বাঘা প্রতিনিধি: ফুটফুটে ৪ বছরের শিশু জাহিদ হাসান। ব্রেইন টিউমারের সাথে লড়াই করে চলেছে। বিভিন্ন স্থানে এক সপ্তাহ থেকে মাইকিং করেও তার পাশে কেউ দাঁড়ায়নি। ফলে তার ভ্যানচালক বাবা এমরান আলী দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।
জাহিদ হাসান রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানী পৌরসভার চকসিংগা গ্রামের হতদরিদ্র ভ্যান চালক এমরান আলীর ছেলে।
শিশু জাহিদ হাসান ঢাকার আগারগাঁ তালতলা নিউরোসাইন্স হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. জাহিদ হোসেনের অধীনে চিকিৎসাধীন রয়েছে। অপারেশনসহ তার চিকিৎসার জন্য আড়াই লাখ টাকার প্রয়োজন। কিন্তু এ সামর্থ্য তার পরিবারের নেই। কী করে ছেলেকে বাঁচাবে এ নিয়ে চরম শংকা আর উৎকণ্ঠায় আছেন জাহিদ হাসানের মা-বাবা। ফলে নিরুপায় হয়ে তারা প্রধানমন্ত্রীসহ দেশের হৃদয়বান ও বিত্তবান মানুষের কাছে সাহায্যের প্রার্থনা করেছেন।
জাহিদ হাসানের মা তারা বেগম বলেন, শশুর আলী মুদ্দিনের মৃত্যুর পর আড়াই শতাংশ জমি পেয়েছি। এই জমির উপর দুটি টিনের ছাপড়া ঘর তুলে কোন মতে বসবাস করি। স্বামী ভ্যান চালিয়ে যে আয় হয়, সে টাকা দিয়ে সংসার ও ৩ ছেলে এবং ২ মেয়ের লেখা পড়ার খরচ করতে পারছি না। এখন ছোট ছেলে জাহিদ হাসানের ব্রেইন টিউমার হয়েছে। অভাবের সংসারে নুন আনতে পান্তা ফুরায়। এখন ছেলের চিকিৎসা করাবো কিভাবে? ছেলে জাহিদকে বাঁচাতে মা-বাবা বিত্তবানদের সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন।
জাহিদকে সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা-এমরান আলী, বিকাশ নম্বর ০১৭৪৮-১১৭৩৭২।
স/শা
