ভারতের উদ্দেশে রওনা হয়েছে পাঁচটি ভয়ঙ্কর রাফাল যুদ্ধবিমান

সমরাস্ত্রে চীনকে টক্কর দিতে কোমর বেঁধে নেমেছে ভারত। দেশটির সেনাবাহিনীর অস্ত্রভাণ্ডারের আধুনিকীকরণ করতে মোটা অঙ্কের অর্থও ধার্য করেছে ভারত সরকার।

চীনের রক্তচাপ বাড়িয়ে সোমবারই ফ্রান্স থেকে প্রথম ধাপে ভারতের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে পাঁচটি রাফাল যুদ্ধবিমান। ভারতীয় পাইলটরাই যুদ্ধবিমানগুলোকে উড়িয়ে আনবেন।

সব ঠিক থাকলে বুধবার দেশে পৌঁছাবে অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমানগুলো। হরিয়ানার আম্বালা বায়ুসেনা ঘাঁটিতে ‘গোল্ডেন অ্যারো’ ১৭ নম্বর স্কোয়াড্রনের অন্তর্ভুক্ত করা হবে এ যুদ্ধবিমানগুলো।

সব প্রস্তুতি ঠিক থাকলে সাত দিনের মাথায় রাফালে পাঠিয়ে দেয়া হবে পূর্ব লাদাখে। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।

ভারতীয় বিমানবাহিনী সেনা সূত্রের খবর, ভারতে আসার আগে পাইলটরা সাময়িক বিরতি নেবেন আবুধাবির আল ধাফরা বিমান ঘাঁটিতে। মাঝ আকাশে দু’বার জ্বালানি ভরা হবে ফাইটার জেটগুলোতে। ওই যুদ্ধবিমানগুলোতে সঙ্গে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার প্রযুক্তিও যুক্ত করেছে দাসো অ্যাভিয়েশন।

রাফালে যুদ্ধবিমান ওড়ানোর জন্য ফ্রান্স থেকে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে ভারতের ১২ জন পাইলটকে। এয়ারবাস ৩৩০ মাল্টিরোল ট্যাঙ্কার ট্রান্সপোর্ট এয়ারক্রাফ্ট উড়িয়ে কীভাবে মাঝ আকাশে জ্বালানি ভরতে হবে সেই প্রশিক্ষণও নিয়েছেন পাইলটরা।

রাফালে যুদ্ধবিমান ওড়ানোর পদ্ধতি ও মাঝ আকাশে জ্বালানি ভরার প্রক্রিয়া জানতে বিমানবাহিনীর আরও ৩৬ পাইলটের নাম নথিভুক্ত করা হয়েছে। তারাও ফ্রান্সে গিয়ে প্রশিক্ষণ নেবেন।

সামরিক পরিভাষায় রাফালেকে বলে মাল্টিরোল কমব্যাট এয়ারক্র্যাফট। অনেক উঁচু থেকে হামলা চালানো, যুদ্ধজাহাজ ধ্বংস করা, মিসাইল নিক্ষেপ এমনকি পরমাণু হামলা চালানোর ক্ষমতাও রয়েছে রাফালের।

একে আরও শক্তিশালী করতে ‘মেটিওর’ এবং ‘স্কাল্প’ নামে দুটি মিসাইলও যোগ করা হতে পারে। পাশাপাশি এটিকে আরও শক্তিশালী করতে আনা হচ্ছে হ্যামার ক্ষেপণাস্ত্রও।