সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক :
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মুখপাত্র তৌফিক হাসান জানিয়েছেন, ভারতের ভিসা না পাওয়ায় তৃতীয় দেশের ভিসাপ্রার্থীরা দিল্লির পরিবর্তে ভিয়েতনাম এবং পাকিস্তান থেকে ভিসা গ্রহণ করতে পারবেন।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিয়মিত বিফ্রিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে বসে বিভিন্ন বক্তব্য-বিবৃতি দিচ্ছেন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মুখপাত্র তৌফিক হাসান বলেন, তিনি ভারতীয় গণমাধ্যমে যেভাবে বক্তব্য-বিবৃতি দিচ্ছেন তা পছন্দ করছে না অন্তর্বর্তী সরকার। বাংলাদেশের অসন্তোষ জানানো হয়েছে ভারত সরকারকে।
অনুরোধ করা হয়েছে শেখ হাসিনা যেন ভারতে বসে বক্তৃতা বা বিবৃতি না দিতে পারেন। তবে ভারত থেকে কোনো উত্তর পায়নি বাংলাদেশ।
তিনি আরো বলেন, ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের পর কতজন আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক মন্ত্রী ও এমপি ভারতে অবস্থান করছেন সে বিষয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে।
ভারতের ভিসা না পাওয়ায় তৃতীয় দেশের ভিসাপ্রার্থীরা দিল্লির পরিবর্তে ভিয়েতনাম এবং পাকিস্তান থেকে ভিসা গ্রহণ করতে পারবেন।
এদিকে ২১ অক্টোবর ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, বাংলাদেশের পর্যটকদের জন্য ভারতীয় ভিসা খুব শিগগির চালু হচ্ছে না। শুধু যাদের জরুরি প্রয়োজন, তাদের ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন থেকে ভিসা দেওয়া হচ্ছে। ওই দিন দুপুরে পররাষ্ট্রসচিব মো. জসীম উদ্দিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন তিনি।
প্রণয় ভার্মা আরো বলেন, ‘এখন যাদের জরুরি প্রয়োজন, তাদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে।
কারণ আমাদের লোকবল কম। আমাদের কার্যক্রম স্বাভাবিক হলে ট্যুরিস্ট ভিসা শুরু করা সম্ভব হবে। তবে এখন যাদের জরুরি, তাদের মেডিক্যাল ভিসা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া ভারতে গিয়ে তৃতীয় কোনো দেশের ভিসার আবেদন যারা করছেন, তাদের আমরা অগ্রাধিকার দিচ্ছি।’
ওই বৈঠকের পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র তৌফিক হাসান গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, ভারত ডিসেম্বরের মধ্যে বাংলাদেশের সঙ্গে পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠক করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
এদিকে ভারতীয় হাইকমিশনারের সঙ্গে পররাষ্ট্রসচিবের সৌজন্য সাক্ষাতের পর সন্ধ্যায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি বিজ্ঞপ্তি দেয়। এতে বলা হয়েছে, ভারতীয় ভিসা কার্যক্রম, ভারতীয় ঋণ চুক্তির আওতায় বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পে কর্মরত ভারতীয় লোকজনের বাংলাদেশে ফেরার পরিস্থিতি কী, নবায়নকৃত ট্রাভেল অ্যারেঞ্জমেন্টের পুনঃনবায়ন, বাংলাদেশে আটক জেলেদের বিষয়ে দ্রুত কনস্যুলার সুবিধা দেওয়া এবং এসব জেলেকে ফেরত পাঠানো এবং দুই দেশের মধ্যে পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠকসহ নানা ধরনের নিয়মিত বৈঠক শুরুর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
সূত্র: কালের কণ্ঠ