“বড়লোকরা দূরে সর দূরে সর বলে সরিয়ে দেয়”

নিজস্ব প্রতিবেদক:


নোংরা কাজ করি বলে বড়লোকরা দূরে সর দূরে সর বলে সরিয়ে দেয় তবে রাজশাহী নগরী পরিষ্কার করতে আমার ভালো লাগে, কিসের ল্যাইগা নিজের দেশ (নগরী) নিজেই পরিষ্কার করছি। অন্যের দেশতো পরিষ্কার করছি না। নিজের দেশ নিজে পরিষ্কার করছি, নিজে কাজ করছি, নিজের কাছে ভালো লাগে। তারপরও সরকার আমাদের বেতন দেয় এটার ল্যাইগি” কথাগুলো বলছিলেন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতা কর্মী মোঃ লাইট।

গতকাল রাত সাড়ে ১১ টার দিকে নগরীর ভদ্রা মোড় এলাকায় রাস্তার ময়লা আবর্জনা ভ্যানে তুলছিলেন তিনি। এসময় কাজের ফাঁকে ফাঁকে কথা হয় তার সাথে।

লাইট বলেন, জনগণ যদি নির্দিষ্ট জায়গায় ময়লা ফেলে তাহলে ভালো হয়, যেখানে সেখানে ময়লা ফেললে সেই ময়লাটা ছিটাই যায়, তখন সেটা জড় করে আবার তুলতে হয়, ওরা যদি ময়লাটা নিদিষ্ট জায়গা ফেলে তাহলে সেটা আর ছিটাবে না, ওইটা তখন তোলা সুবিধা হবে। তখন জায়গাটাও পরিষ্কার থাকবে। নগরবাসী সচেতন হলে নগরী হয়ে উঠবে আরো বেশি পরিষ্কার।

লাইট বলেন, নগরীতে কিছু কিছু বাসা আছে ওপর থেকে ময়লা ফেলে দেয় রাস্তার ওপরে। ময়লাটা কোথায় পড়লো সেটা আর দেখলো না, ময়লাটা যে ছিটিয়ে রাস্তায় পড়লো এটা আর তারা দেখলো না, এমনো নোংরা মাল (ময়লা) ফেলে যাতে প্রচুর গন্ধও বাড়ায়। একদিকার (একদিনের) মাল ফেলে তা না, দেখা গেছে কালকার (গতকাল) ভাত পচে গেছে, পলিথিনে ভরে জানালা দিয়ে রাস্তায় ফেলে দেয়। তখন মালটা রাস্তায় ছিটায় গেলে গন্ধ বের হয় বেশি।

তিনি বলেন, “নোংরার কাজ করি বলে অনেকেই ঘৃণা করে। কোন জায়গায় যদি যায় বড়লোকরা থাকে আশেপাশে, তাহলে দূরে সর দূরে সর বলে সরিয়ে দেয়।”

তবে কি গ্রীন সিটি, ক্লিন সিটির আসল কারিগররা পায় তাদের প্রাপ্ত সম্মান! অধিকাংশ সময়েই স্বল্প বেতনের বিনিময়ে একটি অনিশ্চয়তাপূর্ণ জীবনযাপন করতে হয় পরিচ্ছন্ন কর্মীদের, যার সঙ্গে যুক্ত হয় চিরায়ত সামাজিক গোঁড়ামি ও বৈষম্যমূলক দৃষ্টিভঙ্গি।

স/এআর