ভয়ঙ্কর রূপ নিতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’, আতঙ্কে পশ্চিমবঙ্গবাসী

সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক :

গত কয়েক দিন ধরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে নতুন আতংকের নাম ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’। যদিও পশ্চিমবঙ্গে ঘূর্ণিঝড় মোখা কতটা প্রভাব ফেলবে তা স্পষ্ট করে বলতে পারেনি কলকাতা আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। তবে মোখার ওপর কড়া নজর রাখছে আবহাওয়া দপ্তর।

কলকাতা আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হয়েছে ঘূর্ণাবর্ত। এ ঘূর্ণাবর্ত প্রভাবের ফলে সৃষ্টি হয়েছে ঘূর্ণিঝড়। এ ঘূর্ণিঝড়ের নাম দেওয়া হয়েছে মোখা।

মঙ্গলবার (৯ মে) ঘূর্ণাবর্ত নিম্নচাপের চেহারা নেবে। আর দিন দুয়েকের মধ্যেই বঙ্গোপসাগরের ঘূর্ণিঝড় মোখা ভয়ংকর রূপ নিতে পারে।

আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানায়, ঘূর্ণিঝড় মোখার জেরে আগামী কয়েকদিন কলকাতাসহ পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোতে ১৩০ কি. মি বেগে বাতাস প্রবাহিত হতে পারে। তবে মধ্য বঙ্গোপসাগর থেকে এ ঘূর্ণিঝড় মোখা উত্তরমুখী হয়ে এগোবে।

সে ক্ষেত্রে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বুধবার ১০ মে মোখা আরও শক্তিশালী ও ভয়ংকর রূপ নেবে। শুক্রবার ১২ মে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় মোখা অভিমুখ থাকবে বাংলাদেশর দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলীয় অঞ্চলে। পরে ধীরে ধীরে মিয়ানমারের উপকূলীয় এলাকায় এগিয়ে যেতে পারে।

এদিকে ভারতের আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে প্রবল বর্ষণ শুরু হয়েছে। আগামী কয়েকদিন তা থাকতে পারে বলে জানানো হয়েছে।

তবে পশ্চিমবঙ্গের পার্শ্ববর্তী রাজ্যেও আঁছড়ে পরতে পারে মোখার প্রভাব। অতীত ইতিহাস বলেছে, উড়িষ্যায় ঘূর্ণিঝড় হলে তার প্রভাব পশ্চিমবঙ্গ পড়বেই । বিশেষ করে সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকায় প্রভাব পড়ে বেশি। এরই মধ্যে হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে গত কয়েকদিন বজ্রপাতের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এ মৃত্যুর কারণেই এমন সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

এরই মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ সরকার বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের সঙ্গে একটি জরুরি বৈঠক করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্ধিবেদি। এ দুর্যোগের মোকাবিলা করতে প্রত্যেক জেলায় একটি করে কন্ট্রোল রুম খোলার নির্দেশ দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এর আগের ঘূর্ণিঝতের মতো পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার আগেই পশ্চিমবঙ্গ সরকার প্রস্তুত মোখার মোকাবিলা করার জন্য।

এ ঘূর্ণিঝড়ের সময় বাড়িতে থাকার অনুরোধ করেছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর।