সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক :
ব্রেইন টিউমার মারাত্মক স্বাস্থ্য সমস্যা। মস্তিষ্কের কোষগুলোর অস্বাভাবিক বৃদ্ধির ফলে এই রোগে আক্রান্ত হয় মানুষ। ব্রেইন টিউমারের লক্ষণগুলো সহজে বোঝা যায় না। কারণ এগুলো মস্তিষ্কের কার্যক্রমের ওপর নির্ভর করে।
তবে কিছু সাধারণ লক্ষণ রয়েছে, সেগুলো আগে থেকেই জানা থাকলে দ্রুত চিকিৎসা নেওয়া সম্ভব।
স্থায়ী মাথা ব্যথা অনেকেরই মাথাব্যথা থাকে, কিন্তু ব্রেইন টিউমারের ক্ষেত্রে মাথাব্যথা ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে এবং দীর্ঘস্থায়ী হয়। মাথাব্যথা সাধারণত সকালে বেশি অনুভূত হয় এবং ব্যথানাশক ওষুধেও কমে না।
দৃষ্টির সমস্যা
ব্রেইন টিউমার হলে আকস্মিকভাবে চোখের দৃষ্টিতে সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ঝাপসা দেখা, চোখে ডাবল ভিশন বা চোখের নড়াচড়ায় সমস্যা হতে পারে।
স্মৃতিশক্তি হ্রাস
যারা ব্রেইন টিউমারে আক্রান্ত হন, তাদের স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। সহজ বিষয় ভুলে যাওয়া, বা কথা বলতে গিয়ে খেই হারিয়ে ফেলা—ইত্যাদি।
ব্যক্তিত্বের পরিবর্তন
টিউমার মস্তিষ্কের আবেগ ও আচরণ নিয়ন্ত্রণকারী অংশে চাপ সৃষ্টি করে।
তাই আচরণে পরিবর্তন আসতে পারে। সহজেই রেগে যাওয়া, বিরক্তি বা হতাশা অনুভব করা এর সাধারণ লক্ষণ।
বিভ্রান্তি বা চিন্তার সমস্যা
কিছু রোগী সাধারণ বিষয়েও বিভ্রান্ত বোধ করেন এবং সহজ সিদ্ধান্ত নিতেও অসুবিধা হয় তাঁদের। এই লক্ষণগুলো টিউমারের অবস্থানের ওপর নির্ভরশীল।
অজ্ঞান হয়ে যাওয়া
ব্রেইন টিউমারের কারণে মস্তিষ্কের ক্রিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
মাঝে মাঝে অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটতে পারে।
অবসাদ বা ক্লান্তি
অতিরিক্ত ক্লান্তি বা অবসাদগ্রস্ত অনুভব করা ব্রেইন টিউমারের আরেকটি লক্ষণ। টিউমারের অবস্থানের কারণে এটি হয়।
হাত বা পায়ে দুর্বলতা বা অসাড়তা
শরীরের একপাশে বা হাত-পায়ে দুর্বলতা ও অসাড়তা অনুভূত হলে তা মস্তিষ্কের কার্যক্রমে সমস্যা দেয়। এই ব্যাপারগুলো ব্রেইন টিউমারের কারণে হতে পারে।
মৃগী রোগীর মতো খিঁচুনি
খিঁচুনি হওয়ার রেকর্ড যাদের নেই, হঠাৎ করেই যদি তাঁদের শরীরে খিঁচুনি দেখা দেয়, তবে তা ব্রেইন টিউমারের লক্ষণ হতে পারে।
কথা বলা বা শ্রবণে সমস্যা
ব্রেইন টিউমারের কারণে মস্তিষ্কের ভাষাগত অংশ প্রভাবিত হয়। তাই কথা বলা বা কথার অর্থ অনুভবে সমস্যা হতে পারে। কথা জড়িয়ে আসা বা অন্যের কথা বুঝতে না পারাও ব্রেইন টিউমারের অন্যতম লক্ষণ।
ওপরের দশটি লক্ষণ যদি আপনার বা পরিবারের সদস্যের কারও মধ্যে দেখা যায়, তাহলে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। আধুনিক চিকিৎসা ও নিয়মিত পরামর্শের মাধ্যমে ব্রেইন টিউমারের চিকিৎসা সম্ভব।
সূত্র: কালের কণ্ঠ