রাবির ‘এ’ ইউনিটে অকৃতকার্যের পর বেলায়েত বললেন, ‘আমার কপালে বিশ্ববিদ্যালয় নেই’

রাবি প্রতিনিধি:

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ভর্তি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়েছেন বয়সকে হার মানানো বেলায়েত হোসেন। ৫৫ বছর বয়সে তিনি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সারাদেশে সাড়া ফেলেছেন। দেখিয়ে দিয়েছেন, শিক্ষার কোনো বয়স হয় না। কিন্তু একের পর এক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হ‌ওয়ার হতাশায় সিল্কসিটি নিউজকে তিনি জানান, ‘পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় তার কপালে নেই।’

গত ২৬ জুলাই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘এ’ ইউনিটের (মানবিক) ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা দেন বেলায়েত হোসেন। পরীক্ষা শেষে তিনি জানান, প্রশ্নপত্র কঠিন হয়েছে। পরীক্ষা ভালো হয়নি। মঙ্গলবার প্রকাশিত ‘এ’ ইউনিটের ফলাফল প্রকাশে তার কথাই সত্য হলো। তিনি পাশ করতে পারেননি। ১০০ নম্বরের মধ্যে পেয়েছেন ১৭ দশমিক ৮৫। যেখানে পাস নম্বর হচ্ছে ৪০।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হ‌ওয়ার সুযোগ না পাওয়ায় আক্ষেপ প্রকাশ করে বেলায়েত হোসেন বলেন, যা হবার হয়েছে। আমি এই বয়সে ভর্তিযুদ্ধে লড়েছি‌, এইটাই বড় কথা। কখনো দমে যাইনি। আল্লাহ যেটা ভালো মনে করেছেন, সেই রেজাল্ট আমাকে দিয়েছেন।

তিনি আর‌ও বলেন, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ে‌ও ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেনি। সামনে ভরসা চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। শুধু বাকি আছে এই একটাই। এই মিলে চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফরম তুলেছিলাম। দেখি আল্লাহ আমার কপালে বিশ্ববিদ্যালয় রাখে কিনা। মনে হয়, আমার কপালে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় নেই।

১৯৬৮ সালে দরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণ করা বেলায়েত হোসেনের ইচ্ছে ছিলো দেশের চারটি স্বায়ত্বশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় ঢাকা, রাজশাহী, জাহাঙ্গীরনগর এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হ‌ওয়ার। কিন্তু একের পর এক অকৃতকার্য হ‌ওয়ার খবর তাকে মানসিকভাবে দুর্বল করে দিয়েছেন।

বেলায়েতের বাসা গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলায়। দুই ছেলে ও এক মেয়ের বাবা তিনি। তিনি দৈনিক করতোয়ার শ্রীপুর প্রতিনিধি। ২০২২ সালে রামপুরার মহানগর কারিগরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এইচএসসিতে পাঁচ বিষয়ে প্লাস পেয়ে তিনি জিপিএ ৪ দশমিক ৫৮ পান। এর আগে, ২০১৯ সালে জিপিএ ৪ দশমিক ৪৩ পেয়ে এস‌এসসি পাস করেন।

জি/আর