সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
মন্ত্রী বলে কথা! তাঁদের কর্মব্যস্ত দিন, চারপাশে শত শত মানুষের আনাগোনা, কত সম্মান। এসব কারণেই সাধারণ মানুষের মনে ধারণা জন্মায়, মন্ত্রীদের বাড়িতেও থাকে শত শত চাকর, চলে আরাম আয়েশ, থাকে রাজভোগ।
কিন্তু বিষয়টা যে অনেকের ক্ষেত্রেই আলাদা তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন বাংলাদেশ সরকারের ডাক এবং টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
ঘটনা গতকাল শনিবারের। আইসিটি মন্ত্রণালয়ের অধীনে অনুষ্ঠিত ‘লার্নিং ও আর্নিং’ মেলায় যোগ দিতে চট্টগ্রাম গিয়েছিলেন জুনাইদ আহমেদ পলক। রাজধানী ঢাকায় ফিরতে হয়ে গেল সন্ধ্যা। সঙ্গে ছিলেন তাঁর জনসংযোগ কর্মকর্তা (পিআরও) নাসির ও বিল্যান্সারের প্রধান নির্বাহী (সিইও) মো. শফিউল আলম।
পিআরও নাসিরের সঙ্গে গাড়ি না থাকায় পলক নিজ গাড়িতে করে তাঁকে বাসায় নামিয়ে দিলে এলেন। তখন বেশ রাত নেমেছে। রাতের খাবারের সময়ও হয়ে গিয়েছে। তাই শফিউলকে সঙ্গে করে নিজ বাসায় গেলেন পলক।
সেখানে গিয়ে খাবারের টেবিলে বলে শফিউল একেবারেই হকচকিত। মন্ত্রীর বাড়িতে রাতের খাবারে তো থাকার কথা রাজভোগ-পোলাও-পায়েস। কিন্তু এ যে সামান্য ভাত, আলুভর্তা আর ডাল। পুরোদস্তুর গরিব ঘরের বাঙালি খাবার। নিজের চোখকেই বিশ্বাস করতে পারছিলেন না শফিউল।
সাধারণ কর্মজীবীদের মতোই বেশ তৃপ্তি করে ভাত-ডাল খাওয়া শুরু করেছিলেন পলক। হঠাৎ খেয়াল হলো, সঙ্গে আছে মেহমান। তাই বাড়তি আয়োজন হিসেবে করা হলো ডিম ভাজি। আর দশজন বাঙালির মতো কব্জি ডুবিয়ে তাঁরা উপভোগ করলেন সেই খাবার।
এ বিষয়ে মো. শফিউল আলম বলেন, ‘ভেবেছিলাম এ রকম একজন মন্ত্রীর বাসায় রাতের খাবার হবে রাজকীয় আয়োজনে। কিন্তু খাবার দেখে আমি রীতিমত ভ্যাবাচেকা খেয়ে গেলাম। আলুভর্তা ও ডাল ছিল। তাই দিয়ে খাওয়া শুরু করেছিলাম। পরে তিনি ডিম ভাজি করিয়ে নিলেন। আর একজন সাধারণ মানুষের মতোই শেষ করলেন রাতের খাবার।’
ব্যক্তিজীবনে সাদামাটা হলেও, পলকের রাজনৈতিক জীবনটা বেশ বর্ণাঢ্য। মাত্র ২০ বছর বয়সেই রাজনীতির মাঠে নামেন তিনি। ২৮ বছর বয়সে জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন। পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ সরকারের ডাক এবং টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগে প্রতিমন্ত্রী হিসেবে যোগ দেন। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকেও বেশ জনপ্রিয়তা রয়েছে পলকের।
সূত্র: এনটিভি