ব্লগার ওয়াশিকুর হত্যা: পুনঃঅভিযোগ গঠন শুনানি ৪ নভেম্বর

ব্লগার ওয়াশিকুর রহমান বাবু হত্যা মামলার পুনঃঅভিযোগ গঠন শুনানির জন্য আগামী ৪ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।

আজ মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ রবিউল আলমের আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন মঞ্জুর করে পুনঃঅভিযোগ গঠনের জন্য এই দিন ধার্য করেন।

এদিন মামলার রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু আসামি সাইফুল ইসলাম বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের জন্য রাষ্ট্রপক্ষ আদালতে আবেদন করে। পরে আদালত আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ৪ নভেম্বর পুনঃঅভিযোগ গঠন শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন।

এর আগে গত ৪ অক্টোবর আদালত আসামি পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায়ের জন্য ২৭ অক্টোবর ধার্য করেন। এ মামলায় আসামি জিকরুল্লাহ ওরফে হাসান, আরিফুল ইসলাম ওরফে মুশফিক ওরফে এরফান, সাইফুল ইসলাম ওরফে মানসুর কারাগারে আছেন। বাকি দুই আসামি জুনেদ ওরফে জুনায়েদ আহমেদ ওরফে তাহের ও আকরাম হোসেন ওরফে হাসিব ওরফে আব্দুল্লাহ পালাতক।

২০১৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরে ২০১৬ সালের ২০ জুলাই আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।

মামলাটিতে মোট ৪০ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে। গত ২৫ আগস্ট মামলার শেষ সাক্ষী হিসেবে রেকর্ডিং অফিসার সহকারী পুলিশ সুপার সালাউদ্দিন সাক্ষ্য দেন। এর মধ্য দিয়ে আদালত সাক্ষ্য গ্রহণ সমাপ্ত করে ১০ সেপ্টেম্বর আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য দিন ধার্য করেন। এদিন কারাগারে আটক তিন আসামি নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন।

এরপর গত ২১ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি উপস্থাপনে সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর সালাউদ্দিন হাওলাদার পাঁচ আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দাবি করেন। অন্যদিকে আসামি পক্ষের যুক্তি উপস্থাপনে আইনজীবীরা তাদের নির্দোষ দাবি করে অব্যাহতি চান।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের ৩০ মার্চ সকালে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের বেগুনবাড়ি দীপিকার ঢাল এলাকায় বাসা থেকে বের হয়ে অফিসে যাওয়ার পথে খুন হন ব্লগার ওয়াশিকুর রহমান বাবু। এর পরপরই জনতার সহায়তায় পুলিশ জিকরুল্লাহ ও আরিফুল ইসলাম নামে দুই মাদ্রাসাছাত্রকে আটক করেন। এ সময় তাদের কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত তিনটি চাপাতি উদ্ধার করা হয়।

ফেসবুক ও ব্লগসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইসলাম ধর্ম নিয়ে লেখালেখির কারণে ওয়াশিকুরকে হত্যা করা হয়েছে বলে জিকরুল্লাহ ও আরিফুল স্বীকার করেন। ওই হত্যা মামলায় আটক জিকরুল্লাহ ও আরিফুল ইসলামসহ চারজনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে ওই রাতেই তেজগাঁও থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন ওয়াশিকুরের ভগ্নিপতি মনির হোসেন। পরে আটকদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ