউন্ড দ্য উইকেটে বল করে ব্যাটসম্যানকে আউট করার বেশি চেষ্টা করে থাকি। তাই লেগট্র্যাপ কৌশল আয়ত্বে নিয়ে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার চেষ্টাও থাকবে।’

 

সুত্রঃ কালের কণ্ঠ